এপিসোড- ২
১
'এ হৃদয় তোমাকে দিলাম।' বলেছিল মিলি। কিন্তু হাতের এই থপথপে জিনিসটা দিয়ে করবটা কি?
২
মর্গে রাত কাটালাম। ভয় পাবার কথা, কিন্তু ভয় পেলাম না। বরং অবাক হলাম। কি আশ্চর্য! ওরা এখনো আসছে না কেন? বেওয়ারিশ লাশ, পুঁতে ফেললেই তো ল্যাঠা চুকে যায়!
৩
'আমার কাছে একটা টাইম মেশিন আছে।' ঘরের ভেতর বোমা ফাটালেন যেন তিনি। সবাইকে চমকে উঠতে দেখে হেসে বললেন, 'আমি আসলে আমার নতুন কেনা ঘড়িটার কথা বলছিলাম।'
৪
অতঃপর বিখ্যাত সাইকো থ্রিলার রাইটারকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশের বক্তব্য, 'এতোসব নৃশংস চরিত্রের জন্মদাতার চরিত্রটিও নিশ্চয়ই কম নৃশংস নয়!'
৫
লেখক সাহেব পথে পথে ঘুরছেন। প্লট তৈরীর অভিনব এক টেকনিক কাজে লাগাচ্ছেন আজকাল। ঐতো, এদিকেই আসছে লোকটা। এক্ষুনি প্লট তৈরীর কাজ শুরু করে দেবে লেখকের হাতে থাকা ক্ষুরটা... আমার নতুন লেখা থ্রিলারটির কাহিনীর শুরুটা ছিল এভাবেই।
৬
প্যারালাল ইউনিভার্স ভ্রমণের টিকিটটা রাখলাম কোথায়? ঘুম থেকে উঠে কিছুতেই মনে করতে পারছি না!
৭
নীলুর হাতটা শক্ত করে ধরলাম। এখন আর কেউ আমাদেরকে আলাদা করতে পারবে না। আত্মিক ভালবাসার পথে বাধা হবার শক্তি নেই এদের। বিশেষত সেই ভালবাসা যদি আক্ষরিক অর্থেই আত্মিক অর্থাৎ দুটি অশরীরী আত্মার মধ্যে হয়ে থাকে।
৮
খবর পাঠের মতো সাংবাদিক মহোদয়কে নিজ জীবনের গল্প শুনিয়ে চলল সৌদামনি বেশ্যা। গল্প শেষ হতেই যা দেরি। সাংবাদিক মহোদয়ের ঝাপিয়ে পড়াতে কোন দেরি নেই। দারুন একখান নিউজ পেয়েছেন। সেলিব্রেট করতে হবে না!
৯
জ্যাকের সাথে ট্রিক অর ট্রিটে বের হয়েছি। হ্যা, জ্যাকের সাথে। কিন্তু আমি কে তাহলে?
১০
ডিটেকটিভ মহাশয় খুনী ধরিয়ে দিয়েছেন। পত্রিকায় খবর উঠবে না তা কি হয়? বালাই ষাট! নিজের চোখেই দেখুন কেমন আকর্ষণীয় শিরোনামঃ 'সিরিয়াল কিলিংয়ের দায় মাথায় নিয়ে আত্মসমর্পন করলেন বিখ্যাত গোয়েন্দা ''অমুক''।'
১১
'মা, আজও কি না খেয়ে ঘুমোতে হবে?' 'কে বলেছে? আজ আমার সোনারা খাবে, পেটপুড়ে খাবে।' অতঃপর ভুড়িভোজ সেরে বাচ্চা দুটি ঘুমোতে যায়। এককোণে পড়ে থাকে মা মাকড়সার ছিন্ন-ভিন্ন দেহাবশেষ।
১২
ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগোচ্ছে লোকটা। মদ্যপ চোখে কামাসক্ত চাহনী। জানে না, ছোয়ামাত্রই ব্লাস্ট করবে আমার গায়ে লাগানো শক্তিশালী বোমাটা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯