কিছু মানুষ দুই কুড়ি বছর যাবত শহুরে হয়েও যে কেন এইসব আচার-রীতি আকঁড়ে থাকে বুঝিনা। কাল যে ঝুম কুয়াশা (ঘন কুয়াশার চেয়ে এটাই বলতে মন চাইছে) পড়লো তাতে সকাল আটটার সময় ঘুম থেকে তুলে যদি বাক্স-প্যাটঁরা হাতে ধরানো হয় বেয়াই বাড়ি পৌছে দিতে, মেজাজ সপ্তমের যমজ ভাই চৌদ্দতে উঠাই স্বাভাবিক।



অদ্ভুত ব্যালান্স রেখে রিক্সায় বসে ধুকে ধুকে কিছুদূর পথ চলতেই শুনি আশপাশের মানুষরা ডেকে বলছে - "এ্যাই যে, সবতো পড়ে গেলো। পিঠার রস পড়ছে!!!!" রিক্সা থামিয়ে দেখি দুধ-চিতই-এর পাতিল কাত হয়ে দুধ পড়ে একাকার আমার পা। এতেক্ষন খেয়ালই করিনি, হাতের বক্সগুলো সামলাতে সামলাতে।
কোন গল্পে যেন পড়ে ছিলাম, কোলে নিয়ে বসা রসগোল্লার হাড়ি ভেঙে রসে গা মাখামাকি, চটচটে অনুভূতি, পড়ে মজাই লেগেছিল, হাসিও। এতোক্ষনে সেই অবস্হা অনুধাবন করলাম, হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া একেই বলে আরকি। শেষমেষ ওই বাড়ি পৌছে সবার হি হি হাসির মাঝে হাত-পা-জুতা ধুয়ে শুকানো, আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফেরা। আর সারপ্রাইজ শীতের পিঠা পেয়ে ওই বাড়ির মানুষদের প্রতিক্রিয়া? প্রচলিত একটা কথার মতোনই -
"মন মতো আয়েশি খাওয়াইলে, দঈনবাড়ির জ্যেডীও বালা" ।