এপিসোড- ১
১
ছেলেটি মেয়েটির একটা স্কেচ একে দেবার প্রস্তাব দিল। খুশিমনেই রাজি হল মেয়েটি। 'তা কি ধরণের ছবি আঁকেন আপনি?' মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করল সে। 'লাশের ছবি।' ক্রুর হাসি হেসে জবাব দিল ছেলেটি।
২
ভুড়িভোজে মেতে ওঠা লোকগুলোকে দেখে ভাবছিলাম, এই পৃথিবীতে সংখ্যালঘুদের ন্যুনতম অধিকারটুকুও থাকতে নেই। নইলে যাদের জন্য এতো আয়োজন, হ্যালোউইন পার্টিতে সেই আমাদেরকেই (ভূতদের) কিনা নিমন্ত্রন করা হল না!
৩
আজ আমার বিয়ে। আমি এমন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি নই যে আমার বিয়ের খবর পত্রিকায় ছাপা হবে। অথচ আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে গোটা বিশ্বে সাড়া পড়ে গেছে। মানুষে-এলিয়েনে বিয়ে কি এতটাই মুখরোচক সংবাদ?
৪
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী, বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আমি হেটে চলেছি। গোলাপ দেবার মতো কাউকে পাচ্ছি না। আজকের দিনেও ফুল ব্যবসায় লস খেতে হবে?
৫
দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি আনন্দিত হলাম। নতুন থ্রিলারের প্লট পাওয়া গেছে।
৬
বাজারে এসেছি। অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে আজকাল। বাড়িতে থাকা অন্য আমিটা একটু বেশিই পেটুক কিনা!
৭
জিনিসটা শক্ত করে ধরলাম। খানিক বাদেই এর ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে। ঐতো, দেখা যাচ্ছে তাকে। এগিয়ে গিয়ে জিনিসটা বাড়িয়ে ধরে বললাম, আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি?
৮
'ভালবাসা হল আত্মার মিলন।' বলেছিল সে। মনে জোর পেয়ে নিজের দুর্বলতার কথা জানালাম। চেয়ে দেখি, কোথাও কেউ নেই।
৯
দরজায় যে দাঁড়িয়ে আছে, সে যদি আমার বউ হয়, তবে কাল সারারাত কার সাথে কাটালাম?
১০
বিখ্যাত ডিটেকটিভ ''অমুক'' আজ রহস্যের সমাধান জানাবে। জানে না, আসল ''অমুক''ও উপস্থিত থাকবে সেখানে।
১১
ক্ষুধার্ত শিয়াল শিকারের সন্ধান পেয়েছে। ঐতো পড়ে আছে জিনিসটা। দু'দিন ধরে অভুক্ত শিয়াল দাঁত বসিয়ে দেয় পড়ে থাকা শিয়ালের লাশে।
১২
হানিমুনে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি আমরা। সাথে যাচ্ছে পেটে থাকা সোনার বারগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪