ক্লাশে যেকোন একটা সহজ বিষয়কে জটিল করে তুলে সবাইকে নাকানি চোবানি দিতে ওস্তাদ ছিলেন আমাদের সাথের একজন। কিছুতেই কিছু মানতেন না উনি। টিচারদের কালো ঘাম বের করা ওনার নিত্যকার কান্ড। অনেকসময় মজা পেলেও পরে দেখা গেলো জরুরী পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে ব্যাপারটা আর এটা উনি মজা করে করছেন না, নিজের অজান্তেই শুরু করে দিচ্ছেন ওমনটা। আবার কেউ কিছু বললেই, বিষয়টা নিয়ে তাকে জড়িয়ে এমনভাবে টিচারদের সামনে এনে দিচ্ছেন যে, টিচার সেই থামানোতে চেষ্টা করানো ওলাকে আলোচনায় নিয়ে আসছেন। কি যন্ত্রনা!!
তো এই সবকিছুকেই একখান থেকে নানান দিকে নিয়ে জিলাপি বানাতে ওস্তাদের অনেক নাম দেয়া হয়েছিল, যেসবে এককথায় ওনাকে বুঝা যায়। তো সব নামের মাঝে কোর্সের শেষ অব্দি টিকেছিলো "ডিফিকাল সুইট" নামটা, যাতে খারাপও বলা হয়না আবার ওনার প্যাচানিঁ অভ্যাস পুরা যায় বুঝা। আর ওই উনি শুরু করলেই পেছন থেকে বলা শুরু হতো, "এই যে শুরু করলো "ডিফিকাল সুইট" মিয়া ডিসকাশন"
ওই নামটা ছিলো আমার দেয়া
এমনি একজনের দেখা পাওয়া দুষ্কর জানি। তবে কাছাকাছি কাউকে পেয়ে গেছি মনে হচ্ছে
ডিঙ্গি আর সাম্পান কোনটা কেমন দেখতে বুঝাতে বললাম যে, বড় দেখতে নৌকা সাম্পান আর ছোটটা ডিঙ্গি। তার কথা হলো নাহ, পিচকাটাই সাম্পান। আরে ভাই এইটাই সাম্পান... নাইলে কইতে হয় ক্লাস ফোরের কবিতার বইয়ে আকা ছবিটা ভুল ছিল...যদ্দুর মনে পড়ে ঐ ক্লাস ফোরের বইয়ের ছবিগুলা আকছিল হাশেম খান নামের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী... তারে পাইলে আবার জিগাইতাম!!! ভুল হইলে হাশেম খানের দোষ!!! খিকজ
আবার বুঝাতে বললাম, "আরে, শুনো নাই, শেফালী ঘোষের গান "ওরে, সাম্পানওলা, তুই আমারে করলি দিওয়ানা", পিচকা নৌকা হলে কি কেউ দিওয়ানা হয়?"
প্যাচানি'র মতে, "তাইলে তো বাংলাদেশের সব রমনী/মেয়েরা রবীন্দ্রনাথের প্রেমে পইরা যেত, শুনছি রবীন্দ্রনাথ নাকি বিশাল বজরা করে বাংলাদেশ বেরাইতো!!
তো প্রেমে পড়ার জন্য সাম্পানওলা জরুরী, সাম্পান না!! নইলে রবীন্দ্রনাথ আর তার বজরা একলগে নোবেল পাইতো!! খিকজ ... গোল্লা জেবীন আবারো খাইছে ধরা... খিকজ "
"ডিফিকাল সুইট" কোথাকার কথা কই নিয়ে গেলো!!!
আমার জানা মতে সাম্পান এটা
গুগুলে পেলাম যে ডিঙ্গি এটা
আলোচনার আমার দেয়া ছবিটা হলো এমন। এটাকে অবশ্যই সাম্পান না জানি, তবে কি বলা যাবে খেয়া নৌকা?
এটা সেই "ডিফিকাল সুইট"বন্ধুটার জন্য দিলাম। যিনি বলে বেড়ায় যে আমি পটাপট কমেন্টের বান ছুটাই, কিন্তু ওমন ওস্তাদের কাছে আমি কোন ছার...