জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলো জোর প্রচারণায় লিপ্ত থাকলেও পুরোনো সংশয় কাটছেই না। বরং জনমনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। সংশয়, সন্দেহ ও অবিশ্বাস কাটিয়ে গোটা জাতি যখন নির্বাচনমুখী, গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মহল যখন প্রত্যাশিত নির্বাচনের প্রহর গুনছে, সাধারণ জনগণ যখন নির্বাচনী উৎসবে মাতোয়ারা ঠিক তখনই নির্বাচন নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তার আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট যে কোনো দিন নির্বাচন বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছে। এই জোটের অন্যতম শরিক জামাতে ইসলামী গতকাল শুক্রবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা অনানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রেখেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এই জোটের বিরোধী শিবিরসহ অনেক মহল থেকে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে যে, মাঠ পর্যায়ের তথ্যে নির্বাচনে পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিএনপি-জামাত জোট নানা অজুহাত ও ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বয়কট ও বানচালের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তবে নির্বাচন বয়কট বা প্রতিরোধ সম্পর্কিত তথ্যের সত্যতা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু চলমান ঘটনাবলী, বিএনপির সর্বশেষ অবস্থান ও যাবতীয় পারিপার্শ্বিকতা নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তার আশঙ্কাকে ক্রমশ ঘনীভূত করে তুলছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।
বিশেষ করে গত ২/৩ দিন যাবৎ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুখে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ, গণমাধ্যমের ওপর অদৃশ্য শক্তির নিয়ন্ত্রণ, পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাঁয়তারা ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এবং ওই দলের এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রকাশ ও ভোটগ্রহণের ১০ দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দুরভিসন্ধির অভিযোগ বিদ্যমান পরিস্থিতিকে বেশ ঘোলাটে করে তুলেছে।
১৯৭১ সালের অপকর্মের তথ্য প্রকাশ করায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী একটি দলের বিষোদগার এবং এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের ঘটনাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারণা ও পরস্পর বিরোধী তীব্র আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদানের ঘটনাবলীও এই অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও ব্যালট পেপার ছাপার কাজ শুরুর পর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রায় তিন ডজন প্রার্থী রিটার্নিং অফিসার (আরও) এবং কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত থেকে বৈধতা ফিরে পাওয়ায় সৃষ্ট জটিলতা ও এ ব্যাপারে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) অসহায়ত্ব ও ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনা উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বেশ জটিল করেছে। চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শেষ মুহূর্তে উচ্চ আদালতের এই রায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বহুল আলোচিত বেসরকারি সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন) গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ।
উল্লেখ্য, স¤প্রতি উত্তরাঞ্চল সফরকালে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় ভাষণদানকালে ৪ দল নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২/৩ দিন যাবৎ অভিযোগ করছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি বিশেষ দল ও গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য প্রশাসন সাজিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর জনসভায় তিনি বলেছেন, জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হলেও গণমাধ্যমের ওপর কোনো অদৃশ্য শক্তির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এ কারণে তারা ৪ দল প্রার্থীদের প্রচারণা ও তার (খালেদা) জনসভার তথ্যচিত্র সংগ্রহ করলেও সঠিকভাবে প্রচার করতে পারছেন না।
এর আগে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুরের বিভিন্ন জনসভায় খালেদা জিয়া বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। আবার একটি পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি মেনে নেবে, কিন্তু সাজানো-পাতানো কোনো নির্বাচনের ফলাফল বিএনপি বা এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি এমন হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন যে, কোনো কারণে নির্বাচন বানচাল হলে এবার জনগণ তার সমুচিত জবাব দেবে।
বিএনপি নেত্রীর এ ধরনের বক্তব্য সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচনের পরিবেশকে শুধু ব্যাহতই করছে না, রীতিমতো উদ্দেশ্যমূলক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলারই অপকৌশল বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। অনেকের মতে, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহী বিশেষ করে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত বগুড়ায় ৪ দলের জনসভায় জনসমাগম হতাশাব্যঞ্জক হওয়ায় খালেদা জিয়া হতাশ হয়েছেন। এ কারণে তিনি এ ধরনের উগ্র ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সিঙ্গাপুর সরকার খালেদা জিয়ার ছোটো পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর অবৈধ ১২ কোটি টাকা জব্দ করার পর দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করায় গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব দুদককে অভিযুক্ত করে বলেছেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুদকের এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক। কোনো মহল বিশেষের স্বার্থে কিংবা বিশেষ উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই দুদক এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ২০ ডিসেম্বর (আজ শনিবার) থেকে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সমালোচনা করে বলা হয়, ভোটগ্রহণের ১০ দিন আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির মতো তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামাতে ইসলামীও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও গণধর্ষণসহ এই দলটির নানা অপকীর্তির কাহিনী এবং বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ৫ বছর সারা দেশে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন, দুর্নীতি ও লুটপাটের কাহিনী এই বিজয়ের মাসে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে নিয়মিত প্রকাশিত হওয়ায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে জামাত।
সূত্র মতে, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটাররা জামাতের এসব কুকীর্তি সম্পর্কে অবহিত হওয়ায় নির্বাচনী মাঠে দৌড়ে দলটি অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার অভিযোগ দায়ের করে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণাও বন্ধ করে দিয়েছে।
উচ্চ আদালতের রায়ে অনেকের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বে বাতিল হওয়া কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও জটিলতার অবসান হচ্ছে না। আদালতের চূড়ান্ত রায়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে ওই সকল আসনের নির্বাচন বাতিল করে উপনির্বাচন করতে হবে বলে ইসি সূত্র জানায়।
সূত্র মতে, আদালতের নির্দেশ মতো চাঁদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ায় ওই আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মীর ইকবাল হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি (ইকবাল) উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন এবং সে ক্ষেত্রে আদালতের রায় তার পক্ষে এলে ওই আসনে নতুন সংকট সৃষ্টি হবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সূত্র মতে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল পর্যন্ত ঋণ ও বিলখেলাপি এবং দণ্ডপ্রাপ্তসহ মোট ১৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়ার জন্য আদালত রায় দিয়েছে। এদের মধ্যে বিএনপির ৬ জন, আওয়ামী লীগের ৩ জন, জাতীয় পার্টি (এ) ও বিকল্পধারার ১ জন এবং ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আদালতের রায় অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসাররা গতকাল বিএনপির মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের (সিরাজগঞ্জ-৫) ও আব্দুস সোবহান (বরিশাল-১), আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), বিকল্পধারার বি এম সেলিম রেজা (যশোর-২) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান মান্নার (ভোলা-৩) প্রার্থিতা বৈধ করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে।
সূত্র মতে, মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ায় ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর ইকবাল হোসেনের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে। কারণ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া মনোনয়ন তালিকা অনুযায়ী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নাম ১ নম্বরে ছিল। কিন্তু তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ইকবাল হোসেনের প্রার্থিতা বৈধ করে তাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর তিনি নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেন। এখন তার মনোনয়ন বাতিলের ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় তিনি প্রার্থিতা বহাল রাখতে আদালতে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলি ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, মীর ইকবাল হোসেন নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করলে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিতে কোনো আইনি বাধা নেই। কমিশন তাকে নৌকা প্রতীক বাদ দিয়ে নতুন প্রতীকও বরাদ্দ দিতে পারে। গত কয়েক দিনে উচ্চ আদালত বেশ কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থিতা গ্রহণের জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এই আদেশ চূড়ান্ত রায় নয়।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। এবারের নির্বাচনের পরে ওই মামলাগুলোর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে। কমিশনও মনে করে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক। প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্তÑ উচ্চ আদালতের রায়ে এই সঠিক ঘোষণাটি দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বিজয়ী হলেও তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট আসনে উপ-নির্বাচন অনু্িঠত হবে। ফলে কমিশনের আদেশ বাস্তবায়ন করলেও ভবিষ্যতে আইন জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় নতুন করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে ও ব্যালট পেপার ছাপিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ কতোটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকালই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু হলেও ব্যালট পেপার ছাপা নিয়ে জটিলতা দেখা দেবে। কারণ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পরই ৩টি সরকারি প্রেসে ব্যালট পেপার ছাপার কার্যাদেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সূত্র মতে, ইতিমধ্যে অনেক আসনের ব্যালট পেপার ছাপা সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যান্য আসনের ছাপার কাজও পুরোদমে চলছে। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় অনেক প্রার্থীর নাম নতুন করে যুক্ত হওয়ায় এখন সংশ্লিষ্ট আসনগুলোর জন্য নতুন করেই ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় ৫০ লাখ ব্যালট পুড়িয়ে ফেলতে হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিনে আরো অনেক ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা আরো বাড়বে। সব মিলিয়ে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া একটি জটিলতার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বলেই পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।
আলোচিত ব্লগ
বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !
"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমিত্ব বিসর্জন
আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।
"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন