প্রত্যেকটা দিন নেইমারের মাঠে গড়াগড়ি খাওয়ার মিমস দেখতে দেখতে বিরক্তি ধরে যাচ্ছে। সবাই হাসছি। মজা পাচ্ছি। পাওয়ার কারণও আছে। একটা কাজ করি, চলেন একটা হিসাব দেখি।
★এখনকার ক্লাব লেভেলের রেগুলার ফুটবলারদের মিনিমাম এভারেজ ওজন ৭২কেজি
★আমার নিউজফীডের অর্ধেকের ফেভরেট, রোনালদোর ওজন ৮৪ কেজি
★আর বাকি অর্ধেকের ফেভরেট, মেসির ওজন ৭২ কেজি
আর নেইমারের মাত্র ৬৮ কেজি। বেশি সবজির ধোঁয়া খেলে যা হয়। হাইট, ওয়েট, বিএমআইএর মত পয়েন্টগুলা নিয়ে লিখে কম্লিকেট নাই করি। সবগুলা হিসাবের মদ্দাকথা, নেইমার হেভিলি আন্ডারওয়েটেড।
নেইমার যে মোমেন্টামে দৌড়ায় হার্ড টেকেলে রোনালদোর আর মেসির তুলনায় ওর ব্যালেন্স রাখা এমনিই কঠিন। তার উপর ওর গায়ের ৩টা জায়গা ভাংগা।
১। কোমড়ের হাড়,
২। ডান পায়ের গোড়ার হাড়,
৩। বাম পায়ের রানের গোড়ার হাড়,
শেষের দুইটা সিরিয়াস, স্ক্র লাগিয়ে মাঠে নেমেছে এবার।
এথলেটরা ক্যারিয়ার লম্বা করার জন্য এখন টেকেলের সময় এক্সট্রা সাবধানে থাকে। তার মধ্যে এই ইনজুরিগুলার জন্য, ধাক্কা খাওয়ার পর জোর করে প্রেশার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করেও না নেইমার। আর এখনকার ফুটবলাররা ফেয়ার প্লে থেকে অনেক সরে যাচ্ছে কোচদের প্রেশারেই। অপজিশন কে একটা হলুদ কার্ড খাওয়ানোর জন্য নির্দেশ দেয় এই কোচরাই।
আর আমরা সবাই কাজ কাম বাদ দিয়ে নেইমারের গড়াগড়ি নিয়ে ট্রল করে যাচ্ছি। নিজের কাজে মন দেই চলেন, খেলা আর আছে ৪ দিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩