পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সাক্ষ্যে আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার কোনো কথাই বলেননি বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি রোববার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এফিডেভিট কপি (আসাদ দুররানির আদালতে দেওয়া বক্তব্যের) সংগ্রহ করেছি। এতে পাকিস্তানের গোলাম মোস্তফা জাতই, জামস আসিফ, নওয়াজ শরীফসহ পাকিস্তানি যাদের অর্থ দেওয়া হয়েছে, তাদের নামসহ অর্থের পরিমাণ লেখা রয়েছে।
“আমার হাতে পুরো তালিকাটিই আছে। এখানে কোথাও বিএনপি অথবা খালেদা জিয়া কিংবা পাকিস্তানের বাইরের কোনো ব্যক্তির নাম নেই।”
আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অবৈধ পন্থায় অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠায় তা খতিয়ে দেখছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে বুধবার সাক্ষ্য দেন আসাদ দুররানি।
আসাদ দুররানি বিএনপিকে ১৯৯১ সালে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বৃহস্পতিবার তাদের ভারত সংস্করণে জানায়। এর আগে একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের দৈনিক খালিজ টাইমস।
খালিজ টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এই নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
গত ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের সমালোচনা করতে গিয়ে এই কথাটি তুলে ধরেন। এরপর ১২ মার্চ নয়া পল্টনের জনসভায় এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তাদের বিদেশি টাকার প্রয়োজন নেই।
খালেদার এই বক্তব্যের পর গত ১৪ মার্চ শেখ হাসিনা ১৪ দলের জনসভায় পুনরায় বলেন, “বিএনপি আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে এবং এখনো নিচ্ছে।”
ফখরুল বলেন, “এ সংক্রান্ত প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয় খালিজ টাইমসে। ওই সংবাদটি ভারতীয় সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় লিখেছেন। পাকিস্তানের কোনো পত্রিকায় এরকম সংবাদ প্রকাশ হয়নি।”
অর্থ নেওয়ার এই অভিযোগ অপপ্রচার দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল বলেন, “যখন বিএনপির পক্ষে জনমত বাড়ছে, সরকারের পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে, ঠিক তখনই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা তাদের (সরকার) সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপি কখনো বিদেশ থেকে অর্থ এনে রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করেনি। লন্ডনের ইকোনমিস্ট পত্রিকা বলেছে, আওয়ামী লীগই ২০০৮ সালে প্রতিবেশী দেশ থেকে বস্তায় বস্তায় টাকা এনে নির্বাচনে জিতেছে।”
Click This Link