দ্বীন ইসলাম’ এবং দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসারের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ; এই বিশ্বাস হতে প্রচলিত ছয় উছুল ভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ জামাতীরা মাহরূম। (নাঊযুবিল্লাহ) হযরত ইবনে আবী হাতিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, যখন হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্ সালামকে হজ্জ ফরয হওয়ার কথা ঘোষণা করার আদেশ দেয়া হয়, তখন তিনি আল্লাহ পাক-এর কাছে আরয করেন, ‘এখানে তো জনমানবহীন মরু প্রান্তর। ঘোষণা শোনার মত কেউ নেই।’ মহান আল্লাহ পাক বললেন, ‘আপনার দায়িত্ব শুধু ঘোষণা দেয়া, সারাবিশ্বে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার।’ (সুবহানাল্লাহ)
বর্ণনা রয়েছে যে, অতঃপর হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্ সালাম আবু কুবায়স পাহাড়ে উঠে ঘোষণা দেন, ‘হে মানব সম্প্রদায়! তোমাদের রব নিজের ঘর তৈরি করেছেন। তোমাদের জন্য ওই ঘরের হজ্জ ফরয। তোমরা তোমাদের রবের আদেশ পালন কর।’
রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্ সালাম-এর ওই আওয়াজ আল্লাহ পাক স্বয়ং বিশ্বের কোণে কোণে পৌঁছে দেন এবং শুধু তখনকার দুনিয়ার জীবিত মানুষ পর্যন্তই নয়, ভবিষ্যতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আগমনকারী সবার কানে এমনকি আলমে আরওয়াহ্ পর্যন্ত এ আওয়াজ পৌঁছে দেয়া হয়। (সুবহানাল্লাহ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্ সালাম-এর আওয়াজের জাওয়াবই হচ্ছে, ‘লাব্বাইক’ বলার আসল ভিত্তি। (তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে মাযহারী)
অতএব, প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, আঁকা, রাখা, দেখা, কোন কাজে ব্যবহার করা হারাম-নাজায়িয। কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ-এর এই নির্দেশের উপরই আমাদেরকে ইস্তিকামত থাকতে হবে। অতঃপর হারাম ছবিযুক্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে সারাবিশ্ব সফর করে দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসার না করলে দ্বীন ইসলামের কি হবে বা ‘দ্বীন ইসলাম’ প্রচার-প্রসারের কি হবে তা সম্পূর্ণভাবেই মহান আল্লাহ পাক-এর বিষয়। যেমন, মহান আল্লাহ পাক জনমানবহীন মরু প্রান্তরে হজ্জের আহবান শোনার মত কেউ না থাকা সত্ত্বেও সারা দুনিয়ায় এবং আলমে আরওয়াহ্ পর্যন্ত হজ্জের আহবানকে পৌঁছে দিয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ) হক্ব তালাশীদের জন্য তত্ত্বমূলক অল্প নছীহতই যথেষ্ট।