Click This Link
[
]
[
সুন্দরীদের তরুণীবেলাঃ মজজাই মজা......ওরে ওরে মজজাই মজা
সুন্দরীদের তরুণীবেলা শুরু হয় স্কুলজীবন শেষ করার পর আর শেষ হয় বিয়ের সাথে সাথে অথবা পড়ালেখা শেষ করার পর (এই সংজ্ঞা জানজাবিদ কতৃক ট্রেডমার্ককৃত)। পাড়ার স্কুল থেকে সুন্দরীরা আসে কলেজে যেখানে অনেকক্ষেত্রেই তারা সহশিক্ষার সাথে প্রথম বারের মত পরিচিত হয়। রূপের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আরো বৃহত্তর পরিসরে। এতদিন ডিস্টার্ব করতো পাড়ার পাতি মাস্তান, এবার শহরের টপ টেররদের নেক নজর পড়তে থাকে। বডিগার্ড হিসেবে বাপ-চাচাদের নিয়ে আসা আর সম্ভব হয়না কারণ এতে সবার হাসির পাত্র হয়ে যাবার ভয় আছে। সবমিলিয়ে সুন্দরীরা এক ধরণের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে। আর এই নিরাপত্তাহীনতার সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে কারো সাথে 'এনগেজ' হয়ে যাওয়া।
মজার ব্যাপার, এই সময় সুন্দরীরা তাদের প্রেমিক হিসেবে মদন টাইপের কাউকে বেছে নেয়। আমি বা আপনি নই, সুন্দরীর মালা শেষ পর্যন্ত গিয়ে উঠলো ঐ মদনের গলায়! যে কিনা বন্ধুদের আড্ডায় ঠিকমত কথাই বলতে পারেনা!! আমরা হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি। কেন এই আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা হয়রান হয়ে যাই। কিন্তু না, সুন্দরীদের সিদ্ধান্তই পরবর্তীতে সঠিক প্রমাণিত হয়। কারণ কেবল মাত্র মদনরাই সুন্দরীদের সবচেয়ে বেশী সার্ভিস প্রদাণ করতে পারে তাও আবার সবচেয়ে কম পারিশ্রমিকে। স্যারের নোট, এসাইনমেন্ট, ছোট খাটো কেনাকাটা, বডিগার্ড হিসাবে সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন, ট্রেনে-বাসে-ক্লাসে পছন্দসই বেন্চে সিট রাখা- হেন কাজ নেই যা মদনরা করেনা। কিন্তু বিনিময়ে তারা এক টুকরা মুচকি হাসি বা সামান্য কিছু ছোঁয়াছুয়িতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়, এর বেশী কিছু চায়না। একবার ভেবে দেখুন আপনি আমি কখনো এতগুলো সার্ভিস দিতাম? আর দিলেও পারিশ্রমিক হিসেবে 'এত অল্পে' সন্তুষ্ট হতাম?
প্রেমিক বাছাই সুন্দরীদের তরুণীবেলার সবচেয়ে ক্রিটিকাল সিদ্ধান্ত। যারা এসময় ভুল করে 'স্মার্ট' প্রেমিক বাছাই করে (মদনদের বাদ দিয়ে) কিছুদিন পর তাদের ছবি বা ভিডিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, মেরি স্টোপস ক্লিনিকে 'বিশেষ কাজে' যেতে হয় কিংবা ভাগ্য বেশী খারাপ হলে এর চেয়েও বেশী লাঞ্ছনার মধ্যে গিয়ে পড়তে হয়। তাই এ সময় চালাক সুন্দরীদের লক্ষ্য থাকে-
*সবচেয়ে কম 'পারিশ্রমিক' প্রদাণ করে,
*সবচেয়ে বেশী সার্ভিস আদায় করে,
*পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নিয়ে
বিয়ের আগের সময়টা কাটিয়ে দেয়া। বলাই বাহুল্য মদনরা এই দৌড়ে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় শীর্ষস্থান দখল করে। আপনার আমার মত সাধারণরা শুধু আফসোসই করতে পারি কিন্তু বাস্তবতার কাছে সবাই অসহায় (সুন্দরীরাও)।
অবশেষে আসে বিয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ। সুন্দরীরা এই সময় বাবা-মা'য়ের একান্ত বাধ্যগত সন্তানে পরিণত হয়ে যান। কোন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার বা আমেরিকা প্রবাসী কম্পিউটার সায়েন্টিস্টের গলায় পরম খুশীতে মালা পড়িয়ে দেন যেন এটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিলো (হয়তো আসলেই ছিল)। মদন কিছুদিন গাঁইগুঁই করে কিন্তু সুন্দরীর দু'এক ফোঁটা চোখের পানি তার মনকে আবার দ্রবীভূত করে দেয়। সে দ্বিগুণ উৎসাহে সুন্দরীর বিয়ের আয়োজনে লেগে পড়ে। সুন্দরী টেনশনমুক্ত হয়, ভাগ্যিস 'ও' ছিলো!!!!
বিয়ের পর মদন কবি হয়ে যায়। গান লিখে, কবিতা লিখে কখনো কখনো ব্লগও লিখে। মদনের হাত দিয়ে বের হয়ে আসতে থাকে কালজয়ী সব সাহিত্য। কিন্তু আমরা খোঁজ রাখিনা নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী সেই সুন্দরীর! এ কিন্তু আমাদের ভারী অন্যায়!!
৩য় পর্ব
Click This Link
শেষ পর্ব
Click This Link