অধ্যায়- এক
গাজিপুর,মদন গোপাল সুইটস ভান্ডারের মূল শাখা।তিন তলা এই বিল্ডিং এ মিষ্টির দোকান এর পাশাপাশি মদন গোপাল এর সব শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।তবে এই শাখার আর একটা পরিচয় আছে।এটি বাংলাদেশের একটা গোপন বিদ্রোহী দল হিন্দু পরিষদের হেড অফিস।বিভিন্ন সময় ভারতে বেড়াতে গিয়ে র এর কাছ থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত ১২ জন দক্ষ স্পাই এখানে মিষ্টির হিসাব নিয়ে মশগুল থাকার ভান করে যাচ্ছে।
রানা এজেন্সির গাজিপুর শাখার ফিল্ড এজেন্ট সুব্রতর সাথে এখানকার এক রিসেপশনিস্ট বিথি সাহার আংটিবদল হয়েছে গত মাসে।কথা প্রসঙ্গে সুব্রত বিথির কাছ থেকে জানতে পারে, এই অফিসে মিষ্টি বিক্রি ছাড়াও অন্য কিছু আছে।ঠিক কি আছে তা বিথি জানেন।
পরদিন সুব্রত যথারীতি অফিসে রিপোর্ট করলে রানা এজেন্সির ঢাকা হেড অফিস থেকে ২৪/৭ ওয়াচ রাখার জন্য এক ওয়াচ টিম কে দায়িত্ব দেয়া হয়।কে কে কখন এই অফিসে প্রবেশ করে তার বিস্তারিত তথ্য সচিত্র সংগ্রহ করার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
প্রতিনিয়ত রিপোর্টে চোখ বুলান আশরাফ।একই চিত্র।ভারতীয় ডিপ্লোমেট বা ভারতীয় ট্যুরিস্ট প্রায় সবসময়ই ভীড় করে রাখে এই দোকান।একদিন এই দোকানে দেখা গেল র এর সাউথ এশিয়ান ডিভিশনের অপারেশনাল হেড জয়ন্ত সেন কে।জরুরী প্রয়োজনে সরাসরি বিসিআই এর একটা সেইফ টেলিফোন নাম্বারে রিপোর্ট করতে হবে যতদ্রুত সম্ভব।এটাই সিস্টেম।
হোটেল সাউদিয়া,মরক্কো। এইমাত্র অনলাইনে মিশনের বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতেই একটা নতুন মেইল টুং করে প্রবেশ করল। ভয়ংকর খারাপ সংবাদ।গাজিপুর ওয়াচ টিম,সুব্রত এবং ঢাকা শাখার আশরাফ সহ সবার লাশ পাওয়া গিয়েছে একটা পরিত্যক্ত ভবনে।মৃত্যুর আগে ভয়ংকর অত্যাচার করা হয়েছে প্রত্যেক কে কথা আদায় করার জন্য।