আজ ৮ মার্চ। সারা বিশ্ব এই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকে। বিশ্বের সকল দেশে নারীদের অবস্থান, মর্যাদা, সম্মান এক রকম নয়; সমাজ-সভ্যতা, ধর্ম-সংস্কৃতি, শিক্ষা ও অর্থনীতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন।
মূলতঃ এই দিবসটিতে নারীর অধিকার ও সচেতনতাই থাকে আলোচ্য বিষয়। সমাজ-সভ্যতার উৎসেও রয়েছে নারীর অবদান। একজন শিক্ষিত সচেতন নারী পারেন একটি সমাজকে, একটি দেশকে পরিবর্তন করতে। গ্রেট আলেকজান্ডার সেই নারীকেই খুঁজেছিলেন। যিনি একজন মা,একজন সচেতন শিক্ষিত মা। নারী দিবসে সেই মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট পোস্ট।
আমাদের সমাজে নারী কেন পিছিয়ে আছে, কেন নিগৃহীত, তার পেছনেও নারীই কারণ। মূলতঃ মায়েদের অজ্ঞতা, অসচেতনতা ও বৈষম্যমূলক ভাবনা সেজন্য দায়ী। মায়েদের একটা জায়গায় ভ্রান্তি রয়ে গেছে। চরম ভ্রান্তি। যার জন্য পুরো মানুষজাতটাকেই খেসারত দিতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মা তার ছেলে সন্তানকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, মেয়ে সন্তানকে দেন অবহেলা। ছেলেমেয়ের প্রতি সমান মনোযোগের অভাব এখনো অধিকাংশ মায়ের। এই অমনোযোগের কারণেই আসছে শিক্ষায় বৈষম্য। ছেলেটা তার আধিপত্যের মন্দ শিক্ষাটা পায় প্রথমেই তার মায়ের নিকট থেকে। আর মেয়েটা মায়ের অমনোযোগিতা পেয়ে হীনমন্য হয়ে বেড়ে উঠে। মেয়ে সন্তানটি অনেক ক্ষেত্রে বড় হবার মতো, মানুষের অধিকার নিয়ে লড়বার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলে মায়ের কারণেই। অথচ সব সন্তানের জন্য সমান গুরুত্ব ও সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করার প্রয়োজন। আইন ও রাষ্ট্রও ছেলেমেয়ের সমান অধিকারের পক্ষে। একজন মায়ের সচেতনতা তাঁর সন্তানকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। পারে অবুঝ বাবার মানসিকতার পরিবর্তন আনতে, সমাজের তথা দেশের পরিবর্তন আনতে।
সকল মায়ের প্রতি দাবী, করুণার পাত্র করে গড়ে তোলবেন না আপনার মেয়েকে। আধিপত্যের আগ্রাসী বীজ বুনবেন না আপনার ছেলের মনের মুকুরে। মানুষ হবার সঠিক শিক্ষাটা দিন আপনার সন্তানদের। তাহলে আপনিও হবেন প্রকৃত মর্যাদাবান একজন মা। আলেকজান্ডার যে মা চেয়েছিলেন।
নারীর অধিকার রক্ষায় মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। নারী দিবসে সংগ্রামী সচেতন সকল মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৩