বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম
আমার “আবু লাহাব” প্রেম
লেখাটি উৎসর্গ করা হল ব্লগার ভাই “তানভীর চৌধুরী পিয়েল” ও “নাস্তিকের ধর্মকথা” কে
গতকাল সন্ধ্যা-রাতে কিছুই করার ছিলনা। কষ্টোকর ব্যাপার হল ঐ সময় তৌফিক ইলাহিও(I mean electricity)ছিলনা বাসায়। তাই মোবাইলে করে আমি ব্লগে হাটছিলাম। হাটতে হাটতে একটা পোষ্ট নজর কারলো, তারপর মনও কেরে নিল। কিছুক্ষন হাসাল, কষ্টোদিল। কয়েক ঘন্টার জন্য একেবারে প্রেমে পড়ে গেলাম। পোষ্টটার নাম “সূরা লাহাব নিয়ে কিছুকথা” লিখেছেন নাধ ভাই, তিনি আবার লিখেছেন তাচৌ ভাইয়ের "একটি সুরা ও কয়েকটি প্রশ্ন" (যা ইতিমধ্যে ডিলিটেড ) শীর্ষক পোস্ট পড়ে। যে যাই বলুক, চমৎকার একটা পোষ্ট। আর একটু হইলে আল্লহের মত মহান স্বত্তা কেন, আবু লাহাবের মত সাধারন মানুষকে অভীশাপ দিলো এর প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়া দাড়ায়া যাইতাম।
এই হইল সূরা লাহাব
১.ধ্বংস হোক! আবু লাহাবের উভয় হাত, আর সেও ধ্বংস হোক।
২. তার ধন-সম্পদ যা সে উপার্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসবে না।
৩. তাকে অচিরেই লেলিহান আগুনে ঠেলে দেওয়া হবে।
৪. আর তার স্ত্রীকেও, লাকড়ীর বোঝা বহনকারিনী। (কোন কোন অনুবাদে লেখা ইন্ধন বহনকারিনী )
৫. তার গলায় থাকবে খেঁজুর গাছের ছালের তৈরি রশি।
Anyway এখন মূল প্যচাল শুরু। পোষ্টটাতে লেখক এবং মন্তব্যে উনার সাঙ্গপাঙ্গরা, মুসলিম ভাইদের কাছে কিছু যুক্তি সঙ্গত প্রশ্ন করেছেন ও যুক্তি সঙ্গত পরামর্শ দিয়েছেন, এগুল হলোঃ
১) আল্লাহ কেন আবু লাহাবের মত নগন্য একজন মানুষ কে অভীশাপ দিল? বা কেন তার সৃষ্টিকে অভীশাপ দিল?
২) সূরা লাহাব কি তাহলে রাসুল(সাঃ) ও তার সাহাবীদের ক্ষোভ থেকে তৈরি হওয়া কবিতা মাত্র?
৩) অভীশাপ দেয়াটাকি আল্লাহের দুর্বলতার প্রকাশ নয়?
৪) আবু লাহাবের অপরাধে তার স্ত্রীকে কেন জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে?
৫) "তার গলায় থাকবে খেঁজুর গাছের ছালের তৈরি রশি।" এখানে কি আঞ্চলিকতার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না? জান্নামের মধ্যে খেঁজুর গাছের ছালের তৈরি রশি খাকবে কেন?
৬) আল্লাহের তো চরম রাগ ইব্লিশের উপর থাকবার কথা মানুষের উপর না, কারন যত খারাবির জন্য তো ইব্লিশ দায়ি, তাহলে আল্লাহ কেন ইব্লিশের উপর রাগ করেন না?
৭) অন্য যারা নবীজি কে কষ্টো দিল(যেমনঃ তাহেফবাসী)তাদের উপর অভীশাপ নাই, আর যত অভীশাপ শুধু আবু লাহাবের উপর কেন?
৮) আবু লাহাবের স্ত্রীর উপর ক্ষোভটা নবীজির রাজনৈতিক কারনে, কারন আবু লাহাবের স্ত্রী রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতাবান ছিল, এবং আইয়েমে জাহেলিয়াতে নারীদের ক্ষমতা ছিলনা এইটা ভ্রান্ত ধারনা নয় কি?
৯) নরক কেন শুধু তৎকালিন বোধগম্য উপাদান(পুজ,আগুন,কাটা,গরমপানি…ইত্যাদি)দিয়ে তৈরি? ঐ ক্ষানে গ্যাস চেম্বার, সায়ানাইড, ইলেকট্রিক শক এর কথা নাই কেন?
১০) এই সুরার কথা গুলো মানুষের কল্পনার দ্বারা সাজানো নয় কি?
১১) সূরা লাহাবের Tense ঠিক করে পড়া যৌক্তিক নয় কি?
আবুলাহাব পরিচিতিঃ
যাকে সবাই “আবু লাহাব” নামে জানি, সেই ব্যাক্তিটির প্রকৃত নাম “আবদ-আল-ঊযযা”। আবু লাহাব তার নিক নেইম। “আবু লাহাব” শব্দটির অর্থ “Father of Flame” বা অগ্নি শিখার পিতা। তাকে এই নামে এজন্যই ডাকা হত, কারন তার গাল সব সময় আগুনের মত লাল হয়ে থাকত।
আবার আরবে কোন কিছুর মালিক(সম্পদের অধিকারি)অর্থে পিতা কথাটি যদি ব্যাবহার হয় তাতেয় অবাক হবার কিছু নাই। যেমন সন্তানরা তাদের পিতাদের সম্পদ। so সম্পদ হিসাবে যে আগুনের অধিকারি হবে তাকে অনায়েসে “আবু-লাহাব” বলা যায়। হইতে পারে যে “নাধ” এবং “তাচৌ” এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা সকলেই “আবু লাহাব”। এই খানে আপনারা আল্লাহের হিকমতটা দেইখা, কেন অবাক হন না, তা বুঝলাম না??!! “আবদ-আল-ঊযযা” নামক ব্যাক্তিটি দোজখে অনেক আগুনের অধিকারিদের(I mean অনেক Abu-Lahab দের) মধ্যে শ্রেষ্ট একজন অধিকারি হবেন, তাই আল্লাহ দুনিয়াতেই, তার বন্ধু-বান্ধব দ্বারাই, তার এই নাম দিয়া দিসেন।
উপরের আলোচনার উপর নির্ভর করে, বলা যায়, আল্লাহ শুধুই কোন একজন নির্দিষ্ট আবু লাহাব কে উদ্দেশ্য কইরা এই কথা গুলো সূরা লাহাবে বলেন নাই। বরং তিনি যুগে যুগে যত আবু লাহাবের সৃষ্টি হবে তাদের সকলের জন্যই বলেছেন, ১.ধ্বংস হোক! আবু লাহাবের উভয় হাত, আর সেও ধ্বংস হোক।
Tense বিশারদ যারা সূরা লাহাবের future tense কে past tense বানিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। তারা আশা করি, নিজেদের গায়ে, “আবু লাহাব” নামক শিল লাগবার আগেই, ইমানে ফিরে আসবেন। কারন এতক্ষনে নিশ্চই বুঝতে পারসেন যে, আপনাদের ধংশও ইমানদাররা কামনা করছেন প্রতিনিয়ত সূরা লাহাব পরার মাধ্যমে।
আবার দেখেন, এই সূরা নাজিল হবার সময় মহানবীর আরো অনেক বড় বড় কুরাইস শত্রু ছিল যেমন আবু সুফিয়ান, হযরত ওমর(রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ………ইত্যাদি, আবার লেখক নিজেই বললেন তায়েফবাসি কি অত্যাচারটাই না করল মহানবীর উপর কিন্তু তাদের অমঙ্গল কামনা করে কোন সূরা নাজিল হইল না? খালি specific নবীজির চাচা আবু-লাহাবের উদ্দেশ্যেই কেন অমঙ্গল কামনা?
একটু চিন্তা করেন ভাই, আপনারা এতো জ্ঞানী, আল্লাহকে পরামর্শ দেন। এই সূরা নাজিলের পর আবু লাহাব প্রায় ১১-১২ বছর বেচে ছিলেন, এই সময়ের মধ্যে সে ইসলাম গ্রহন করলেই, কুরানের একটা সূরা মিথ্যা হয়া যাইতো। কিন্তু হায়!!!! তার অনেক সাঙ্গ-পাঙ্গ এই ১১-১২ বছরে ক্রমে ক্রমে ইসলাম গ্রহন করলেও, সে করে নাই। এই ঘটনায় কি, আল্লাহের হিকমত আর কুরানের মুযিযা প্রকাশ পায় না?
নবীজি আর সাহাবীদের ক্ষোভ এর কারনে, তৈরি কবিতা যদি এই সূরাটা হইতো, তাইলে সাহাবীরা কি পরে সূরার future tense টারে change কইরা past tense বানায়া নিতে পারতো না? কারন তারাতো plan ই করেছিল যে মানুষকে তারা কেয়ামতের আগে পর্যন্ত এই কুরান পরতে আর মানতে উৎসাহিত করবে।
Tense বিশারদদের বলতেসি,
খেয়াল করেন, সূরা রূমের ২-৪নং আয়াত গুলা নিম্ন রূপ,
২)রোমকরা পরাজিত হয়েছে,
৩)নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে,
৪)কয়েক বছরের মধ্যে। অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে।
এই লাইন গুলা তখন নাযিল হইসিলো, তখন রোমানরা নিজেরাও জানত না যে তারা আবার পারসিয়ানদের পরাজিত করবে। আর নব্য মুসলমানরাও জানত না যে তারা এদের উভয়কেই পরাজিত করে একসময় আনন্দিত হবে। এই ধরনের লাইন গুলাকে বলে prophesy, সূরা লাহাবের লাইন গুলাও এই রকমই prophesy। আর Tense গুলা change করা হয় নাই, বা করা হবেও না। এর কারন এই যে, মহানআল্লাহ কুরান এর হেফাজতের ১০০% responsibility নিয়েছেন। সূরা লাহাব নামক কবিতা যদি মানুষ রচনা করতো তাহলে পরিবর্তনের ব্যাপারটা আসতো। এইটাও কুরানের একটা মুযিযা। দেখেন না আপনারা চেষ্টা কইরা লাইন গুলা change করতে পারেন কিনা, tense গুলা correct করতে পারেন কিনা?
লেখক আবার আল্লাহ সবল না দূর্বল তা নিয়া সংসয় প্রকাশ করলেন। ধরেন, মাটি দিয়া আমি একটা খেলনা বানাইলাম, তারপর কোন কারনে, আমার ঐ খেলনাটা আর পছন্দ হইল না। আমি খেলনাট কে আছাড় দিয়া ভাইঙ্গা ফালাইলাম। এতে কি আমার কোন দূর্বলতার প্রকাশ পায়? যদি নাই পায় তবে আল্লাহ, শুধু আবু লাহাব কে কড়া কথা বইলা দূর্বল হয়া গেল আপনাদের কাছে?
লেখকের দোজখ নিয়াও অনেক চিন্তা। ভাই, দোজখে আপনি মৃত্যুবরন করতে পারবেনা, যদি দোজখে জান, সেখানে আপনাকে করা হবে torchar, উপভোগ কতে দেয়া হবে যত রকমের যন্ত্রনা। পুজ,আগুন,কাটা,গরমপানি…ইত্যাদি উপাদান গুলো মানব জাতির ইতিহাসে যত না মৃত্যুর কারন তার চেয়ে বেশী যন্ত্রনার কারন। আর আপনার প্রিয় গ্যাস চেম্বার, সায়ানাইড, ইলেকট্রিক শক………ইত্যাদি মৃত্যুর কারন বেশি, যন্ত্রনার কারন কম। আরও কথা এই যে পুজ,আগুন,কাটা,গরমপানি…ইত্যাদি উপাদান গুলো আগেও ছিল, মানব জাতি যত দিন থাকবে খুব সম্ভবত তত দিনই থাকবে, so এই গুলার যন্ত্রনা বোঝা মানুষের জন্য সহজ।
লেখক বললেন আবু লাহাবের স্ত্রী নাকি নির্দোষ। ধরেন, আপনার পাশের বাসার সঙ্কর সাহেব, প্রতিদিনই আপনাকে দেখলেই কুত্তার বাচ্চ, শুওরের বাচ্চা………ইত্যাদি গালি দেয়, আপনাকে বিল্ডিং এর নিচ দিয়া যাইতে দেখলে, আপনার মাথার উপর ময়লা পানি(বা হিসু কইরাদেয়) ফালায়, আপনার গেটের সামনে তার যত house hold ময়লা ফেলে রাখে। এবং সঙ্কর সাহেবের সকল কাজে তার স্ত্রী দূর্গারানী সাহায্য করে ও উৎসাহ প্রদান করে। তাহলে কি আপনি বলবেন, আপনার ভোগান্তি গুলোর জন্য শুধু সঙ্কর সাহেবই দায়ি, দূর্গারানীর কোন দায় নাই? যদি নাই বলেন তাহলে, আবু লাহাবের স্ত্রী আপনার কাছে কিভাবে নির্দোষ হইল?
লেখকের ধারনা আবু লাহাবের স্ত্রী ক্ষমতা ধর ছিল। শুধু মাত্র ক্ষমতাবান স্বামীর চামচামি করলে কি একজন স্ত্রী কেও ক্ষমাতাশীল বলা যায়? নাড়ীর ক্ষমতায়নের সঙ্গা যদি আপনার কাছে এই রূপ হয় তবে আমার কিছুই বলবার নাই!!!!
লেখক আরো বললেন যে আবু লাহাবের ও তার স্ত্রীর উপর ক্ষোভটা নবীজির রাজনৈতিক কারনে, ভাই, এইটা কেমনে possible? উনিত কুরাইশ বংশের সম্মানিত, জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন ইসলাম প্রচারের আগে। উনিত দুনিয়ার সকল মোহ ত্যগ করে, কুরাইশদের দেয়া মর্যাদা ফালায়া দিয়া, ইসলামের মাঠে নামলেন, আর এইটা তো ইতিহাস।
ভাই, আল্লাহের রাগ শুধু মানুষের উপর, ইব্লিশের উপর নাই। এই কথা আপনি কোথা থেকে পাইলেন? ইব্লিশ কে কেয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দেয়া হইসে। এই কথা তো কুরানেই আছে। আর মানুষকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ নানা রকম ভয় দেখাইসেন। এর মানে তো এই না যে আল্লাহ মানুষকে অপছন্দ করেন আর ইব্লিশ কে পছন্দ করেন? আপনি কি আপনার কাছের মানুষদের নানা কাজে সতর্ক করার জন্য ভয় দেখিয়া প্রভাবিত করেন না?
খেজুরের রশিতে আপনি, আঞ্চলিকতা খুজে পাইলেন। মানে আপনি ইঙ্গিতে বুঝাইতে চাইলেন, হয়তো কুরান শুধু খেজুর পওয়া যায়, এমন অঞ্চলের মানুষদের জন্যই। ভাই, খেজুরের রশির কথার অর্থ গত কোন আঞ্চলিকতা নাই, রশিতো রশিই। যেমন আপনার dysentery হইলে ডাঃ কে যায়া বলেন যে, ডাঃ সাহেব আমার পেট কামড়াইতেসে আর পায়খানার রাস্তাদিয়া আম পড়তেসে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আপনার পেটো কামড়ায় না , আপনার পায়খানার রাস্তাদিয়া আমও যায় না। এই ক্ষেত্রে অর্থের কোন আঞ্চলিকতা নাই। আপনার পেট কামড়ান মানে যেমন বিশেষ একধরনের পেটে ব্যাথা, তেমনি এখানে খেজুরের রশি মানে, মজবুদ পাকান রশি বা পাকানো মোটা দড়ি, এমনকি হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ) অনুবাদ করেছেন লোহার মোটা পাকান দড়ি হিসাবে। আর আরবী ভাষাকে যদি আপনি বলেন আঞ্চলিক তবে আপনার জ্ঞান নিয়া আমার সংসয়। আরবী হইল একমাত্র মৌলিক ভাষা, যা এখন মানব সমাজে কথ্য। মৌলিক ভাষা গুলো হল অনেক ভাষার মা। আরবী ভাষার কত শব্দ যে কত ভাষার সম্ভারকে Rich করেছে যেকোন ভাষার ব্যাকরন বই অথবা অভিদান খুল্লেই বোঝা যায়। যেমনঃ যেই honeymoon honeymoon চিন্তা কইরা আপনি প্রতিনিয়ত গরম হন, তা English না Arabic শব্দ।
সূরা লাহাব (১১১) (মক্কায় অবতীর্ন)
১.ধ্বংস হোক! আবু লাহাবের উভয় হাত, আর সেও ধ্বংস হোক। ২. তার ধন-সম্পদ যা সে উপার্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসবে না। ৩. তাকে অচিরেই লেলিহান আগুনে ঠেলে দেওয়া হবে। ৪. আর তার স্ত্রীকেও, লাকড়ীর বোঝা বহনকারিনী। (কোন কোন অনুবাদে লেখা ইন্ধন বহনকারিনী ) ৫. তার গলায় থাকবে খেঁজুর গাছের ছালের তৈরি রশি।
এই সূরার দ্বিতীয় আয়াতটাও ছিল একটা prophesy, এবং ইতিহাশ জানার কারনে আপনারা হয়ত সঙ্গত কারনেই এই নিয়া প্রশ্ন তুলেন নাই। যাই হক নুতন নাস্তিক যারা জানেন না তাদের জানার জন্য বলি,
বদরের যুদ্ধের পরবর্তি সময়ে, এই “আবদ-আল-ঊযযা” এমন সঙ্ক্রমনে আক্রান্ত হন, যে তার শরির থেকে গন্ধ বের হত। কোন অর্থের বিনিময়ে তার চিকিৎসা হয়নি। তার চামচা(ডানহাত) স্ত্রী, এবং তার নিজের উওরোশ জাত(সম্পদ)সন্তানেরা তাকে ত্যাগ করে। মৃত্যু হয় দিনের পর দিন পরিবার বন্ধু-বান্ধব ছাড়া একা থাকা অবস্থায়। মৃত্যুর পর লাশ ৩ দিন পর্যন্ত একা পড়ে ছিল এবং পোচে গিয়ে ছিল। এই লোকের লাশ, পরে ক্রিতদাশরা, খুটি দিয়ে ঠেলে ঠেলে এক স্থানে নিয়ে, উপরে পানি ঢেলে দেয়, এবং লাশের উপর পাথর উড়িয়ে মারতে মারতে, পাথর দিয়ে লাশ ঢেকে দেয়।
আপেক্ষিক ভাবে নাস্তিকদেরকে, তাদের কথা বার্তার সাপেক্ষে, মনে হয় যে তারা বিজ্ঞানের আর যুক্তির সোল এজেন্ট। কিন্তু একটু ঘাটলে মনে হয়, তারা গোয়ার গিরি আর মূর্খতার সোল এজেন্ট। যাই হোক, আমার ভালোবাসা নাস্তিকদের সাথেই থাকল। কারন তাদের জানার ইচ্ছা আর জ্ঞান পিপাসা নিয়া আমার কোন সন্দেহ নাই। আস্তিকদের এই জিনিশের অভাব খুবই প্রকট এবং আমি তা মানতে পারিনা!!!!
বিজ্ঞান মনষ্কোরা আমার নিচের লেখা দুইটা পড়তে পারেন
১)সময় নিয়ে বিজ্ঞানের ঘাপলা
http://www.somewhereinblog.net/blog/jitudhkbd/29607336
২)আমার মৃত্যুতেই সব শেষ
http://www.somewhereinblog.net/blog/jitudhkbd/29609425