নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা কাফির-মুশরিকদের লিবাস বা পোশাক থেকে বেঁচে থাকো।’
গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ ও নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক মুবারক।
কাজেই ‘দ্বীন ইসলাম উনাদের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন পোশাক নেই’- একথা বলা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, সুন্নতী পোশাক মুবারক পরিধান করা ও বিধর্মীদের পোশাক থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ফরয।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিছু লোক কিল্লতে ইলম ও কিল্লতে ফাহাম অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে লিবাস বা পোশাকের নির্দিষ্ট কোন বর্ণনা নেই। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মৌসুমের চাহিদা মোতাবেক যখন যে ধরনের পোশাক পেতেন তাই পরিধান করতেন।” নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, দ্বীন ইসলাম নাক্বিছ বা অপূর্ণ। নাঊযুবিল্লাহ। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করলাম এবং পবিত্র ইসলাম উনাকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” (পবিত্র সূরা মায়েদা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৩) অতএব, প্রমাণিত হলো যে, “পবিত্র দ্বীন ইসলাম” পরিপূর্ণ অর্থাৎ দ্বীনী ও দুনিয়াবী সকল বিষয়ের ফায়ছালা বা সব সমস্যার সমাধান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “শুকনা এবং ভিজা এমন কিছুই নেই; যা এ স্পষ্ট কিতাবে উল্লেখ করা হয় নাই।” (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৫৯)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ- উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যদি তাই হয়ে থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে- তবে কি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ওহী মুবারক উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন না? নাঊযুবিল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত নিজ থেকে কোন কথা বলেন না।” (পবিত্র সূরা নজম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৩-৪)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে লিবাস মুবারক বা পোশাক মুবারক পরিধান করেছেন তাই ইসলামী বা সুন্নতী পোশাক মুবারক। আর সেই সুন্নতী পোশাক মুবারক উনার মধ্যে ক্বমীছ হচ্ছে অন্যতম। অর্থাৎ গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ, নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ বা কোর্তাই খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক মুবারক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় পোশাক মুবারক হচ্ছে ক্বমীছ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ক্বমীছ’ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো- কোর্তা, জামা, ক্বমীছ ইত্যাদি। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ক্বমীছ বা কোর্তা হলো, যার গেরেবান আছে যা বন্ধ করার জন্য কাপড়ের গুটলী লাগানো হয় যা নিছফুস সাক্ব অর্থাৎ হাঁটু ও পায়ের গিরার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত প্রলম্বিত। গোল অর্থাৎ যা কোণা ফাড়া নয়, যার আস্তিন আছে, যা অতি সহজেই মানুষের সতর ও ইজ্জত আবরু ঢাকে। যেমন, ‘আবূ দাউদ শরীফ’ উনার বিশ্ববিখ্যাত শরাহ ‘আইনুল মা’বূদ’ উনার ‘কিতাবুল লিবাসের’ ‘ক্বমীছ বা কোর্তার আলোচনা’ পর্বে উল্লেখ রয়েছে, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ক্বমীছ বা কোর্তা সবচেয়ে পছন্দনীয় হওয়ার কারণ হলো- ক্বমীছ ইযার বা লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর অপেক্ষা সতরকে পরিপূর্ণভাবে ঢাকে। ক্বমীছ শরীরের জন্য হালকা এবং এটা পরিধানে অধিক বিনয়-নম্রতা প্রকাশ পায়।” (অনুরূপ ‘জামউল ওয়াসায়িল’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে।) “মুহাক্কিক হযরত আবূ যুরয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মানুষের ক্বলব আবৃতকারী পর্দাকেও ক্বমীছ বলা হয়। কেননা, তা ক্বলবকে ঢেকে রাখে। ক্বমীছ হলো- যা সিলাই করে পরা হয়, যার দুটি আস্তিন ও একটি গেরেবান বা গলাবন্ধনী আছে।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া শরহে শামায়িল কিতাব উনার মধ্যে অনুরূপ উল্লেখ আছে।)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ক্বমীছের গেরেবান আটকানো গুটলী বা বোতাম কাপড়ের তৈরি হওয়াই খাছ সুন্নত। যাকে আরবীতে বলা হয় যিররুন। এর বহুবচন আযরারুন ও যুরূরুন। যার অর্থ হলো- গুটলী, কাপড়ের তৈরি গুটলী ইত্যাদি। যেমন এ প্রসঙ্গে লুগাত বা অভিধানে উল্লেখ আছে যে, “যিবরুন হচ্ছে- কোর্তার গেরেবান বন্ধ করার জন্য কাপড় অথবা সুতার নির্মিত গোল গুটলী।” (ফিরোযুল লুগাত, লুগাতে সাঈদী, লুগাতে হিরা, গিয়াছুল লুগাত ইত্যাদি।
আল্লামা হযরত জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মছনবী শরীফ’-এ লিখেছেন, “ক্বমীছ বা কোর্তা নিছফুস সাক্ব পর্যন্ত এবং ফাড়াবিহীন অর্থাৎ কোণাবন্ধ, গোল হওয়াই খাছ সুন্নত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শামায়িলুত তিরমিযীর বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘শরহুল মানাবী মিছরী’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “ক্বমীছ সিলাইযুক্ত হবে, যার দুটি আস্তিন থাকবে। কোণা ফাড়া হবে না তথা গোল হবে।” (অনুরূপ মিরকাত শরীফ উনার মধ্যেও উল্লেখ আছে)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ, নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক মুবারক। সুন্নতী পোশাক পরিধান করা ও বিধর্মীদের পোশাক থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ফরয।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা কাফির-মুশরিকদের লিবাস বা পোশাক থেকে বেঁচে থাকো।’
গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ ও নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক মুবারক।
কাজেই ‘দ্বীন ইসলাম উনাদের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন পোশাক নেই’- একথা বলা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, সুন্নতী পোশাক মুবারক পরিধান করা ও বিধর্মীদের পোশাক থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ফরয।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিছু লোক কিল্লতে ইলম ও কিল্লতে ফাহাম অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে লিবাস বা পোশাকের নির্দিষ্ট কোন বর্ণনা নেই। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মৌসুমের চাহিদা মোতাবেক যখন যে ধরনের পোশাক পেতেন তাই পরিধান করতেন।” নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, দ্বীন ইসলাম নাক্বিছ বা অপূর্ণ। নাঊযুবিল্লাহ। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করলাম এবং পবিত্র ইসলাম উনাকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” (পবিত্র সূরা মায়েদা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৩) অতএব, প্রমাণিত হলো যে, “পবিত্র দ্বীন ইসলাম” পরিপূর্ণ অর্থাৎ দ্বীনী ও দুনিয়াবী সকল বিষয়ের ফায়ছালা বা সব সমস্যার সমাধান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “শুকনা এবং ভিজা এমন কিছুই নেই; যা এ স্পষ্ট কিতাবে উল্লেখ করা হয় নাই।” (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৫৯)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ- উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যদি তাই হয়ে থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে- তবে কি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ওহী মুবারক উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন না? নাঊযুবিল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত নিজ থেকে কোন কথা বলেন না।” (পবিত্র সূরা নজম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৩-৪)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে লিবাস মুবারক বা পোশাক মুবারক পরিধান করেছেন তাই ইসলামী বা সুন্নতী পোশাক মুবারক। আর সেই সুন্নতী পোশাক মুবারক উনার মধ্যে ক্বমীছ হচ্ছে অন্যতম। অর্থাৎ গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ, নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ বা কোর্তাই খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক মুবারক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় পোশাক মুবারক হচ্ছে ক্বমীছ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ক্বমীছ’ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো- কোর্তা, জামা, ক্বমীছ ইত্যাদি। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ক্বমীছ বা কোর্তা হলো, যার গেরেবান আছে যা বন্ধ করার জন্য কাপড়ের গুটলী লাগানো হয় যা নিছফুস সাক্ব অর্থাৎ হাঁটু ও পায়ের গিরার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত প্রলম্বিত। গোল অর্থাৎ যা কোণা ফাড়া নয়, যার আস্তিন আছে, যা অতি সহজেই মানুষের সতর ও ইজ্জত আবরু ঢাকে। যেমন, ‘আবূ দাউদ শরীফ’ উনার বিশ্ববিখ্যাত শরাহ ‘আইনুল মা’বূদ’ উনার ‘কিতাবুল লিবাসের’ ‘ক্বমীছ বা কোর্তার আলোচনা’ পর্বে উল্লেখ রয়েছে, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ক্বমীছ বা কোর্তা সবচেয়ে পছন্দনীয় হওয়ার কারণ হলো- ক্বমীছ ইযার বা লুঙ্গি ও রিদা বা চাদর অপেক্ষা সতরকে পরিপূর্ণভাবে ঢাকে। ক্বমীছ শরীরের জন্য হালকা এবং এটা পরিধানে অধিক বিনয়-নম্রতা প্রকাশ পায়।” (অনুরূপ ‘জামউল ওয়াসায়িল’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে।) “মুহাক্কিক হযরত আবূ যুরয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মানুষের ক্বলব আবৃতকারী পর্দাকেও ক্বমীছ বলা হয়। কেননা, তা ক্বলবকে ঢেকে রাখে। ক্বমীছ হলো- যা সিলাই করে পরা হয়, যার দুটি আস্তিন ও একটি গেরেবান বা গলাবন্ধনী আছে।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া শরহে শামায়িল কিতাব উনার মধ্যে অনুরূপ উল্লেখ আছে।)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ক্বমীছের গেরেবান আটকানো গুটলী বা বোতাম কাপড়ের তৈরি হওয়াই খাছ সুন্নত। যাকে আরবীতে বলা হয় যিররুন। এর বহুবচন আযরারুন ও যুরূরুন। যার অর্থ হলো- গুটলী, কাপড়ের তৈরি গুটলী ইত্যাদি। যেমন এ প্রসঙ্গে লুগাত বা অভিধানে উল্লেখ আছে যে, “যিবরুন হচ্ছে- কোর্তার গেরেবান বন্ধ করার জন্য কাপড় অথবা সুতার নির্মিত গোল গুটলী।” (ফিরোযুল লুগাত, লুগাতে সাঈদী, লুগাতে হিরা, গিয়াছুল লুগাত ইত্যাদি।
আল্লামা হযরত জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মছনবী শরীফ’-এ লিখেছেন, “ক্বমীছ বা কোর্তা নিছফুস সাক্ব পর্যন্ত এবং ফাড়াবিহীন অর্থাৎ কোণাবন্ধ, গোল হওয়াই খাছ সুন্নত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শামায়িলুত তিরমিযীর বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘শরহুল মানাবী মিছরী’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “ক্বমীছ সিলাইযুক্ত হবে, যার দুটি আস্তিন থাকবে। কোণা ফাড়া হবে না তথা গোল হবে।” (অনুরূপ মিরকাত শরীফ উনার মধ্যেও উল্লেখ আছে)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ, নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ খাছ ইসলামী ও সুন্নতী পোশাক মুবারক। সুন্নতী পোশাক পরিধান করা ও বিধর্মীদের পোশাক থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ফরয।