ফেব্রুয়ারি ২০০৭, কোকিল ডাকা সুন্দর এক সকালে সাদা জামা গায়ে আব্বুমনির হাত ধরে জনসন রোডের সেই পুরনো মেডিকেলটাতে পা দেয়া । প্লে-গ্রুপের ক্লাসের মত সেদিনও ক্লাসে বসার পর আব্বুমনির হাত ধরেছিলাম অনেকক্ষণ । শুরুটা এভাবেই হল ।
... তারপর , প্রথম anatomy dissection Hall -এ পা রাখতেই হঠাত খেয়াল করলাম, বাবা-মা'র দেখা স্বপ্নখানা কখন যে চোখের পাতায় আঁকা হয়ে গিয়েছে !
এরপর- এক পা দু'পা করে বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দেয়া । পথটা অবশ্য সহজ ছিল না মোটেও । মোটা মোটা সব বইয়ের চাপ, দাঁতভাঙ্গা সব পড়া, ঘুম চোখে অসংখ্য রাতজাগা, মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, অমানুষিক কষ্ট -ঘেরা মেডিকেল জীবন ।
তবে চিকিৎসা বিদ্যা ছাড়াও এই ৫ বছরে আমি শিখেছি - টানা ৪৮ ঘণ্টা না ঘুমিয়ে থাকার শত উপায় , সুপার গ্লু ছাড়াও কিভাবে চেয়া- টেবিলের সাথে আটকে থাকতে হয় , 'নন-মেডিক্যাল' বন্ধুদের নানা উপায়ে কীভাবে অযথা ভয়-ভীতি দেখানো যায়, আত্নীয় স্বজনদের কাছে নিজেকে ঈদের চাঁদ করে তোলার বিদ্যা-
ইত্যাদি

... পাঁচ বছর পুরনো সেই স্বপ্নটি যে সত্যি হল তা নতুন করে জানতে পারলাম গত পরশুদিন । ধন্যবাদ জানাই আমার প্রভুকে । বাবা-মা'র মুখের ঐ অমূল্য হাসিটার কারন যে আজ আমি :