somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডিনারের অভিজ্ঞতা

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালকে, মাথা গরম ছিল বলে আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডিনারের অভিজ্ঞতা লিখতে পারিনি। ঘুম থেকে উঠে বেশ ফ্রেশ লাগছে, তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে সেয়ার করি, কাল কি কি হলো।

কাল আমি একটু লেট হয়ে গেছিলাম রেস্তোঁরা তে যেতে। আমার যাবার টাইম দিয়েছিলাম ৮টা, কিন্তু ওখানে পৌছই ৮ টা ২৫ নাগাদ। সত্যি কথা বলতে গেলে, আমি ইচ্ছা করেই লেট হয়েছিলা, আমি ভাবেছিলাম মেয়ে মানুষের আবার সাজাগোজার ব্যাপার থাকে তাই হয়তো ও লেট হবে। কিন্তু আমি যখন ওখানে পৌছই, তখন দেখি একাই বসে আছে পায়ের উপর পা তুলে। আমি যখন হেটে আসছিলাম ওর দিকে তখন ও আমাকে ইচ্ছা করে দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকলো! আমি কাছে গিয়ে বল্লাম "সরি, একটু দেরি হয়ে গেলো"। ও দেখি একটা চওড়া হাসি দিয়ে বল্লো "না, আমিও এইমাত্রই এলাম"। আমি ভাবলাম, আমি ঠিক! আমার পূর্বানুমান ঠিক হয়েছে। কিন্তু এটা যে রেগে বলেছে সেটা আমি বুঝতেই পারিনি। আসলে কোন দিন মেয়েদের রাগ, আভিমান সামলাতে হয়নি তো, তাই বুঝতে পারিনি!

ওর মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না, খালি হাসি পাচ্ছিল! রাতের বেলায় রেস্তোঁরার আন্ধকারে ওর চড়া মেকআপ কেই বা দেখবে, এই ভেবেই বার বার পেটের মধ্যে হাসির রোল উঠছিল। পরনে ব্লু রঙ্গের মিনি স্কার্ট উপরে ওটা যে কি ছিল আন্ধকারে বুঝতেই পারলাম না। সুধু বড় বড় সাইজের দুটো জিনিস যে প্যকাটে শরীর থেকে উকি মেরে মেরে আমাকে ইম্প্রেস করতে চাইছে, সেটা বেশ বুঝতে পারছিলাম। ছোট দুটি চোখে সুচীত্রা সেন স্টাইলের কাজল পরা, সেটা বেস বোঝা যাচ্ছিল।

সে যাই হক! পকেট থেকে ঘাঁড় ভাঙ্গা একটা রুগ্ন লাল গোলাপ বের করে দিলাম। ও বেস, উচ্ছসিত ভাবে বল্লো "থ্যাংস, সুইট হার্ট"। আমার তো "সুইট হার্ট" সুনে মনের মধ্যে বেশ "আকু পাকু" করে ঊঠলো। আমি রিপ্লাইয়ে বল্লাম "দ্যার্টস, মাই প্লেজার"। ও বেস গোম্ভির হয়ে গেল। আমি তাই তারাতাতি ওয়েটার কে ডেকে মেনু কার্ডটা দিতে বলামাত্রই মেনুর একটা মোটা ডিক্সনারী দিয়ে গেল। আমি সেটা ওর দিকে পাস করে দিয়ে বল্লাম, এখন কি খাবে? ও দেখি ফস করে মদের আর্ডার দিয়ে ফেল্লো! মুহুর্তের মধ্যেই মদ হাজির। আমি তো মেপে মেপে মদ চাখছি, আর ও দেখি ঢক ঢক করে দুপেগ চালান করে দিল। আমি মতিগতি ঠিক না বুঝে "একটু বিরক্তি দেখিয়ে বল্লাম, মদ ছারা আর কি খাবে, বলে দাও!!"। ও মধু মাখা কন্ঠে বল্লো "তুমি বলে দাও না, সুইট হার্ট"। আমি বল্লাম, আমি তো জানিনা তুমি কি পছন্দ করো। ও একটু বাঁকা হাসি হেসে বল্লো "তুমি আমাকে যা খাওয়াবে তাই খাবো"। আমি ধরতে পারিনি যে, এই কথা মধ্যে যৌনতা আছে। পরে আন্দাজ করতে পারলাম। সে যাই হক আমি, সবচেয়ে দামি দামি ডিস গুলো অর্ডার করলাম। ওয়েটার চলে গেল। তার পর সুরু হোল, গপ্পো (গপ্পো না বলে জেড়া বল্লেই বোধ হয় ভালো হতো)! আমি পকেট থেকে একটা লেডিস দিগারেট বের করে সুখটান দিতে দিতে একের পর এক উত্তর দিতে লাগলাম! গপ্পো যখন প্রায় শেষের দিকে তখন, ও আমার হাতটা খপ করে ধলো! আমি চমকে গিয়ে হাতটা সরিয়ে নিলাম। তার পর ভুলবুঝতে পেরে, আমিই ওর হাতটা ধরলাম। ও বেশ খুশি হল। এতো প্যকাটে হাত আমি জীবনে কোন দিন ধরিনি! তারপর একে একে খাবার আসতে থাকলো! একটা টেবিলে না আটাতে, ২ জন ওয়েটার মিলে আরো একটা টেবিল তার সাথে জুরে দিল। আমি এতো খাবার দেখে বেশ ঘাবরে গেছিলাম। মনে মনে ভাবছিলা "রাক্ষুষী দেখি কতো খেতে পারে!!"। আমি তার মধ্যে ভেজ আইটেম গুলো বেছে বেছে খেতে থাকলাম। আর ১ জন ওয়েটার অনবরতো দুজনের প্লেটে দিতে থাকলো! তার সাথে উনি আবার মদের আর্ডার করে বসলেন! প্লেটের খাবার প্লেটেই পরে থাকলো, আর উনি আরো ৩ পেগ মদ গিলে নিলেন! এই নিয়ে ৫ পেগ হল টোটাল। সব শেষ করে, আমি ওর আবস্থা ঠিক না বুঝতে পেরে রেস্তোরার বিল মিটিয়ে ওকে গাড়িতে তুলে তারাতারি ওর বাড়ির গেটের সামনে নামিয়ে, হাফ ছেড়ে বাচলাম!!!!!

(আরো আনেক কথা বলার ছিল! কিন্তু বলতে পারলাম না। আমি আর ব্যান হতে চাইনা যে!!!! :D )
২১টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×