ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমি প্রথম দেখেছি ছাত্রলীগের একটা গ্রুপে। অনেককিছুই আজকাল মুখ বুজে সহ্য করছি। সহ্য না করে উপায়ও নেই। বিপক্ষে বললেই বিভিন্নরকম হামলা মামলার শিকার হতে হয়। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটা কে না জানে।
ইসলাম ও হুজুরদের বিপক্ষে যত বলবেন কোনও সমস্যা নেই। পক্ষে বললেই আপনি নিশানাতে পরিণত হবেন। ফারজানা রুপাকে নিয়েও নাকি গুজব রটে। আবার তাদের শনাক্তও করা হয়। ইলিয়াস ভাই ফারজানা ও মুন্নি সাহা’র ব্যাপারে সব ফাঁস করে দিয়েছিলেন। আবার অনেকের মতে ‘‘এদের কালোরূপ কারও অজানা নয়। ’’ কয়েকদিন আগে একজন মানুষ ফোন করে জানতে চাইল ‘ফারজানা রূপা নাকি হোটেলে ধরা খাইছে’।
একটি পোর্টালে আমিও এমন একটা নিউজ দেখেছিলাম। তাকে উত্তরে বলেছিলাম, ‘তাকে কে ধরবে?’
বিবিসিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখেছিলাম, বাংলাদেশের ৬৫% মানুষ সংবাদপত্রে বিশ্বাস করে না। এটা অনেক আগের গবেষণা। এখন গবেষণা করলে হয়ত ৬৫% এর ডাবল হয়ে যাবে।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকার ফেসবুক পেজে প্রায় একটা কমেন্ট চোখে পড়ে ‘ আগে নেতারা ও বড়লোকরা নিজের রক্ষার জন্য কুকুর পালন করতো। এখন সাংবাদিক পালে।’’ কথাটি আমি প্রথম শুনেছিলাম আমাদের সময় .কম-এ কাজ করার সময় একজন সাংবাদিকের মুখে। এটা বিশ্বাস করতে আমার একটুও কষ্ট হয়নি। কারও হবে না। চরম একটা সত্য কথা। নেতাদের বিষয়টা তো আগেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
মুনিয়া ইস্যুতে কথার ভয়াবহ সত্যতা এখন সবার সামনে। মুনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটাও সবাই জেনে গেছে। কিন্তু সায়েমের কোটি কোটি দুর্নীতির ব্যাপারে কেউ বিন্দুমাত্র কিছু জানে না। গণমাধ্যমের কর্মীদের টাকার প্রতি লোভ-লালসার বাস্তবতাও এখন সবার সামনে। কীভাবে পারে! এটাও সম্ভব! নবী স. আসার আগে সেই জাহেলী যুগকে হাজার বার হার মানায় আজকের সভ্যসমাজের কর্মকাণ্ডগুলো। এই সভ্যসমাজের কপালে একদলা থুতু।
ভীষণ ঘিন্না হয় আমার। শুুধু আমার হয় না। পুরো জাতিরই হয়। গতকালকে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮৬ শতাংশ মানুষের জীবনধারণের আহার নেই। কী ভয়াবহ একটা ব্যাপার। দেশে কোনোকিছুর দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালে নেই। যেখানেই হাত দিবেন দুর্নীতি আর সিন্ডিকেট। সাধারণ মানুষের জন্য একটা পথই খোলা আছে- মৃত্যু। মৃত্যুই এখন তাদের মুক্তির একমাত্র পথ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৩