সোনারগাঁ যাদুঘরের চাইতে পানাম সিটি আমার বেশী ভালো লাগে। তবে দুঃখের কথা পানাম সিটি এখন আর আগের মত নেই। পুরানো ভবনগুলো সংরক্ষনের নামে ইট দিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছে। দেখতে খুবই জঘন্য লাগে। কষ্ট লাগে - আমাদের ঐতিহ্য গুলো চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেখে। গত ফেব্রুয়ারীতে বউ কে নিয়ে গেলাম সোনারগাঁও। গুলিস্থান থেকে বাসে উঠলাম। সরকারী বন্ধের দিন থাকায় রাস্তা ফাঁকা ছিল। সোয়া একঘন্টার মধ্যে চলে আসলাম মোগরা পাড়া বাসস্টান্ডে, তারপর রিক্সা দিয়ে সোজা সোনারগাঁও যাদুঘর। লোকজ উৎসব-২০১০ চলছে। চারদিকে সাজ সাজ রব! মেলা হচ্ছে! অনেক লোকজন এসেছে পিকনিক করতে।
মেইন গেট দিয়ে ঢুকে হাতের ডানে বিশাল এক পুকুর, পাশে লোকশিল্প যাদুঘর। এই যাদুঘরটা আমার আগেও ভালো লাগেনি, এবারো লাগলো না। একগাদা থালা-বাটি, হাড়ি-পাতিল শোকেজের ভিতর রেখে যাদুঘর বানানো হয়েছে। দম বন্ধ হওয়া টাইপ যাদুঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে বড় মাঠের পাশে পুকুর পাড়ে বসলাম বুক ভরা নিঃশ্বাস নেয়ার জন্যে।
সোনারগাঁ যাদুঘর কমপ্লেক্সের যে অংশটায় মেলা হচ্ছিল এবার সে দিকে গেলাম। যাওয়ার পথে ওয়াল পেইন্টিং খুব ভালো লেগেছে। মেলার সব স্টলই কুটির শিল্প আর লোকজ শিল্প পন্যের। আমরা কয়েক ধরনের মুরলি কিনলাম। পুরা এরিয়াটা একবার চক্কর দিলাম। পিকনিট পার্টির খাবারের গন্ধে আমাদের খিদে পেয়ে গেছে। ভিতরে খাবারের কোন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি তাই যাদুঘরের বাইরে রাস্তার পাশে যে হোটেল গুলো আছে তার একটাতে ঢুকলাম। আউটলুক ভালোই। খাবার অর্ডার দিয়ে বসে আছি।
জঘন্য টাইপ খাবার খেয়ে রওয়া দিলাম পানাম সিটি। পানাম সিটির বর্ননা তো শুরুতেই দিয়েছি। নির্জন এই নগরীর রাস্তার এক প্রান্ত দিয়ে আরেক প্রান্ত হেটে বেড়ালাম।
[কয়েক মাস পর ব্লগে পোষ্ট করলাম। বছরের শেষ পোষ্ট। সবাই কে নতুন বছরের শুভেচ্ছ।]
স্মৃতি ঃ আমি আর আমার বউএর সোনারগাঁও ভ্রমন।
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১০ইং, শনিবার।

আলোচিত ব্লগ
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....
জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গলা-বুক জ্বালা দেখে অম্বলের ওষুধ দিয়েছিলেন চিকিৎসক, চ্যাটজিপিটি ধরল ক্যানসার
ক্যানসার ধরল চ্যাটজিপিটি! চিকিৎসকেরা ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। তাতে অবস্থা আরও খারাপ হয় মহিলার। চ্যাটজিপিটিই বলে দেয়, কী রোগ বাসা বেঁধেছে তলে তলে। চিকিৎসকেরা ধরতেই পারেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!
বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট
ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।
এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন