করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের কতো লাখ বা কতো কোটি মানুষ কষ্টে আছে তা হয়ত হিসেব করা যাবে না। বিরাট এই সংখ্যার মধ্যে বড় একটা অংশ দেশের হুজুর সমাজ। কয়েকদিন ধরে পত্রপত্রিকায় তাদের কষ্টের কথা উঠে আসছিল। কওমি সংস্থা বেফাক হুজুরদের পাশে দাঁড়াবে কিনা সেটা নিও হুজুরদের মধ্যে মারামারি হচ্ছিল। অবশ্য অনেক ইসলামিক সংস্থা দেশের সাধারণ নাগরিকসহ হুজুরদেরও কিছুটা সহয়তা করেছেন।
কিন্তু হুজুররাও দেশের নাগরিক। সরকারের কাছে প্রাপ্য তাদেরও আছে।
বিভিন্ন খাতে প্রনোদণা দিতে শুরু করলেন হাসিনা আপা। একসময় শোনা গেলো হুজুররাও বাদ যাবেন না। হুজুর সমাজের জল্পনাকল্পনার অবসান হলো। হাসিনা আপা ৬ হাজার ৯ শ ৫৯ টি মাদরাসায় ৮ কোটি টাকা অনুদান দিলেন। এই টাকা ভাগ করলে মাদরাসার একজন বাবুর্চির বেতনও হবে না। কয়েকটি মাদরাসায় অনুদান হুজুরদের হাতে তুলে দেয়ার পর তাদের হাসি হাসি ছবি তুলতে ব্যর্থ হলো সাংবাদিকরা।
সরকারের এই দান বা ভিক্ষা হুজুররা গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়েও মারামারি। প্রথমে অনেকে পক্ষে থাকলেও পরে অনেকেই পিছিয়ে এসেছেন পরিমানের দিকে খেয়াল করে। অনেক মাদরাসা তো তালিকা থেকে বাদই পড়েছে। লিস্টে যেসব মাদরাসার নাম আছে তাদের দারিদ্র অংশের কাছে এই অর্থ ভাগ করে দিলে অর্থ পাবে না, চার আনার একটি চকলেট পেতে পারে। সেটি চুষেই আপাতত তাদের শান্ত থাকতে হবে। করোনার মধ্যে বিনোদনের বেশ অভাব পড়েছিলো। সেই অভাব হয়ত কিছু কমেছে একটা শ্রেণির। কারণ....।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৭