অনেক দিন পরে সামহয়্যারে বিভিন্ন ব্লগে ঘোরাঘুরি করতে করতে আপনার এই লেখাটা চোখে পড়লো। লেখার শিরোনাম পূর্ণেন্দু পত্রীর কয়েকটি কবিতা । যেখানে আপনি নীচের কবিতাটি পূর্ণেন্দু পত্রীর বলে উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু মূলত: কবিতাটি আমার লেখা। এই লেখাটিতে পত্রীর যে প্রভাব আছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই এবং শিরোনামটা যে উনার কাছ থেকে নেয়া সে ব্যাপারে কমেন্টে উল্লেখ পাবেন। কিন্তু কবিতাটি সম্পূর্ণ আমার মৌলিক সৃষ্টি। পরবর্তীতে আমি কথোপকথন -২ লিখি। এরপর আর এগোনো হয়নি।
খুব সম্ভবত: কথোপকথন শব্দটা দেখেই আপনি মনে করেছেন ওটা পূর্ণেন্দু পত্রীর লেখা। যাহোক, সচেতন পাঠকদের অনুরোধ করছি কারো কাছে থাকলে পত্রীর কথোপকথন-১ টা পোস্ট করার জন্য। তাহলে একটু যাচাই করে নেয়া যেত।
অনেক নেট সার্চ করে পত্রীর কথোপকথন-১ কবিতাটি পাওয়া গেলো এই লিংকে । স্ক্যান করা কপি, তাই ভরসা করা যায়। ভরসা করতে ভয় পাওয়ার কারণ এই লিংক , যেখানে রাহার মতো একই অবস্থা।
কথোপকথন - ১
- কি করছো?
-- ছবি আকঁছি।
- ওটা তো একটা বিন্দু।
-- তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত।
- কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার।
-- একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো।
- ওটা কি? ওটা তো মেঘ।
-- তুমি ছুঁয়ে দিলেই আকাশ হবে। তুমি হবে নি:সীম দিগন্ত। আর আমি হবো দিগন্তরেখা।
- কিন্তু সে তো অন্ধকার হলেই মিলিয়ে যাবে। আমি চিরন্তন হতে চাই।
-- আচ্ছা, এবার দেখো।
- একি! এ তো জল।
-- তুমি ছুঁয়ে দিলেই সাগর হবে। তিনভাগ জলের তুমি হবে জলকন্যা। আর আমি হবো জলাধার।
- আমার যে খন্ডিতে বিশ্বাস নেই। আমার দাবী সমগ্রের।
-- একটু অপেক্ষা করো। এবার চোখ খোল।
- ওটা কি আঁকলে? ওটা তো একটা হৃদয়।
-- হ্যাঁ, এটা হৃদয়। যেখানে তুমি আছো অসীম মমতায়, চিরন্তন ভালোবাসায়। এবার বলো আর কি চাই তোমার?
- সারাজীবন শুধু ওখানেই থাকতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬