somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র
শ্রাবনের বৃষ্টিস্নাত স্বপ্নমত্ত এলোমেলো তরুনের হাতে নীল রঙের আল্পনা যেখানে দু ফোটা অস্রুর মাখামাখি আর তার সানগ্লাসের আড়ালে কিছুটা অনুভূতি যা কিনা সানসেটে বসে থাকা এক টুকরো রোদ অতঃপর তার হাতে থাকা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দেখা দিল একটি শুকনো গোলাপ পাপড়ি

হাজারো কাব্যের বৃষ্টিভেজা মহাকাব্যিক শহর

০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানালার পাশের কাঠের টেবিল টাতে বসে বই পড়ছিলো বিন্দু।
হঠাত বাজ পড়ার আওয়াজ।প্রথমে চমকে উঠলেও পরক্ষনেই খুশি ।সে বাজ পড়ার শব্দ শুনলেই বুঝতে পারে বৃষ্টি আসবে কিনা....!! আর বৃষ্টি আসলেই সে নিজের জন্য কিছু আয়োজন করতে শুরু করে।একান্তই নিজের আয়োজন। চুলোয় চায়ের পানি গরম করতে দিয়ে সে তার আলোর বাক্স টা বের করে। একটা কাচের বয়োম এ মোম রেখে তার মুখ টা বন্ধ করে দেয়।ঢাকনায় ছিদ্র করা যাতে অক্সিজেন ঢুকতে পারে।এই তার আলোর বাক্স।
বিন্দুর একটা নিজস্ব থিওরী আছে।সে মনে করে আগুনের প্রান আছে যেহেতু সে অক্সিজেন ছাড়া বাচতে পারেনা।
ক্লাস এইটে পড়া একটা মেয়ে এই বয়সেই "কোথাও কেউ নেই" আর "শেষের কবিতা" পড়ে কয়েকবার কেদে ফেলেছে।
এসব বই পড়া তার নিষেধ কিন্তু ভার্সিটি পড়ুয়া বড় আপুর কাছ থেকে চুরি করে এনে পড়ে।কয়েকবার ধরা খেয়ে আপুর কাছে কানমলা ও খেতে হয়েছে।


চায়ের কাপ আর আলোর বাক্স নিয়ে বারান্দায় বসতে না বসতেই ঝুম বৃষ্টি।
"এই বিনু বারান্দা থেকে কাপড় গুলো এনেছিস???" বাসায় বিন্দু কে সবাই বিনু বলে ডাকে।
"হ্যা মা এনেছি"...বলেই বিন্দু বৃষ্টি শোনায় মনযোগী হয়।চুলে আচড়াতে আচড়াতে আপু এসে বারান্দার গ্লিল ধরে দাড়ালো।
আপু খুব ভালো রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারে।
"আপু একটা গান ধর না।তাহলে সেইরকম একটা ফিল আসবে"।
"পিচ্চি একটা মেয়ের আবার ফিল?? হাহ" বলে ধমক দিয়েই কিছুক্ষণ পর গাইতে শুরু করে শিখা।
বৃষ্টি হলে মানুষের জনজীবনে একটা গতি আসে।গরমে হাসফাস করতে থাকা মানুষ গুলো বৃষ্টির ছাটে জীবন খুজে পায়।এই সময় মাথায় হাত রেখে কলোনীর গলি দিয়ে দ্রত হেটে যাওয়া মানুষ...রিকশায় নীল পলিথিনের আড়ালে থাকা কলেজ ফেরত মেয়েটার উকি দিয়ে বৃষ্টির ছোয়া পাওয়ার চেষ্টা..অনবরত রিকশার ক্রিং ক্রিং আওয়াজ...রান্নাঘর থেকে আসা ফুটন্ত তেলে মাছ ভাজার আওয়াজ..বৃষ্টি ভেজা মাটির ঘ্রান..অফিস ফেরত বাবার হাতের কাগজের ঠোঙায় থাকা গরম গরম পিয়াজু..পাতায় বৃষ্টি পড়ার টুপ টুপ শব্দ সবকিছু মিলিয়ে এক অদ্ভুত জীবনের সৃষ্টি হয়।
এভাবেই বৃষ্টির সাথে শহরের অলিতে গলিতে চলতে থাকে বাস্তবিক কাব্য।সেই পুরনো কালের বৃষ্টিতে যেমন চলতো।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×