মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে অনুসরণ করবে সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।’
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন কোনো বিষয় নয়।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই নিজের মীলাদ শরীফ তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি উম্মতদেরকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন।
তাই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করা মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই বিরোধিতা করা।
যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ ঈমান নষ্ট হয়ে জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘মীলাদুন নবী’ অর্থ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত ও প্রশংসা মুবারক করা। আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই নিজের মীলাদ শরীফ তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ, বংশ মর্যাদা ও ছানা-ছিফত বা প্রশংসা মুবারক করেছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমীপে উপস্থিত ছিলাম। ইতঃপূর্বে কোনো কোনো লোক আমাদের বংশ মর্যাদা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলো। সম্ভবত এ সংবাদ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্ণগোচর হয়েছিলো। এ সময় উনার পবিত্র দরবার নববী শরীফ উনার মধ্যে আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পবিত্র মিম্বর শরীফ উনার মধ্যে আরোহণ করতঃ উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে?” তখন সকলে সমস্বরে উত্তর দিলেন, “আপনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” অতঃপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “আমি হচ্ছি হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পুত্র, হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার পৌত্র। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে কুল-মাখলূকাত উনাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম গোত্র কুরাইশ খান্দানে এবং কুরাইশ গোত্রের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হাশিমী শাখায় এবং মহান আল্ল্হা পাক উনার কায়িনাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘর মুবারক উনার মধ্যে আমাকে প্রেরণ করেছেন।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনার্থে খুশি প্রকাশ করে ইরশাদ মুবারক করেন- “আমি হলাম হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ এবং আমার মাতা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার দেখা সুস্বপ্ন ও অলৌকিক ঘটনার বাস্তব প্রতিফলন। আমার মাতা আমার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার সময় দেখেছিলেন যে, এক খ- বরকতময় ‘নূর মুবারক’ যমীনে তাশরীফ নিলেন এবং সে পবিত্র নূর মুবারক উনার আলোর প্রভাবে শাম দেশের বালাখানাসমূহ উনার দৃষ্টিগোচর হলো।” (শরহুস সুন্নাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা এটাই ছাবিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই নিজের মীলাদ তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি উম্মতদেরকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেন। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে দেখে বলেন, ‘যারা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবে তাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর শরীফ, ছুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অপর বর্ণনায় এসেছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবে, উনাদের জন্য রহমতের সমস্ত দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে, সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাাইহিমুস সালাম উনারা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং তারা নাজাত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর শরীফ, ছুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন কোনো বিষয় নয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই নিজের মীলাদ শরীফ তথা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উম্মতদেরকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেন। তাই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করা মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই বিরোধিতা করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ ঈমান নষ্ট হয়ে জাহান্নামী হওয়ার কারণ।