সকালে ভুনা খিচুরি আর ডিম ভাজা দিয়ে আহার পর্ব শেষে কর্মেক্ষেত্রে গেলাম অপকর্ম (আড্ডা বাজি) করতে। যাওয়ার পথে দেখলাম পাবলিকের উৎসব মাখা চেহারা। আজ একটু দেরীতে অফিসে ঢুকলাম। অফিসের কলিগদের সাথে দুষ্টামি ফাইজলামি করলাম। তাদের অনেকে ভোরে রমনা থেকে পান্তা-ইলিশ খেয়ে এসে আমাদের কর্পোরেট আড্ডায় ঢেকুর তুলছে। আমি টাকা খরচ করে পান্তা-ইলিশ খাওয়ানের পাবলিক না ! কাচ্চি বিরিয়ানি-বোরহানী তেই আমার তৃপ্তি।
আমাদের ফ্লোরে যারা আছে তাদের জন্য একটা সিসটেম করে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম। ছুটলাম বংশালের আল-রাজ্জাক হোটেলে। কাচ্চি বিরিয়ানি আর ফিন্নির অর্ডার দিলাম ৪২ প্যাকেট। খাবার প্যাকেট হইতে হইতে আমরা এক লিটার লাবং সাবার করলাম। পরে অফিসে এসে সবাই কে নিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাইলাম। তারপর ফিন্নি খাইতে খাইতে ব্লগে চোখ বুলালাম।
প্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ এর কনসার্ট দেখতে গেলাম বনানী মাঠে। আমি যখন যাই তখন মাইলস মাত্র স্টেজে উঠেছে। হিট কিছু গান শুনলাম মাইলসের। সন্ধ্যার পর আসলো ওয়ারফেজ। প্রায় ৭/৮ বছর পর ওয়ারফেজ এর স্টেজ প্রোগাম দেখছিলাম, তখন সঞ্জয় ছিল ভোকাল। এখন গাইছে মিজান। প্রত্যেকটা মেম্বারের অসাধারন পারফরমেন্স। ওরা ৭/৮টা গান গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করলো।
আমি বাসার দিকে চলছি। রাতে খাইলাম মুরগি বিরিয়ানি !
জম্পেশ পহেলা বৈশাখি পার করলাম।
স্মৃতি : পহেলা বৈশাখ ১৪১৬ (১৪ এপ্রিল ২০০৯ইং, মঙ্গলবার)।