আজিকে যে রাজাধিরাজ
কাল সে ভিক্ষা চায় . . . . ।
ক্ষমতাও চিরদিন কারোর হাতে কুক্ষিগত থাকে না। সময়ের পরিবর্তনে তা পরিবর্তিত হয়। এ কথাটাই আমাদের অনেক সময় মনে থাকে না, বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের তো না-ই। এখানে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে পারষ্পরিক সম্প্রীতির চেয়ে প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতির প্রবণতা প্রকটভাবে লক্ষণীয়। এর উলটোটা হলেই মঙ্গলময় হতে পারে।
মানুষের ভুলভ্রান্তি থাকেই, কেউ এর উর্ধ্বে নয়। তাই বলে সকল সময় সব বিষয় মনে ধরে রাখতে নেই। কেউ ক্ষমা চাওয়ার আগে যদি তাঁকে ক্ষমা করে পাশে টেনে নেওয়া হয়, তাতে তাঁর সম্মান কমে না, বরং মহত্বের মর্যাদা বাড়ে। প্রতিশোধ প্রবণতা কখনোই আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না, উলটো ক্ষতিই করে। সে ক্ষতিটা অনুধাবন করা যায় যখন সময় পরিবর্তন হয়।
এক সময়ের গৃহিনী খালেদা জিয়া রাজনীতিতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী হয়ে উঠেন। দুর্নীতি আর রাজনীতির মারপ্যাচে কারান্তরীণ হয়ে অনেকদিন জেলবন্দী ছিলেন। তারপর গৃহবন্দী। অসুস্থতার পর দেশবন্দী। আইনের বেড়াজালে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবার অনুমতি নেই। দুটো সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীর এই করুণ হাল খুবই দুঃখজনক। আমি মনে করি, সব বিষয়ই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তিনি সদয় ইচ্ছে করলেই বিদেশে তাঁর চিকিৎসার সুব্যবস্থা করে একটি মানবিক কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন, একই সাথে সাধারণ মানুষের আস্থা এবং সহানুভূতিও অর্জন করতে পারেন। খালেদা জিয়ার এই মুমূর্ষু অবস্থায় সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ালে শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি হবে না, বরং রাজনৈতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। দেশ-বিদেশে একজন সত্যিকারের মানবিক রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
আজকের প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রীও নিশ্চয়ই অবগত আছেন, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায় . . . . .
(ছবি নেট থেকে সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৮