প্রথমে ডয়েচ ভেলের এই লেখাটা একটু পড়ে আসুন তারপর এই পোস্টে ফিরে আসার অনুরোধ থাকিবে।
কি করবে বাংলাদেশ? ওয়েল!! বাংলাদেশ চোখ বন্ধ করে আরাকান আর্মিকে সাপোর্ট দিবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এ এক সুবর্ণ সুযোগ, এমন সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না।
বিস্তারিত: ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যার চাপে পিষ্ট দক্ষিণ এশিয়ার ছোট এই দেশটি (বাংলাদেশ) এমনিতেই নানা সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে, তার উপর গত ৬/৭ বছর ধরে ১০/১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য এক বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক অনেক লবিং, এই আশ্বাস, সেই আশ্বাসের অনেক প্রতিশ্রুতি থাকলেও আজ পর্যন্ত বিশ্বের কেউ'ই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের কোন বাস্তবিক সমাধান দিতে পারেনি। এক কথায় বিশ্ব নেতাগণ এই ১২ লাখ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নির্মম সত্য হচ্ছে; কেউ'ই কারো সমস্যার সামাধাণ করে দেয় না আসলে, নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সামাধান করতে হয়।
যেহেতু রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধাণে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আজ অসহায় বা পুরোপুরি ব্যর্থ, তাই সময় এসেছে এখন নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই হ্যান্ডেলিং করার, গর্জে উঠো বাংলাদেশ, দেখিয়ে দাও অজানা তোমায় ।
আমরা জানি যে দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারের আরাকান বিদ্রোহী আর্মিগণ আরাকান রাজ্য স্বাধীন করার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে তাদের অতটা লবিং না থাকার কারণে এবং পাশের দেশ বাংলাদেশের কাছ থেকে কোন ধরণের সহয়তা না পাওয়ার কারণে তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের এই লড়াইটি দীর্ঘায়িতই হচ্ছে শুধু। বেচারারা দীর্ঘদিন ধরে শুধু চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই; তাই নৈতিক কারণে হলেও বাংলাদেশের এখন উচিৎ বার্মিজ আর্মিদের পাশে দাঁড়ানো। ইহাতে এক ঢিলে অনেগুলো পাখি মারা যাবে- ১: রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধাণ হবে, ২: বাংলাদেশের ভুখন্ড বাড়ানোর একটা সুযোগ থাকবে, ৩: অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশর অগ্রগতি হবে।
কিভাবে? বিষয়টি অনেক বড় এবং বেশ জটিল তবে অসম্ভব কিছু নয়, পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছুই বাংলাদেশের অনুকুলে রয়েছে। তবে এ জন্য শুধু প্রয়োজন মাস্টার প্ল্যান, অ্যা বিগ মাস্টার প্ল্যান। আমি তো এখানে মাস্টার প্ল্যান সব করে দিতে পারি না, যা করার সব বাংলাদেশ সরকারকেই করতে হবে, বড়াজোড় আমি এখানে কিছু ক্ল্যু দিতে পারি এর বেশিকিছু নয়।
যেভাবে বাংলাদেশ সরকার বার্মিজ আর্মিকে সহয়তা করে ফাঁয়দা লুটতে পারে- আমি আবার বলছি, যেহেতু রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কেউ'ই করতে পারলো না, এই বিপুল সংখ্ক জনসংখ্যাকে আর কতদিন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়নো যায়? তাই সময় এসেছে এখন ওদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার, নিজেদের দেশ নিজেরা দখল করে নে, তোমাদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো আমাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়।
যা করতে হবে- ভেরী সিম্পল, এই ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে তারপর বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে আরাকান রাজ্যে প্রবেশ করাতে হবে অতি সঙ্গোপনে, যারা আরাকান আর্মির পক্ষে হয়ে লড়াই করবে। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজ হবে শুধু ভিতরে ভিতরে প্রক্সি দেওয়া। পুরো প্রক্রিয়াটি করতে হবে চীনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, পরে যদি চীন বুঝতেও পারে তাহলেও কোন সমস্যা নেই কারণ ততদিনে ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ সহ বিশ্বের প্রায় সকল পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে। দুই একটি দেশ ছাড়া বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেরই সমর্থন পাবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত শুধু ঠিকঠাক ভাবে আন্তর্জাতি লবিংটি চালিয়ে যেতে হবে।
অস্ত্র আর গোয়েন্দা সহায়তার জন্য ভারত আর আমেরিকা এক পায়ে খাঁড়া কাজেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক সাপোর্ট আমরা তাদের কাছ থেকেই পাবো। পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে স্পেশাল জঙ্গি ফোর্স ডাক দিলেই চলে আসবে সুতরাং দক্ষ জনবল গঠনেও আমাদের কোন সমস্যা হবে না। এছাড়া যদি প্রয়োজন হয় তাহলে হিজবুল্লাহ, হুতি বিদ্রোহীদের থেকেও যুদ্ধাবাজ জনশক্তি ভাড়া করা যেতে পারে। সবমিলিয়ে দক্ষ যুদ্ধাবাজ জনশক্তিতে আমাদের কোন সমস্যাই হবে না, আর ১০ লাখ রোহিঙ্গা তো আছেই যারা নিজেদের জান বাজি রেখে নিজেদের দেশ দখল করার লড়াইয়ে মেতে উঠবে। এই ১০ লাখ রোহিঙ্গার সাথে অন্যন্য দেশের স্পেশাল জঙ্গি ফোর্স এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রক্সি সহ সমস্ত শক্তি যদি এক সাথে প্রয়োগ করা যায় তাহলে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বাহিনী ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে আরাকান রাজ্য থেকে পালাতে বাধ্য হবে। আরাকান রাজ্য দখল করার পর আরাকান বাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সরকার কোয়ালিশন সরকার গঠন করে আরাকান রাজ্য পরিচালনা করবে। তাছাড়া আজ থেকে ৫০০ বছর আগে আরাকান রাজ্য বাংলাদেশেরই অন্তর্গত ছিলো, কাজেই ঐতিহাসিক ভাবে আরাকান রাজ্যের উপর বাংলাদেশের অধিকার রয়েছে।
যেভাবে বাংলাদেশ সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হতে পারে- আরাকান রাজ্য দখল করার পর পুরো আরাকান আর্মিকে বাংলাদেশ সরকারের অনুগত রাখতে হবে, এবং এ যুদ্ধ চালাতে গিয়ে ভারত, আমেরিকা সহ্য অন্যন্য দেশ থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি অস্ত্র, গোলবাররুদ আনতে হবে যা পরে আর ফেরৎ দেয়া হবে না, ওদের বুঝাতে হবে যে অস্ত্র, গোলাবারুদ সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এভাবে বাংলাদেশ অস্ত্র, গোলাবারুদের বিশাল ভান্ডার গড়ে তুলতে পারে।
এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যেভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে- যুদ্ধ যতটা সম্ভব দীর্ঘায়িত করতে হবে, অন্তত ৫ থেকে ১০ বছর। আর যুদ্ধকে বাহানা করে এই প্ল্যান, সেই প্ল্যান ইত্যাদি সব ভুজং ভাজং দিয়ে কিছুদিন পর পর ইউরোপ, আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণে ডলার আনতে হবে যার খুব কমই যুদ্ধে খরচ করা হবে। তাছাড়া মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলাে থেকে বিপুল পরিমাণে ডলার, তেল আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবে বাংলাদেশ এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশ যদি আমার দেখানো এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে আগামী দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে অধিষ্ঠিত হইবে। এভাবে বাংলাদেশ শর্ট কার্টে ধনী রাষ্ট্রে রুপান্তর হতে পারে।
উপরোক্ত অলোচনা থেকে দেখা গেলাে বার্মিজ আর্মিদের এই বিদ্রোহকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সার্বিক দিক দিয়েই লাভবান হতে পারে।
নোট: আমি কিন্তু উপরে পুরো মাস্টার প্ল্যান সাজিয়ে দেইনি আমি শুধু কিছু ক্ল্য দিয়েছি মাত্র, বাকিটা বাংলাদেশ সরকারকে'ই করতে হবে। এমন সুবর্ণ সুযোগ যদি বাংলাদেশ সরকার হাতছাড়া করে তাহলে আমার কিছু করার নেই।
এছাড়াও আপনাদের মাথায় আরও নতুন নতুন কোন আইডিয়া থাকলে দিতে পারেন।
জয় বাংলা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮