আমি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কট্টোর বিরোধী, কিন্তু মনে মনে প্রচুর ঘৃণা পোষণ করলেও নিজেকে ইহুদী-বিদ্বেষী বলার আগে দুইবার চিন্তা করে নেই।
আজকে আপনি ইহুদীদের গালি দিয়ে স্ট্যাটাস লিখলেন, হিটলার কেন সব ইহুদীকে না মেরে কিছু 'স্যাম্পল' ইহুদী রাখতে গিয়ে দুনিয়ার তেরটা বাজালো সেটা নিয়া আফসোস করলেন। আর কয়দিন পর Schindler's List মুভি দেখে আপনার মন আর্দ্র হয়ে গেলো, পিশাচ হিটলারের চৌদ্দগুষ্টি তুলে গালি দিলেন-ব্যাপারটা আমার জন্য খুবই স্বাভাবিক। কারণ মানুষ জীবটাকেই সৃষ্টিকর্তা এভাবে সৃষ্টি করেছেন। এক মানুষের বিপদে আরেক মানুষের মন কাঁদবেই যদি না সে লোভ-ক্রোধ-হিংসা-জিঘাংসায় অন্ধ হয়ে না থাকে, যদি না সে মানুষ নামের অমানুষ হয়ে থাকে।
সংখ্যার হিসাবে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ৬কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল এই যুদ্ধে, যার একটা বড় অংশ ছিল ইহুদী। আর এই ইহুদীদেরকে জেরুসালেমে জায়গা করে দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে মুসলমানদের কোন শান্তি নাই, কুকুর-বিড়ালের থেকেও অধম জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। একইসাথে এই ইহুদী আর মুসলমানদের রক্ত কাদের হাতে লেগে আছে, জানেন? যেই রকফেলার-রথসচাইল্ডরা আমেরিকার পুরো মিলিটারী ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন দখল করে আছে, যারা আমেরিকার পুরো অর্থনীতি কন্ট্রোল করে, নিজেদের ইচ্ছামত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বসায়, তেল-গ্যাসের লোভে ইরাক আক্রমণ করে, সেই একই রকফেলার-রথসচাইল্ডের সাহায্য ছাড়া নাজী এয়ারফোর্সের একটা প্লেনও কখনো আকাশে উড়তে পারতো না, একটা ইউ-বোটও কখনো পানিতে নামতো না- এটা কি জানতেন? Allianz নামটা আমরা জানি বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের স্টেডিয়াম হিসাবে। Allianz Group যে একটা জার্মান ইন্সুরেন্স কোম্পানী যার এক সময়কার সিইও হিটলারের অর্থমন্ত্রী ছিল, জার্মানদের সবচেয়ে বড় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প আউশউইতজের স্টাফ আর পুরো ক্যাম্পের ইন্সুরেন্স ছিলো আলিয়াঞ্জের আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও এই গ্রুপটা আমেরিকায় ব্যাবসা চালিয়ে এখন তাদের পুরো ইকোনমি’র ইন্সুরেন্স দেয় (এবং এখানেও ঘাপলা করে, আমেরিকার রিসেন্ট অর্থনৈতিক মন্দার পিছনে এদের বড় হাত আছে বলেই সব বড় অর্থনীতিবিদ জানে) সেটা আমরা কয়জন জানি? প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের দাদা প্রেসকট বুশের উপর যে War profiteering এর অভিযোগ আছে সেটা আমরা কয়জন জানি? আমাদের জানার দৌড় খুব বেশি হলে “বুশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি এক্সনমোবিলের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের মেম্বার ছিল” –এতটুকুই। এতকিছুর পরও এইসব কালপ্রিটদের কিছু হয়নাই এবং কখনোই হয়না কারণ এরা যুদ্ধে দুইপক্ষে সমানে টাকা ইনভেস্ট করে গেছে এবং যুদ্ধে একপক্ষ জিতলেও এরা ১৫-২০গুণ মুনাফার একটা পোর্শন দিয়ে ক্ষমতাবানদের নিজেদের পকেটে রাখতে পেরেছে।
আমার জ্ঞানের দৌড় খুব কম। উপরে যে কয়েকটা উদাহরণ দিলাম, তার মধ্যেও প্রচুর ভুল থাকতে পারে। ভুল থাকলে সে জন্য অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। তারপরও সাহস করে লিখলাম একটা কারণেই, গন্ডী থেকে বের হয়ে চিন্তা করার মানসিকতা থেকে। নিউইয়র্কের রাস্তায় একজন মুসলমানকে দেখলেই একজন ইহুদী মারতে তেড়ে আসবে না, কারণ তাদের মধ্যে কোন শত্রুতা নাই। তারপরও এত যুদ্ধ কেন? ইসরায়েল ফিলিস্তিনে বোম মারে কেন? হামাস ইসরায়েলে রকেট মারে কেন? কারণ যুদ্ধের চেয়ে লাভজনক ব্যাবসা আর নাই। আর লাভের জন্য এই ব্যাবসার কিংপিনরা যেকোন লেভেলে নামতে পারে। আধুনিক ইতিহাসে ওয়াটারলু’র যুদ্ধ থেকে এই ব্যাবসার শুরু। আর তখন ইনফরমেশন ম্যানিপুলেট করে লন্ডনের মানুষদের পথে বসানো থেকে যে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হয়েছে, তাদের কয়েক প্রজন্ম পরের বংশধরেরাই এখন পুরো পৃথিবীটাকে একটা টাকা বানানোর মেশিন হিসাবে ব্যাবহার করছে। সেই মেশিনে আমি-আপনি একটা নাট-বল্টুর থেকেও নগণ্য পার্টস।
এত বড় লেখার আরেকটা উদ্দেশ্য আছে। ঘৃণাটাকে সঠিক দিকে পরিচালিত করা। আধুনিক পৃথিবীতে এমন যুদ্ধ খুব কমই দেখবেন, যেটাতে কেউ না কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয়নাই অথবা পকেট ভারী করার জন্য এক জাতি আরেক জাতির উপর ঝাঁপায় পরেনাই। অথচ প্রত্যেকটা যুদ্ধেরই পোস্টার ছিল ধর্ম, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি। বুলেট-বোমা কখনো মুসলমান-হিন্দু-খ্রিষ্ঠান-ইহুদী চিনেনা। যুদ্ধের কোন ধর্ম নাই, কারণ টাকারও কোন ধর্ম নাই। কিন্তু এক ধর্ম বা গোত্রের মানুষ আরেক ধর্ম বা গোত্রের মানুষকে যতদিন ঘৃণা করে যাবে, এই ব্যাবসায়ীরা ততদিনই এই ঘৃণাকে পুঁজি করে নিজেদের যুদ্ধব্যাবসাকে হালাল করে যাবে এবং কেউই এর প্রতিবাদ করবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি আপনার মতই আরেকটা মানুষকে কোন কারণ ছাড়া সারাজীবন ঘৃণা করে যাবেন নাকি সেই হাতেগোনা কয়েকটা মানুষকে ঘৃণা করবেন যারা কোটি-কোটি মানুষকে একে অন্যের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে হাজার-হাজার বিলিয়ন ডলার কামিয়ে নিচ্ছে?
গাজায় এইবার ইসরায়েল এয়ারস্ট্রাইক শুরুর আগে থেকেই ঘটনাটা একটু-একটু করে ফলো করেছি। শুরুতে চোখে পড়েছিল ফিলিস্তিনি এক কিশোরের পোড়া লাশ উদ্ধারের খবর। ঘটনা ব্যাকট্র্যাক করে জানলাম যে তিন ইসরায়েলী কিশোরকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে সেই ফিলিস্তিনি কিশোরকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এরপর থেকেই গাজায় বম্বিং শুরু। শুরুর দিকের ঘটনাগুলো চাপা পড়ে গেছে ওয়ার্ল্ডকাপের ডামাডোলে। মাঝখানে সাকিব আল হাসানের ইস্যুতেও এক-দেড়দিন ফেসবুক গরম ছিলো। বম্বিং শুরু হওয়ার পরও আমার লিস্টে তাজওয়ার আর তাশফিক ছাড়া আর কাউকে গাজা নিয়ে ফেসবুকে কোন পোস্ট দিতে দেখিনাই। সবাই যখন খেলা নিয়ে ব্যাস্ত, তখন এই দুজনই গাজার ছবি শেয়ার দিচ্ছিলো। সেমিফাইনালের পর এই দুইদিন খেলায় গ্যাপ না থাকলে হয়তো পুরা গাজা ইনভেশনটাই ওয়ার্ল্ডকাপের নিচে চাপা পরে যেতো। এতদিন ওয়ার্ল্ডকাপের উত্তেজনার পর হঠাৎ গাজার ছবিগুলো দেখেও কিছু লিখতে চাইনাই ইচ্ছা করেই। কারণ নিজেকে এখন লাইক-কমেন্টের শকুন মনে হয়। শকুন যেমন লাশের আশায় বসে থাকে, আমরা ফেসবুকার-ব্লগাররাও ইস্যুর আশায় বসে থাকি। কখন একটা ইস্যু বের হবে আর কখন আমরা সেই ইস্যু ঠুকরে লাইক-কমেন্ট-শেয়ার খাবো। এরকম অপরাধবোধ থেকে লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছিলাম। সারাদিন ফেসবুকে চুড়ান্ত লেভেলের লেইম কাজকর্ম করে সারাদিন কাটায় দেওয়া শুরু করেছি কয়েকমাস ধরে শুধু মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য। এক্সপেরিয়েন্স থেকে শিখেছি বর্তমান দুনিয়ায় লেইম থাকার সবচেয়ে ভাল উপায় দুনিয়ার তাবৎ লেইমের সাথে নিজেও লেইম হয়ে সুখে থাকার ভান করা। বাস্তবতার কথা চিন্তা করলে শুধু মেজাজই যে খারাপ হয়, তা না। দুনিয়া, দুনিয়ার মানুষ- সবকিছুর উপর হতাশ লাগা শুরু হয়। কিন্তু আজকে আবারও লিখলাম কিছু বিষয় দেখে। প্রথম কারণটা আগেই বলেছি, ইহুদীবিদ্বেষ। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে পণ্য বর্জনের আহবান। ফেসবুক-ব্লগে এরকম পণ্য বর্জনের আহবান দেখতে দেখতে হতাশ হয়ে গেছি। ফেলানী ইস্যুতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের অনেক কঠিন সমর্থক পরে এয়ারটেলের সিম ইউজ করেছে সস্তা রেটে গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলার জন্য-এরকম ঘটনাও দেখা হয়ে গেছে। এই মানুষগুলোকে আমি দোষ দেই না। সবাইকে নিজের ভালটাই বুঝতে হয়। হ্যাঁ, টাকাই যুদ্ধবাজ ব্যাবসায়ীগুলোর সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু ইহুদী মালিকানাধীন পণ্য/সেবা কেনা বন্ধ করে দিলেই যে আপনি তাদের পঙ্গু করে দিবেন- ব্যাপারটা তা না। আপনার যদি আধুনিক ব্যাঙ্কিং সিস্টেম সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা থাকে, তাহলে বুঝবেন যে শুধু পেপসি-ম্যাগি নুডুলস না, আপনি বাসার সামনের মুদী দোকান থেকে এক কেজি চাল কিনলেও তার একটা অংশ এই হাত-ওই হাত ঘুরে সেই গুটিকয়েক মানুষের হাতেই গিয়ে জমা পড়ে যেটার বড় একটা অংশ খরচ হয় ইরাক-আফগানিস্তান-প্যালেস্টাইনে বোম ফেলার কাজে। আর শুধু ইসরায়েলের ইহুদীরাই যে মানুষ মারতেছে, তা তো না। আমেরিকার কাছে অর্থসাহায্য আর চোরাপথে অস্ত্র নিয়ে সিরিয়ায় মুসলমানরাই মুসলমানদের মারছে। ওদের বিপক্ষে কথা বলেন না কেন, তারা ইহুদী না বলে? আল-কায়েদার কোলেপিঠে করে বড় হওয়া বোকো হারাম নাইজেরিয়ায় ২০০স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ব্ল্যাকমার্কেটে বিক্রি করে দেওয়ার/ অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টে কাজে লাগানোর হুমকি দেয়, তাদের এত টাকা বা অস্ত্র কে সাপ্লাই দেয়? আল কায়েদা কার সৃষ্টি? হামাসের জন্ম কাদের হাত ধরে? টেররিস্ট অর্গানাইজেশনগুলোর ফান্ডিং এর হিসাব করেন, দেখবেন প্রত্যেকটা পয়সার হিসাব ব্যাকট্র্যাক করে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কর্পোরেশনগুলোর মালিকের কাছে গিয়ে শেষ হয় যাদের প্রত্যেকেরই বড় বড় অস্ত্রনির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আছে। আমার কথা বিশ্বাস করার কোন কারণ নাই। যাদের কথায় পৃথিবী চলে বা চলতো তাদের কয়টা কোটেশন দেইঃ
“there are two classes of financiers: 1) Those who profit from war and use their influence to bring about war for profit, and 2) “constructive” financiers” – হেনরি ফোর্ড, ফোর্ড মোটর কোম্পানীর মালিক যিনি নিজে আমেরিকান হয়েও হিটলারের আমলে জার্মানীর সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পেয়েছিলেন।
“the time to buy is when there’s blood in the streets.” -Baron Rothschild
“I care not what puppet is placed upon the throne of England to rule the Empire on which the sun never sets. The man who controls Britain's money supply controls the British Empire, and I control the British money supply.” - Nathan Rothschilds
না, আমি ইহুদী সিম্প্যাথাইজার না। টাইটেলে যেটা লিখেছি, সেটা শুধুমাত্র আপনার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য একটা স্টান্ট ছিল। এইখানে যেসব পাওয়ারফুল এলিট ফ্যামিলির কথা বলেছি তাদের বেশিরভাগই ইহুদী। তবে কয়েকজন লোকের কারনে পুরো একটা ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করার পক্ষপাতী আমি না। আমার লেখার অনেক অংশের সাথেই আপনি দ্বিমত পোষণ করবেন জানি। আমি বললাম একটা কথা, আপনি বুঝলেন কি বুঝলেন না কথা পেচিয়ে আরেক লাইনে নিয়ে গেলে সেটার কোন জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। পণ্য বর্জন আর হেইট স্পীচ ছড়িয়ে নিজের অক্ষমতা নির্লজ্জের মত চিৎকার করে জানান দেওয়াটা ভাল লাগেনা। যদি আসলেই ফিলিস্তিনীদের জন্য কিছু করতে চান, তাহলে না জেনে সিরিয়া যুদ্ধে মারা যাওয়া বাচ্চাদের ছবি শেয়ার করে লাইক-কমেন্টের ব্যাবসা না করে আসল ছবি শেয়ার করে সবাইকে জানান। অনলাইনে পিটিশন সাইন না করে অনেক জায়গায় যেসব মানববন্ধন হচ্ছে, সেগুলোতে যান। সেগুলোতে কাগজে-কলমে পিটিশন সাইন করে জাতিসংঘ অফিসে পৌছানোর ব্যাবস্থা করুন। এইসব পিটিশনে কোন কাজ হবে বলে মনে হয়না। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল রাতেই বলেছে প্রেসিডেন্ট ওবামা আর জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলকে সেটিং দেওয়া হয়ে গেছে, কোন আন্তর্জাতিক চাপই গ্রাহ্য করা হবে না। ইনভেশন চালিয়ে যাওয়া হবে। আর জাতিসংঘ, ওআইসি যে পরিমাণ ব্যার্থতার পরিচয় এর মধ্যেই দিয়ে দিয়েছে, এদের উপর ভরসা করে আর এক মুহুর্তও নষ্ট করা উচিৎ হবে বলে মনে হয় না। বাকী থাকে আর দুইটা পথ- ফিলিস্তিনীদের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করে যাওয়া আর রিলায়েবল সোর্স খুঁজে ঢাকায় ফিলিস্তিন দুতাবাসে অর্থসাহায্য পৌছানোর ব্যাবস্থা করা। সবচেয়ে ভাল হয় ফেসবুকে এই ইভেন্ট-ওই ইভেন্টের জন্য বসে না থেকে নিজে স্বশরীরে অথবা আপনি ঢাকার বাইরে থাকলে কোন পরিচিতজন বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে দূতাবাসে টাকা পৌছানো নিশ্চিত করা। এই অক্ষম পরিস্থিতি থেকে আমরা আক্রমণ থামাতে পারবো না, অন্তত আহতদের চিকিৎসার ব্যাবস্থাটা যেন ভালভাবে করতে পারি সেটাই মনেহয় এখন জরুরী। আপনার ইমোশনকে আমি অপমান করছি না। ফেসবুক খুললেই এতগুলো বাচ্চার লাশের ছবি দেখে আপনার –আমার কারোই মাথা ঠিক থাকার কথা না। কিন্তু ইমোশনটাকে শুধু অর্থহীন ক্রোধে খরচ না করে কাজে লাগানো শিখুন দয়া করে, অর্থপুর্ণ কিছু করুন।