পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এক এতিমখানার শিক্ষক বললেন উনি ছেলেদের বলাৎকার করার সময় আস্তে-ধীরে করেন যাতে বাচ্চারা কষ্ট কম পায়,উনি ওদের শিক্ষক তাই ওরা কষ্ট পেলে উনার খারাপ লাগে।শুনে গায়ের রক্ত শিরশির করে উঠলো। আমার পরিচিত কয়েকজন আছে যারা এইসব বিকৃত রুচির হুজুরদের শিকার ছিল।আজকাল পেপার খুললেই দু'একটা এমন নিউজ চোখে পড়া খুব কমন হয়ে গেছে।এর অন্যতম কারণ হল এই জানোয়ার গুলো ছোট থেকেই একটা মুখোশ নিয়ে বড় হয়।ওদের ভিতর জানোয়ার টা আমাদের মত সিনেমা হল,বার,কলেজে লুকিয়ে সিগারেট টানা বা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে প্রেম করা এসব করতে পারেনা লোকলজ্জার ভয়ে, তাই সবকিছুই সুযোগ পেলে এতিম অসহায় বাচ্চাদের উপর শোধ তুলে।আমার কথাটা অনেকে নেগেটিভ ভাবে নিতে পারে যে প্রেম করা কি খারাপ? খারাপ বলতেছিনা।এটা আমরা বয়সের তাগিদে বা মনের তাগিদে করি।ওই জানোয়ার গুলো মুখোশধারী হওয়ায় এসব করবেনা।আধুনিক ড্রেস দেখলে বলবে আস্তাগফিরুল্লা কিন্তু মনে মনে চাটবে।এদের মুখে তেতুল ঝড়বে কিন্তু ভাব দেখাবে এরা সাধু।কিন্তু এরা ছোট ছোট ছেলে মেয়ে দেখলেই নিজেদের কামনা ঠিক রাখতে পারেনা এরা রাস্তায় পরিপূর্ণ মেয়ে দেখলে এদের মনোভাব কেমন হয় আল্লাহ মালুম।লেখা লম্বা হয়ে যাচ্ছে,এবার আসল কথায় আসি। যেসব বলাৎকার এর কথা গণমাধ্যমে আসে সেসব হল সেইসব বাচ্চাদের নিউজ যাদের পিতা মাতা বা আত্মিয় আছে।চিন্তা করে দেখুন লক্ষলক্ষ এতিম অসহায় বাচ্চা যাদের এই দুনিয়ায় কেউ নেই তারা কি পরিমাণ অত্যাচারের শিকার হচ্ছে।দেশের সরকারের কাছে আমার আবেদন, এইসব কওমী মাদ্রাসা কাম এতিমখানা তুলে দিয়ে সরকারি আধা সরকারি এবং বেসরকারি এতিমখানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন। জনসাধারণকে সাহায্য করতে বলুন।সচেতন নাগরিক গন অবশ্যই এগিয়ে আসবে। এই শিশু গুলো ছোট থেকে একপ্রকার বিকৃত রুচি নিয়ে বড় হবে।তারপর নিজেরাও আরো এমন শিশুর জন্ম দিবে।এরা ভ্যাম্পায়ার এর চেয়েও ভয়ংকর। সকালে আমরা মসজিদে বা মক্তবে কোরআন শিখেছি তাতে কি আমাদের শেখা হয়নি।এইসব কওমী মাদ্রাসায় গিয়ে শিখতে হবে? যারা এতিম তারা নাহয় বাধ্য হয়ে যায় যেসব বাচ্চাদের বাবা মা আছে তারা কি করে হায়েনাদের বিশ্বাস করে তাদের কলিজার টুকরো দের এমন জাহান্নামে দেয়!!!!ঘরে আরবি শেখান।আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ান।তা না ডিরেক্ট কওমী মাদ্রাসা। আমার দাবি একটায়।এইসব কওমি মাদ্রাসায় দিবারাত্রি পড়া বন্ধ করতে হবে।এইসব মাদ্রাসা ইন্সপেকশন করার জন্য ইন্সপেক্টর নিয়োগ করতে হবে।সমস্ত এতিমখানা লোকাল থানার নজরে থাকতে হবে।আর না হলে গণহারে এইসব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৯