ও কারীগর দয়ার সাগর ওগো দয়াময়
চাঁদনী পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়...
চাঁদ ঝলমলে আলোর রাতে মৃত্যু এলে সেই মৃত্যুর পার্থিব কোন মাহাত্ম্য আছে কী নেই জানিনা। তবে একজন ভাবুক, দার্শনিক, হয়তবা কিছুটা খ্যাপাটে লেখক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদ মারা গেলেন বাংলাদেশের মেঘাচ্ছন্ন রাতে।
নিউইয়র্কে এখন কি রাত? হয়ত মধ্যরাত, ওখানে কি এখন চাঁদের আলোর বন্যা বইছে? কে জানে বা কি এসে যায়!
সময় নির্মম এক ছুরি, কেঁটে যায় সব, নিয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কবিতার মত মহাকাল শুধু কর্মকেই ধারণ করে, ব্যক্তিকে নয়, করুণা করে হলেও ব্যক্তির ঠাঁই নেই মহাকালে। কালের গর্ভে হারিয়ে যাবেন ব্যক্তি হুমায়ুন আহমেদ। রয়ে যাবে তার সৃষ্টি, রয়ে যাবে হিমু, মিসির আলি, শুভ্র, বাকের ভাই, মাজেদা খালা বা বাদল।
হুমায়ুন আহমেদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। লজিক-এন্টিলজিকের জগৎ আর জগৎের ঘোর ছেড়ে তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন!
বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে এক নজরে হুমায়ুন আহমেদঃ
পেশাঃ লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী
বংশদ্ভূতঃ বাঙালি
নাগরিকত্বঃ বাংলাদেশ
কার্যকালঃ ১৯৭২-২০১২
ধরনঃ উপন্যাস, ছোট গল্প, প্রবন্ধ, জীবনী, কলাম
উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারঃ বাংলা একাডেমী পদক, একুশে পদক
দাম্পত্য সঙ্গীঃ গুলতেকিন (১৯৭৩-২০০৩), শাওন আহমেদ (২০০৩-২০১২)
সন্তানঃ নোভা, শিলা, বিপাশা, নুহাশ, নিষাদ, নিনিত
আত্মীয়ঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব