একটা সময় ছিল যখন নিজেকে পরীর বংশধর মনে করতাম।ভাবতাম আমার বয়স যখন ১৬ হবে আমার কাছে পরীর রাজ্য থেকে একটা পরী আমার জন্য একটা যাদুর ছড়ি আর পাখা নিয়ে আসবে আর আমি তখন ঐ যাদুর ছড়ি দিয়ে আমার যা ইচ্ছা তাই করতে পারব আর রাতে আমার পিঠে পাখা দুটা লাগিয়ে পরীর দেশে ঘুরতে যাব।
কিন্তু ১৬ বছর হয়ার পর যখন কোন পরী আসলোনা তখন ভাবলাম হইতো ১৮ বছর বয়সে আসবে। আরো দুই বছর অপেক্ষ্যা করলাম কিন্তু ১৮ বছরে পরীর কোন নাম গন্ধ নাই।এরপর ভাবলাম মনে হয় ২০ বছর বয়সে আসবে কিন্তু পরী তো আর আসলোনা। পরীর গায়ে জ্বর এই জন্য এখোন পর্যন্ত আসলোনা সে এই ভেবেই মনকে সান্তনা দিই। তবে এখোন চোখ বন্ধ করলে যাদুর ছড়ির বদলে খুন্তি হাতে নিজেকে আবিষ্কার করি।
ঠিক তেমনি ছোট থাকতে পিচ্চিকালের বান্ধবিগো ভাবতাব জানের জান। কিন্তু বড়ে হতে থাকলাম আর বুঝতে থাকলাম এরা সুবিধাবাদি। জীবনে তো একটা খোজ খবর এর বালাই নাই উল্টা আমি ফোন দিলে মনে হয় বাজার থেকে এক বস্তা চিনি নিয়া বসছে। আর বড়কালের বন্ধু বান্ধবগো দেখলাম আমার সমস্যা দেইখা মজা লইতে। যাগ্গা বেপার্য না। যেহেতু সমস্যার কথা উঠলো তাইলে একটা সমস্যার কথা মনে পইড়া গেল। কয়েক মাস ধরে বন্যার পানিতে আটকা ছিলাম এমনকি কোরবানির ঈদ করছি হাটু পানির মধ্যে। সকালে নামায পরতে গেলাম সাতার দিয়া। পরে বাসাতে আইসা আর কিছুই করার নাই। বা্ইরে তাকালে মনে হইতো যে লেক সাইড রিসোর্টে আছি কিন্তু পানির দুর্গন্ধ নাকে আসলে সেই মনে হওয়াটা ঘরের টিনে গিয়া বইসা থাকতো। এখোন পানি টানি সব গেছে কিন্থু নতুন কথা শুনতেছি যে সামনের বছরে নাকি আরো বেশি পানি আসবে। দেখা যাক অতো দিন বাইচা থাকি কিনা।
অনেকদিন পর মনে হইলো একটা পোষ্ট লিখি। লেখার জন্য তেমন বিশেষ কিছু পাইলাম না বইলা উরা ধুরা একটা আন্দাজি পুষ্ট দিলাম টেষ্ট করার লাইগা মাগার বুঝতে পারলাম যে আমার মাথা এখোন পুরাই সাহারা মরুভূমি। লেখা লেখি শুরু করা যাবে নাকি দেখা যাক.........
(বেশী বুঝদার পাবলিকগো মন্তব্য না কারাই ভালো! )