রিজভী ভাই পার্টি অফিস দখল নিচ্ছেন,, নাকি দাম্পত্য কলহের কারনে পার্টি অফিসে থাকছেন ?
এক সময়ের আপোষহীন নেত্রী এবং তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাড়ির দখল ঠেকাতে দরজা জানালা বন্ধ করে ভিতরে বসে ছিলেন, পরে দরজা ভেঙ্গে ওনাকে পুলিশ বের করে আনেন । সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া কি দরজা জানলা বন্ধ রেখে বাড়িটি রক্ষা করতে পেরেছিলেন ?
আপনাদের নিশ্চয় স্মরন আছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম গতবার জেল এড়াতে প্রায় দশ দিন আত্ম গোপনে ছিলেন । এ পর্যায়ের নেতারা সাধারনত ঠুনকো মামলায় আত্ম গোপনে যান না এবং যখন তখন কারাবরনও করতে হয় না । এসব হল ভীতু মানুষিক অবস্থার কারণ কিংবা রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব।
বিএনপি নেত্রী বলেন যে, জনগণ তাদের পাশে আছে, যদি জনগণ তাদের পাশেই থাকত তাহলে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেউ ইচ্ছে করে বন্দী থাকত না।
জনগণ পাশে থাকলে তো জেলের তালা ভেঙ্গেই রিজভী ভাইকে মুক্ত করে আনত, এত বড় নেতার পার্টি অফিসে পালিয়ে থাকতে হত না।
সাধারণ মানুষ প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতিতে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে খড় কুটো আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায় কিন্তু নেতারা তার রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক । ধরুন, ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট যখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রান্ত হয়, তখন বঙ্গবন্ধু পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুভব করে তৎকালিন সেনা প্রধান শফিউল্লাহকে ফোন করেন । কিন্তু যখন দেখছিলেন শেখ কামাল শেখ জামাল সহ মহিলা পুরুষ সবাইকে নির্বিচারে খুন করছে তখন বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত বুঝেছিলেন ওদের প্রধান টার্গেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । সাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন ধমকের শুরে জানতে চাইলেন তোমরা কি চাও । খুনীরা কিন্তু মুহূর্তের জন্য হলেও ভরকে গিয়েছিল । খুনীরা খুন করেছে ঠিকই কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেও বঙ্গবন্ধু সাহসী মৃত্যুকে বেঁচে নেন । মৃত্যু ভয় কার না আছে । বঙ্গবন্ধু যদি ঘরের কোনায় কাঁদতে কাঁদতে জীবন ভিক্ষা চাইতেন অথবা বাঁচার আকুতি নিয়ে খাটের নীচে লুকাতেন, বঙ্গবন্ধুকে ঘরের কোনায় অথবা খাটের নীচেই খুন করত । পর দিন বঙ্গবন্ধুকে জাতি ঘরের কোনায় এবং খাটের নীচ থেকে উদ্ধার করত । কিন্তু জাতি তার জনককে সাহসী ভঙ্গীতে আঙ্গুল উঁচিয়ে দোতলার লুঁটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছে ।
সর্বশেষ একটু পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করি, ৩০শে জানুয়ারি ২০০৩ সাল, বিএনপি-জামাত জোট শাসনামল, আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছিল যাতে আমার বাবা আহত হয়েছিলেন এবং যার ক্ষত এখনো তার শরীরে বিদ্যমান। তখন তো খালেদার পুলিশের পার্টি অফিসে ঢুকে টর্চার করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনি, এখন কেন মামলার আসামীকে পার্টি অফিসে ঢুকে গ্রেফতার করতে পারবে না???????
সবই নাটক!!!!!!!!!!