চড়ুইয়ের দুটি ডানা
কেউবা দেখে কেউবা না
আকাশ জুড়ে অনেক মেলা
তোমায় নিয়ে করে খেলা।
(২)
ক্লান্ত চড়ুইয়ের ডাকে অসুস্থ বিকাল
জীবনের সব ক'টি জানালায়
ছুঁয়ে যায় অমৃতের অমূল্য তরল।
জীবন-মৃত্যু, ভাল-মন্দ নিয়ে
রুহের খেলাঘরে।
(৩)
রোদেলা দুপুরে ক্লান্তিহীন শরীরে
মনের আনন্দে কিছুটা সময়
নিজেকে হারাই অচেনা স্বপ্নিলে।
(৪)
তোমার সুখের ছোঁয়ায় আমার পৃথিবী আলোকিত হয়
তোমার এক ফোঁটা লোনা জলে আমার পৃথিবী আঁধার রয়।
(৫)
শব্দগুলো স্বপ্নতলে হারিয়ে যায়
কথার মোড়কে কথা বলে
নিখিলের সুখে-দুঃখে বিন্দু বিন্দু জলে।
উৎসর্গ; জীবন ছোট, বড়। সেই জীবনও প্রতিদিনের ব্যস্ততা আর তুচ্ছতার মোড়কে মোড়া থাকে। এর মধ্যেই অবসর খুঁজে সামুর দিকে চোখ ফেলে সামুর কবিদের লেখাগুলো পড়ি। পড়তে গিয়ে কখনওবা হাসি কখনওবা কাঁদি। কিছু কিছু হদয়ছোঁয়া লেখার ভেতরে নিজেকে প্রবেশ করি। আজ এমন একজন পণ্ডিত কবি’কে আমার এই ছন্নছাড়া কবিতাটি উৎসর্গ করছি। যার লেখা আমার খুবই ভালো লাগে। মা-বাবার কথা মনে হলেই আমি ওর এই দু'টি লেখা পড়ি - ''তবুও হাঁটছি পথ সমান্তরাল,চির নিভৃত বাবা'' - মনছোঁয়া লেখা। পড়তে পড়তে আনমনা হয়ে যাই।
আমি ওকে পণ্ডিত ভাইয়া বলে ডাকি সবসময়। কারণ আমি আমার লেখাতে বানানগুলো বরাবরের মতনই ভুল করে থাকি। অনেক সময় টাইপেও ভুল করি। বলতে পারি সে আমাকে হাতে ধরিয়ে ধরিয়ে বর্ণমালার অক্ষগুলো শিখায়। আবার মাঝে মাঝে মিষ্টি শাসনে ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়। পৃথিবীতে শিখার জানার কোন শেষ নেই। ওর কাছ থেকে আমি অনেক শিখেছি। আমি ওকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা।
ওর সম্বন্ধে আমি আর কি বলব...? অল্পতেই আহত হয়ে যায় আবার বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলোও তার অদ্ভুত। সম্পর্কের মধ্যেও তার আবেগতাড়িত উচ্ছ্বলতা।
ছবি নিজের এলবাম
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬