
বহুদিন পর কবিতার সফেদ পায়রা আমার জানালার কার্নিশে।
ডাকবে কি? দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করি। যদি নিতান্ত অবহেলায়
উড়ে যায় অনন্ত আকাশে!
বহুদিনের অফলা জমিনে আর্ত হৃদয় জলের সিঞ্চনে
ফের ইচ্ছে হয় শব্দের চাষবাস করি।
বহুদিন পর পুরনো কবিতার খাতা খুলে বসি।
খাতার পাতা জুড়ে বুকচেরা দীর্ঘশ্বাস। কতদিন আমার
উদ্বাস্তু হাতে কবিতার শরীর ছুঁই না!
ছোঁব কি? বাইরে শহরের রোদ পোড়া পাখির আর্তনাদ,
একটা কি দু'টো রিকশার টুং টাং শব্দ, ফেরিওয়ালার
ডাকে দুপুরের গহীন স্তব্দতা, দূরের ফ্লাটে
তরুনীর বিমর্ষ দাড়িয়ে থাকা, তোমাকে ভাবা,
মনে পড়ে 'তোমাকে কামনা করি' বলতে গিয়েও
কতবার থেমে গেছি নিজের ব্যর্থতা জেনে।
উৎকন্ঠার মালা জাপি যদি ফিরিয়ে দাও যেমন দুপুরের
ভিখারিকে কোন গার্হস্হ্য গৃহিনী।
শহরের গোধূলি আমাকে ছুঁলে হৃদয় মুরালির টানে
তবু তোমার কাছে যাই, এক কাপ চা আর
কিছু উদাসীন অবহেলা রেখে বিপরীতে বসো তুমি
তোমার ধরনে। তোমার স্বপ্নালু শহরে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত
রেখে নির্লিপ্ত জিজ্ঞেস কর, 'আর কতকাল অনস্তিত্বের ছায়ায়
পড়ে রবে? ইদানিং কবিতা লিখ নাকি ছেড়ে
দিয়েছ নিজের নিয়মে?' এক অদৃশ্য ভাটার টান ক্রমশঃ
তোমাকে আমার কাছে থেকে নেবে ছিনিয়ে। জানবেনা তুমিহীন একটি কবিতা অসামাপ্ত র'য়ে যাবে বহুদিন।
২৯।১০।২০১০
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪১