সেই দিন ফুরিয়ে গেছে। দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামে উন্নীত হয়েছে। তাই হয়তো বিদ্যালয়গুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে। এখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কমে গেছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি যোগ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে অন্য ধর্মানুষ্ঠান হবে কেন, হলে তো দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানই হবে! তাইই হয়তো “দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠান”এর ধাক্কায় “বিদায় অনুষ্ঠান”এর বিদায় ঘটেছে করুণভাবে। অনেকে মনে করেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা। এই লোকগুলো গায়ের জোরেই সব করতে চায়। নিজের আচার-বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে বাহাদুর বনে উঠে। এমন কিছু শিক্ষকও রয়েছেন যারা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মের সাথে সাম্প্রদায়িক শিক্ষা বিস্তারের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। এর ফলে একজন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে নিছক সহপাঠী হিসেবে না দেখে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠে। সাম্প্রদায়িকতার এই বিষবৃক্ষের বীজ বিদ্যালইয়েই বপন করা হয় শিক্ষার্থীর মনের গভীরে। নিজের অজান্তেই তা বিষবাষ্প হয়ে অপরাপর সম্প্রদায়কে আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করে।
এদেশের জনগণের মধ্যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুখ্যাতি ছিল যুগে যুগে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ও ছিল অসাম্প্রদায়িকতা, যার ফলশ্রুতিতে দেশের প্রথম সংবিধানের মূল চারটি স্তম্ভের অন্যতম ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। কালের বিবর্তনে আজ অনেক কিছুই বিলীন, সাথে সম্প্রীতি এবং শান্তি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:০৪