
গ্রামীণ নৈসর্গে গড়া বিশাল এ পার্কটিতে বিনোদনের জন্য রয়েছে নানা আযোজন।এখানে আছে ১৬ সিটের সুপার চেয়ার, শিশুদের জন্য রয়েছে ইঞ্জিন ট্রেন, আনন্দ ঘুর্ণন, হেলিকপ্টার,ব্যাটারি গাড়ী,স্লিপার, দোলনা, ঢেকি ইত্যাদ যদিও প্রায় সময়ই এগুলো ঠিক থাকে না ।১শ’ থেকে ৫ শ’ জন পর্যন্ত পিকনিক করতে পারেন এখানে।খাবার জন্য রয়েছে দ্বিতল ডাইনিং হল। আছে বাবুর্চি, ডেক-হাড়িপাতিলের ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিয়ে নেই ভাবনা। পার্কের মালিক হাজী আব্দুল কুদ্দুস সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পার্কে পই পই করে ঘুরে বেড়ান। খোঁজ খবর নেন দর্শনার্থীদের।


পার্কটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে পানিয়জল, বিদ্যুত ও টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। আছে ফাস্টফুডের দোকান।তবে তাতে ভাল মানের খাবার পাওয়া যায় না। আশেপাশেও তেমন ভাল মানের কোন খাবার দোকান নেই। তবে আমরা যখন গিয়েছিলাম জানুয়ারি মাসে তখন দেখেছিলাম পাশেই ১ টা ভাল রেস্টুরেন্ট হচ্ছে। এখানে গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা আছে।ভিতরে কোন বাড়তি খরচ করতে হবেনা দর্শনার্থীদের, শুধু খাবার খরচ।এখানে এলে ফোয়ারা, ভাসমান সেতু, বিশাল ফুলের বাগান আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে।পার্কের দর্শনার্থী বিশ্রামাগারের দ্বিতিয় তলার খোলা মেলা বাড়ান্দায় বসে ও সুন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।চাইলে পুকুর থেকে ফ্রেশ মাছ ধরে কিনে খেতে পারেন।


পিকনিক অথবা পার্টির জন্য বুকিং দিয়ে অথবা বুকিং ছাড়াই পার্কটি ঘুরে আসতে পারেন। পার্কে মূল্য ৫০ টাকা।পিকনিক পার্টির জণ্য প্রবেশ টিকিট প্রয়োজন নেই। নাম মাত্র খরচে কোলাহলমুক্ত স্পটটির মনোরম পরিবেশ আপনার মনকে আনন্দে মাতিয়ে তুলবে।বন্ধুদের সাথে অথবা পরিবার নিয়ে অনায়াসে সারাদিন কম খরচে ঘুরতে পারেন এখানে।


নিরাপত্তা নিয়ে নেই ভাবনা।এখানে আর ও আছে ক্রিকেট, ফুটবল খেলার মত বিশাল মাঠ।
ঢাকার কলাবাগান/গুলিস্তান থেকে "মেঘলা" নামক বাস এ করে গাউসিয়া নামতে হবে। সময় লাগে ১ ঘণ্টার মত। গাউসিয়া থেকে রিকশায় করে ১৫ মিনিটে পণ্ড গার্ডেন পৌঁছা যাবে। যোগাযোগ এর নাম্বার : ০১৭২৭৩৯১১৯৮