বন্ধুত্ব শব্দটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সাথে তাৎপর্যপূর্ণ।আসলে আমার মত ক্ষুদ্র শ্রেণীর মানুষের এত বিশাল একটা বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করা হচ্ছে অনেকটা চামচিকা হয়ে বাঘের গর্জন দেওয়ার চেষ্টা করার মত।
একটা সময় ছিল যখন বন্ধুত্ব হত শুধু সহপাঠি অথবা এলাকার খেলার সাথিদের সাথে।বন্ধুত্বের সীমানা ছিল নিজ এলাকা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পর্যন্ত। কিন্তু এখন দিন বদলাইছে।এখন ইন্টারনেট নামক নেটওয়ার্ক এর কল্যানে বন্ধুত্বের সীমানা পুরো বিশ্ব জুড়ে।আমার কাছে মনে হয় এটা যেমন সহযে বন্ধু দিচ্ছে ঠিক তেমনি বন্ধুত্বকে অনেক সস্তা ও করে দিয়েছে। এখন আর বন্ধুত্বের সেই প্রাচিন আবেদন নাই।এখন বন্ধন্ত্ব হচ্ছে শুধু ফেসবুক,টুইটার এ সীমাবদ্ধ। বন্ধুত্বে নেই কোন দায়বদ্ধতা। যখন ইচ্ছে হল বন্ধুত্ব করল,আবার ভাল লাগল না তো খতম।এটা অনেকটা বাচ্ছা বয়ষের পুতুল খেলার মত।
আবার এখন কিছু ধনী এবং বড় মনের অধিকারি(এটা অবশ্য শুধু তারা মনে করে যে তারা বড় মনের) মানুষের কাছে বন্ধুত্ব হচ্ছে নিজেদের কামনা বাসনা পূরন করার একটা উপায়।কারন যত যাই বলা হোক না কেন প্রেম শব্দটার মধ্যে এখনো একটা দায়বদ্ধতা রয়ে গেছে।
তবে এত ভেজালের মধ্যেও অনেক ভাল বন্ধত্বের অস্তিত্ব এখনো রয়েছে।আমি মনে হয় এদিক থেকে অনেক ভাগ্যবান।কারন আমার এই সময়েও অনেক গুলু ভাল বন্ধু রয়েছে।
গতকাল ছিল বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস।সবাই শুধু এই একদিন বন্ধুদের স্মরণ না করে সারা বছর বন্ধুদের স্মরণ কুরবে এই প্রত্যাশায় সকল বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা।