সোহেল ও মধুমিতার সুখের সংসার। ইউনিভার্সিটিতে চার বছর প্রেম করার পর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে।আজ ৫ বছরের সংসার। একটিই অপূর্ণতা।ওদের সংসারে কোন বাচ্চা নেই।প্রথম প্রথম মা বাবা ভাই ভাবি কিছু বলতো না।এখন উঠতে বসতে খোটা দেয় সবাই।কয়েকবার করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করেছে।কোন লাভ হয় নি।থাইল্যান্ড গিয়েছে একজন ডাক্তারের কাছে।ডাক্তার রিপোর্ট দিয়েছে। মধুমিতা জিজ্ঞেস করলো ডাক্তার কি বলেছে?, সোহেল বললো আমরা বাচ্চা এডপ্ট করবো।কত এতীম বাচ্চা আছে।মধুমিতা জিজ্ঞেস করলো সমস্যা কার? সোহেল বললো আমার।
বাড়ি ফিরে সবাইকে বললো,এতদিন আমাকে নানান কথা শুনিয়েছেন, অথচ প্রব্লেম আপনার ছেলের, এখন কি করবেন।।
মধুমিতা তার বাবার বাড়ি গিয়েছে আজ ১২ দিন।সোহেলের কল রিসিভ করেনা।সোহেল তাকে আনতে তার বাড়ি গেল অফিস শেষে। মধুমিতার মা এবং ভাবি বললো মধুমিতা আর যাবেনা তোমাদের বাড়ি।মধুমিতা ভিতর রুম থেকে বেরিয়ে এসে বললো আমি ডিভোর্স চাই।আমি মা হতে চাই,যা তুমি আমাকে দিতে পারবেনা।।অবশেষে ওরা দুজন আলাদা হয়ে গেলো।
সোহেলের মা তার ছেলের জন্য খুব কান্নাকাটি করে,বলে আর একটা বিয়ে করতে।খুব জোর করে একটা বিয়ে করায়।বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একটা মেয়ে বাচ্চা হয়।সবাই খুব খুশি। সোহেলের বাবা গরু জবাই করে নাতনির নাম রাখে।মানুষকে দান খয়রাত করে।আর শোকরানা নামাজ পড়ে।।
আর এইদিকে মধুমিতা কে তার মা আবার বিয়ে দেয়।
ওদের এক কমন ফ্রেন্ড কাপল এর বাচ্চার জন্মদিনে এদের দেখা।সোহেল আর তার বউ, মেয়ে অন্যদিকে মধুমিতা আর তার হাজবেন্ড।সোহেলের বউয়ের কোলে বাচ্চা দেখে মধুমিতা সোহেল কে বললো বাচ্চা এডপ্ট করেছ? সোহেল বললো না।তাহলে? সোহেল বললো আমাদের বাচ্চা।আসলে ওইদিন ডাক্তার বলেছিল সমস্যা আমার না তোমার।আমি তোমার জন্য স্যাক্রিফাইস করতে রাজি ছিলাম, কিন্তু যার জন্য স্যাক্রিফাইস করবো সে স্যাক্রিফাইস এর যোগ্য কিনা তা জানার জন্য একটু মাইন্ড গেম খেলেছিলাম। ফলাফল তোমার চোখের সামনে।।।