পড়ালেখার পর্ব এই বছরেরই শেষ হতে চলছে। তার মানে হলো অনার্স শেষ হয়ে এবার বুঝি মাস্টার্স ও শেষ হবে এবছরেই । কিন্তু এখনো পওরো বেকারের খাতায় নাম উঠানো । বন্ধুদের অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় নিজের একটা স্থান করে নিতে ব্যস্থ অনেকেই স্থান করেও নিয়েছে। আর আমি কিনা কি সব করছি । আমার আত্নবিশ্বাসটা কেন জানি দিন দিন কমে যাচ্ছে । সামনে কত চিন্তা ছিল কত স্বপ্ন ছিল। সব যেন কেমন কেমন হয়ে যাচ্ছে। আর আমার সময়ও বয়ে যাচ্ছে । পড়াশোনাও ভালো হয়নি। নিজে মেলে ধরার চেস্ঠা করিনি। কেমন যেন আত্নকেন্দ্রীক নিসেবে নিজের বেড়ে উঠা । এভাবে এক পর্যায়ে েকোথায় যাবো জানি না।
এদিকে আমার কোটা পদ্ধিততে কোন ব্যস্থা হবে বলে আশা করা যায় না। বাবা একজন নিরেট কৃষক রোদে তাপে পুরে সোনার ধান ঘরে তোলেন । আমার বাবা ঠিকই জানেন কিভানে ধান ঘরে তোলতে হয়। কখন কি মাটিকে দিতে হয় । আমার বাবা জানে কখন মাটি কি খাবার চায়। আবার বাবা তাই ব্যবস্থা করেন।
এদিকে অনার্স করতে প্রায় লেগে গেল ৬ বছর সেশনজট সহ ব্যক্তিগত অসুস্থ্যতা আর কত কি । আমি ভাবছি বাবার কাছেই কি আবার ফিরে যাবো। যদি ফিরেই যাই তবে আমার ৬ টা বছরের পর মাস্টার্সের আরো একটা বছর এভাবে ৭ বছর তো কেই ফিরিয়ে দিবে না। আর দিকে বাবার রক্ত পানি কারা ঘামে ভেজায় আমার লেখাপড়ার খরচ । ভাবতেই যেন মাথাটা ধরে যায়।
সৌদি সরকারের ঘোষণা দেকলাম আজাকের পত্রিকায় স্নাকোত্তর সকল কে চাকুরী দেওয়ার ব্যবস্থার কথা ।
আর আমাদের দেশে বেকার ২৬ লাখ। যদিও এই সরকার বলেছে ঘরে ঘরে চাকুরী দেবে। তাহলে আমি সেই ঘরে ফিরে যাবো।