আজ মহান স্বাধীনতা দিবস. ১৯৭১ সালের এই দিনে একটি জাতির জন্ম .।এর পরেই শুরু হয় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। দুর্মুখ রা অবশ্য বলে গন্ডগোল এর সময়। এই ৯ মাসে প্রাণ দিয়েছেন ৩০ লাখ মানুষ। মানুষের ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কময় গণহত্যা শুরু হয় পাক হানাদার বাহিনীর দ্বারা ।আমরা সবাই জানি এই হত্যা ঘটিয়েছে পাকি এবং তাদের কিছু দোসর। কিন্তু কেন এতো বছর পরেও এই হত্যার বিচার হলো না? যা বর্তমান সরকার অনেক বাধার মুখে শুরু করতে যাচ্ছে।
আমার ধারণা সমূহ :
১. ক্ষমতার লোভ.
২. প্রপাগান্ডা
৩. অশিক্ষা
৪. ধর্ম .
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর OIC সদস্য পদ নেয় ১৯৭৪ সালে । যেটি রাষ্ট্র কে ধমীয় মর্যাদা দেয় এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী ।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ অশিক্ষিত এবং ধর্মীয় সেন্টিমেন্টাল ।এই সুযোগ যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারাই ব্যবহার করে।
এবং ঠিক এইটার সুযোগ টা নেয় ১৯৭১ এর হয়নারা । তারা জানতই আগে পড়ে সুযোগ আসবেই ।
বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন এবং আশার কথা এই যে বর্তমান সরকার এই বিচারের জন্যে অত্যান্ত সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে । তারা হয়তো আগে পরে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের পদক্ষেপ নেবে । কিন্তু হয়তো এই সরকার পরবর্তী ৫ বছর পরে ক্ষমতায় নাও আসতে পারে। তখন কি পুরো বিচার পক্রিয়া ভেস্তে যাবে? তখন হয়তো আবার শুরু হবে প্রপাগন্ডা।
আমি মনে করি জাতি কে কলঙ্কের হাত থেকে বাচাতে হলে যেকোনো মূল্যে এই বিচার করতে হবে.এবং অত্যান্ত জরুরি বিষয় এই যে পাকিস্তানি সেনা, যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আছে , তাদের বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হোক।তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল এর মাধ্যমে সমন জারি করা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮