১। [http://www.somewhereinblog.net/blog/jiboneblog/29552151]
========
২।
Click This Link
বিএনপিকে তহবিল দেওয়ার কথা স্বীকার করলেন দুররানি
অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ১৬-০৩-২০১২
৯০ মন্তব্য
প্রিন্ট
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান স্বীকার করেছেন, ১৯৯১ সালে সাধারণ নির্বাচনের সময় সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে তহবিল জোগান দিয়েছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে এ-সংক্রান্ত একটি মামলায় তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন বলে আজ শুক্রবার জানা গেছে। খবর বাসসের।
পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি গত বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের জারি করা সমনের উত্তরে এ স্বীকারোক্তি দেন।
ভারতের ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, ‘গোয়েন্দা সংস্থার এখতিয়ার সম্পর্কে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সাবেক আইএসআই-প্রধান এ স্বীকারোক্তি দেন।’
গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে আইএসআইয়ের এখতিয়ার-সংক্রান্ত এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এ সমন জারি করেছিলেন।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গত বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খানের দায়ের করা এক দশকের পুরোনো এক মামলার শুনানিতে আসাদ দুররানিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ আসাদ দুররানিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। তাঁকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এবং বাইরে রাজনীতিকদের তহবিল জোগানদান-সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন করেন।
এ মামলায় আসগর খান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মেহরান ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ের দায়ে দুররানি ও সাবেক সেনাপ্রধান আসলাম বেগকে অভিযুক্ত করেন।
তেহরিক-ই-ইসতিকলাল দলের নেতা প্রবীণ রাজনীতিক আসগর খান ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটি করেন। অভিযোগে বলা হয়, মেহরান ব্যাংক ১৯৯০ সালে অনুদান হিসেবে সেনাপ্রধান আসলাম বেগকে এই অর্থ দেয়। কিন্তু বেগ ইসলামি জামহোরি ইত্তেহাদ (আইজেআই) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যবহারের জন্য ঋণ হিসেবে ওই অর্থ আইএসআইকে দেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় পাকিস্তানের সামরিক নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘ভারতপন্থী’ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সহায়তা হিসেবে বিএনপি-প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে ৫০ কোটি রুপি দেন।
আসাদ দুররানির স্বীকারোক্তি এমন একসময় পাওয়া গেল, যখন বিএনপি ওই প্রতিবেদনের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছে। আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দাবি করেন।