ময়মনসিংহে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাঘমারা আবাসিক এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এসআইসহ আহত হয়েছেন ২ পুলিশ। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজ ও কনস্টেবল হাসানকে গুরুতর অবস্থায় রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে পুলিশের পিকআপ ভাংচুর করে ও ২ পুলিশকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রাতেই পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করে যুবদল নেতা মিনহাজুল ইসলাম রাসুসহ ১৪ জনকে। শুক্রবার এ ব্যাপারে এসআই ফারুকুজ্জামান বাদী হয়ে এজাহারভুক্ত ৩০ জন ও অজ্ঞাত দেড় শ’ জনের নামে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঘমারা এলাকায় আধিপত্য ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবদল নেতা মিনহাজুল ইসলাম রাসু ও ছাত্রদল নেতা তানভীর আহমদ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে রাসু গ্রুপের হামলায় গুরুতর জখম হয় তানভীর। পূর্ব শত্রুতার জের ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দু’গ্রুপ। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই সন্ত্রাসীরা পুলিশের পিকআপটি কুপিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের এসআই মোস্তাফিজ ও পিকআপ চালক কনস্টেবল হাসানকে কুপিয়ে জখম করে। কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিম মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের কথা অস্বীকার করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার থানার সামনে একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ হলেও পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার না করে এলাকার অনেক সাধারণ ও নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে এসেছে।
Click This Link