somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের শিক্ষাব্যাবস্থায় মানুষের ক্রমবিকাশ নিয়ে যে জ্ঞান ও বুলি তার অধিকাংশ ভ্রান্তিতে ভরা। নাস্তিক্যবাদের প্রতিফলন। এসবের পরিবর্তন চাই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লুই পাওয়েলস আর জ্যাক বের্জিয়ের একটি কথা মনে পড়ে গেল । তারা তাদের [AUFBRUCH INS DRILITE JAHR - TAUSEND ] বইয়ে লিখেছিলেন “ সংবিধান মারফত যে সমস্ত স্বাধীনতা আমাদের দেওয়া আছে আমাদের উচিত তার উপর আরও একটি দাবি করা - সেটা হল বিজ্ঞান কে সন্দেহ করার স্বাধীনতা । খুব অতীব গুরুত্ব পূর্ণ কথা তারা বলেছেন । আবার এলিক ফন দানিকেন এর একটি কথাও খুব প্রশংসনিয় । তিনি তার বইতে লিখেছেন “আগেকার দিনে লোক যাজক সম্প্রদায়কে বলত গোড়া আর বিজ্ঞানিদের বলত প্রগতিশীল। কিন্তু সেই যুগ হয়েছে বাসী । বহুকাল হল যাজক শ্রেনী হয়েছে প্রগতি শীল আর বিজ্ঞানীরাই আজ গোড়া, নেহাত দায়ে না ঠেকলে তারা নড়ে বসে না”। আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে চাইছি সে বিষয়টি হলো আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতে মানুষের ক্রমবিকাশ নিয়ে যে পড়াশুনা করানো হয়। তার বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার আছে। আমরা পড়ছি বা আমাদের সন্তানেরা শিখছে মানুষ কিভাবে পোষাক পড়া শিখলো, চাষাবাদ শিখলো, পশুপালন শিখলো, লৌহ যুগ লৌহ ব্যবহার শিখলো এভাবেই মানুষের কিভাবে ক্রমবিকাশ ঘটলো। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো-মানুষ কি সহজেই নিজ থেকেই তার জ্ঞানের চুড়ান্ত বিকাশ ঘটিয়েছে? শরীরে পোষাক পড়তে হবে অন্য সকল পশু হতে তাকে আলাদা হতে হবে। মানুষের পোষাক আবিস্কার, মানুষের কথা বলা শেখা, পশু পালন, নৌকা আবিস্কার, কৃষি কাজ উপলদ্ধি, স্থাপত্য শিল্পের আবিস্কার, লিখন পদ্ধতির আবিস্কার, চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নয়ন ? মানব জাতির জীবনে এত উন্নয়ন কি আপনা আপনি ঘটেছে? আমাদের সন্তানেরা যা শিখছে তাতে বোঝানো হয় মানুষ সব আপনি আপনি শিখে গেছে। এর মধ্যে কোন রহস্যময়তা বিদ্যমান ছিলো না? কিন্তু আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমি মনে করি মানুষের এই ক্রম বিকাশের পিছনে ছিলো রহস্যময় একটি কারন। সভ্যতার উন্মোচনের দিকে তাকালে দেখা যায় সভ্যতার উত্থানের পিছনে রয়েছে ধর্ম। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধর্ম বা ধর্মপ্রবর্তক সভ্যতা বিকাশের কারিগর হিসেবে কাজ করেছে। ইতিহাস অনেক ক্ষেত্রেই এটার সাক্ষী। ইতিহাসে অসংখ্য স্থানে উল্লেখ পাওয়া গেছে ধর্মপ্রবর্তকদের সাথে যোগাযোগ করেছে দেবতা বা ফেরেস্তা নামক প্রাণি। তারা তাদের প্রতিনিধিকে বিভিন্ন জ্ঞান বিজ্ঞান শিখিয়েছে। মানব জাতির উন্নয়নে সেই সকল প্রতিনিধিগণ দেবতাগণের কাছ থেকে তথ্য সরবরাহ করে মানবজাতির উন্নয়নে ব্যবপক ভূমীকা রেখেছে। যা ধর্ম মানবজাগরনে গুরুত্বপূন বিষয় হিসেবে দেখা গেছে যুগে যুগে। ধর্মপ্রবর্তকের অধীনে লাখ লাখ মানুষের একাত্মতা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। আর এই একাত্মতা ঘটার পিছনে ছিলো ধর্মপ্রবর্তকের বৈপ্লবিক চিন্তাচেতনা ! তাহলে আমরা কেনো স্রষ্টার প্রেরিত সেই সকল স্বত্ত্বার কৃতিত্বকে অস্বীকার করে শুধুমাত্র মানুষের কৃতিত্বকে তুলে ধরছি। আমাদের সহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ সহ বিশ্বের আহরণকৃত ইতিহাস থেকে আমরা এ ব্যাপারে অসংখ্য প্রমান পাই। যেমন ধরেন আমি এক্ষেত্রে আমরা লিখন পদ্ধতি আবিস্কারের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে পারি। এই মানুষ লিখতে শিখলো কিভাবে সেই বিষয়ে আমি আপনাদের কাছে আমাদের প্রাপ্ত ইতিহাস ঘেটে বলি। আজকের আলোচনায় প্রমান করার চেষ্টা করবো মানবজাতির লিখন পদ্ধতি আবিস্কারে স্বয়ং স্রষ্টার হস্তক্ষেপ ছিলো ১০০%। এ মর্মে আল কোরানে উল্লেখ ‘‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমানে সৃষ্টি করেছেন। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন আলাক থেকে। পড়,আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’ সুরা আলাক ১-৫। কেনো আল কোরআন প্রকাশ্যে ঘোষনা করে যে মানুষকে আল্লা লিখতে শিখিযেছে। যা মানুষ জানে না। আল কোরআনের এত বড় মাপের চ্যালেঞ্জ। নাস্তিক্যবাদী সমাজবিজ্ঞানীরা হয়তো আয়াতটি পড়ে হেসেই উড়িয়ে দিবে কিন্তু আমাদের প্রাপ্ত ইতিহাসও তো একই কথা বলে। আল কোরআনের ঘোষনার পরিপেক্ষিতে ইতিহাস আমাদের এখন যথেষ্ট প্রমান তুলে ধরেছে।



প্রিয় পাঠক,আমরা আমাদের স্কুলগুলো্ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লিখন পদ্ধতির আবিস্কার সর্ম্পকে যতটুকু জানতে পারি। লিখন পদ্ধতি বিশ্বে প্রথম মেসোপেটিয়ার সুমেরিয় সভ্যতায় আবিস্কার করা হয়। তার সামান্য কিছু সময় পরেই মিশরে এই লিখন পদ্ধতি শুরু হয়। হেরোডোটাস সহ প্রাচীন গ্রিসের বহু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ মনে করতেন, লিখন পদ্ধতি মানুষকে ঈশ্বর শিখিয়েছিলো। মিসরে এসে গ্রিকরা এই লিপির সঙ্গে পরিচিত হয়। হায়ারোগ্লিফিক লিপির প্রচলন ঠিক কবে থেকে তা নিয়ে ভাষাবিদদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। অনেক ভাষাবিদের মতে, ফারাও রাজা মেনেসের রাজত্বকালে এই লিপির সূচনা হয়। তাঁদের ভাষ্য, হায়ারোগ্লিফের শুরু সুমেরীয়দের আবিষ্কৃত লিখন পদ্ধতির পরপরই, আনুমানিক ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এ লিখন পদ্ধতিতে ভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০০ প্রতীক ছিল। ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ ছিল এ লিপিতে। ছিল না কোনো স্বরবর্ণ কিংবা বিরতিচিহ্ন। এই লিপি লেখা হতো ওপর থেকে নিচে, ডান থেকে বাঁয়ে। আবার কোনো কোনো সময় ডান থেকে শুরু হয়ে পরের লাইনে আবার বাঁ থেকে। আসলে অঙ্কিত মানুষ বা পশু-পাখির মুখ যেদিকে ফেরানো থাকত,সেদিকটা সে লাইনের শুরু বলে ধরে নেওয়া হতো। মিশরীয় চিত্রলিপি উদ্ভাবনের সমসাময়িক মেসোপটেমীয় কীলকলিপির উদ্ভব। মিশরিয় লিপি থেকে কীলকলিপি সামান্যটুকু ভিন্ন, কিন্তু ধারণাগত সাদৃশ্য প্রাচীণ সাক্ষ্য থেকে অনুমান করা যায় যে লিখনপদ্ধতি মেসোপটেমিয়া থেকে মিশরে এসেছিল। মিশরীয়দের উদ্ভুত ইতিহাস থেকে যা জানা যায় প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফকে ‘মেদু নেতজার' নামে ডাকা হতো, যার অর্থ 'দেবতাদের শব্দ'। কারণ বিশ্বাস করা হতো যে লেখা সরাসরি দেবতাদের কাছ থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা 'থট' মিশরের বাসিন্দাদের মাঝে জ্ঞানের জ্যোতি ছড়িয়ে দেয়া এবং স্মৃতিশক্তিকে শান দিয়ে ধারালো করে তোলার জন্য তাদেরকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়েছিল। ইহুদী এবং খ্রীষ্টান ধর্মের প্রাচীন ধর্মগ্রহন ও বাইবেলের ওল্ডটেষ্টামেন্টে সুত্রে জানা যায় ইহুদী ইস্ররাঈলী ধর্মের একজন নবী এনখ এই লিখন পদ্ধতির উদ্ভব করেন ঈশ্বরের দেবদুতের নির্দেশে । ঈশ্বরের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল সরাসরি, ‘স্বর্গের প্রহরি ’ এবং পতিত দেবদূত দের সঙ্গে তিনি কথা বলতেন। আপনি যদি ইহুদী পুথি এনখের পুথি পড়েন তবে বুঝতেন ইহুদীদের প্রাচীন নবী যিনি আদমের পরে পৃথিবীতে এসেছিলেন। এটি নাকি ঈশ্বরের তরফ থেকে মানুষের জন্য অসামান্য দান।

কিন্তু এই এনখ মুসলিম ধর্মে এসে ঈদ্রীস নাম পেলো। আল কোরআনে ঈদ্রীস আঃ তথা এনখকে নিয়ে ২টি আয়াত রয়েছে। বলা আছে-তিনিই প্রথম মানব যিনি কলমের দ্বারা লিখতে শিখিয়েছেন। ইদ্রিস (আঃ) সাঃ যিনি মুসলমানদের নিকট হযরত ইদ্রিস (আঃ) সাঃ নামে পরিচিত, ইসলামী ইতিহাস অণুসারে মানবজাতির উদ্দেশ্যে প্রেরিত দ্বিতীয় নবী। মুসলমানদের বিশ্বাস অণুসারে তিনি ইসলামের প্রথম নবী আদম এর পর স্রষ্টার নিকট হতে নবীত্ব লাভ করেন। তিনি ইরাকের বাবেলে (প্রাচীন মেসোপেটেমিয়া) জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবন সম্পর্কে যতোটুকু জানা যায়, বড় হওয়ার পর আল্লাহ তাকে নুবুওয়্যত দান করেন। তখন তিনি আদম এর ওপরে অবতীর্ণ শরীয়ত ত্যাগ করতে মন্দলোকদের নিষেধ করেন। অল্পকিছু লোক তার আহ্বানে সাড়া সৎপথে ফিরে আসলো। আর অধিকাংশ মানুষই তার বিরোধিতা করলো। তা্ই তারা জীবনের নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন। এই কারনেই তিনি তার অণুসারীদের নিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে মনস্থ করলেন। কিন্তু তার অণুসারীরা মাতৃভূমি ছাড়তে গড়িমসি করে বললো, বাবেলের মতো দেশ ছেড়ে গেলে এমন দেশ আর কোথায় পাব? উত্তরে তিনি বললেন যদি আমরা আল্লহর জন্য হিজরত করি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে এরচে উত্তম প্রতিদান দেবেন। এরপর তিনি নিজের অণুসারীদেরসহ দেশ ছেড়ে রওয়ানা হলেন এবং একসময় মিশরের নীলনদের তীরে এসে পৌঁছলেন। এ জায়গা দেখে তারা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং এখানেই বসবাস করতে লাগলেন।



প্রিয় পাঠক, এখানে ইহুদী খ্রীষ্টানদের নবী এনখ আর ইসলামের নবী ইদ্রীস আঃ একই ব্যক্তি ছিলেন। এবার আসি বিজ্ঞান প্রাপ্ত তথ্যের সাথে আমাদের ধর্মীয় তথ্যের একটি সমন্ময় ঘটায়। সমাজবিজ্ঞানের ইতিহাস আমাদের জানায় লিখন পদ্ধতি প্রথম আবিস্কার হয় মেসোপোটিামিয়ার সুমেরিয় সভ্যতায় পরে এটি মিশরে গিয়ে পূর্ন বিকশিত হয়। এই লিপির নাম হয় হাইরোগ্রাফিক। আর আমাদের ধর্ম ইতিহাস ঠিক একই কথা বলছে। আমরা জানতে পেরেছি ইদ্রীস আঃ জন্ম নিয়েছিলেন প্রাচীন মেসোপোটোমিয়ায় এবং তিনি সেখান থেকে মিশরের দিকে রওয়ানা হন বসবাসের জন্য। এবং সেখানেই তিনি নতুন একটি সভ্যতা গড়ে তোলেন এবং লিখন পদ্ধিতির বিকাশ ঘটান পূর্নাঙ্গভাবে। এই ইদ্রীস আঃ সম্পর্কে আরো অনেক কিচু আমরা জানতে পারি। তিনি মহান জ্ঞানী ছিলেন তার অবদান সমস্ত সুমেরীয় সভ্যতাকে বিকশিত করেছিলো। তিনিই প্রথম সুতার মাধ্যমে পোষাক সৃষ্টিতে ভূমীকা রাখেন। তাঁর পূর্বে সাধারণতঃ মানুষ পোশাকের পরিবর্তে পশুর চামড়া বা গাছের পাতা বা ছাল ব্যবহার করতো। ওজন ও পরিমাপ পদ্ধতি সর্বপ্রথম তিনিই আবিষ্কার করেন এবং অস্ত্র-শস্ত্রের আবিষ্কারও তাঁর আমল থেকেই শুরু হয়। তিনিই অস্ত্র তৈরি করে তা দিয়ে কাবীল সন্ত্রাসী গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সর্ব বিবেচনায় এখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় যে, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিত হলো আল্লাহর তরফ থেকে আসা ঐশী বাণী যা হযরত ইদ্রিস (আ:)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম বিকাশ ঘটে। আপনার আমাদের বৈজ্ঞানিক প্রাপ্ত সুমেরীয় সভ্যতার ইতিহাস জেনে দেখেন বুঝবেন সুমেরীয় সভ্যতায় হঠাৎ আকস্মিকভাকে একই সাথে অনেক বেশি জ্ঞান আবিস্কার ঘটেছিলো যা ছিলো ইদ্রীস আঃ এর অবদান।
মানুষের সভ্যতার ক্রমবিকাশের প্রাথমিক সময়কাল সত্যিই রহস্যময়। প্রাথমিক শিক্ষাটা সম্পূনভাবে স্রষ্টার তরফ থেকেই এসেছে। আমাদের বর্তমানের গড়ে উঠা সমাজবিজ্ঞান স্রষ্টার কৃতিত্ব ভূলে গিয়ে এ সকল কৃতিত্ব মানুষের হাতে দিয়ে মানুষকে বড়ো বেশি অহংকারী করে তুলছে। এবং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক অনুরুপ নাস্তিক্যবাদী বিজ্ঞানের ধারক বাহক হয়ে মানুষের সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষের কৃতিত্ব প্রচার করে যাচ্ছে। মানুষ সভ্যতা বিকশিত করাটা সর্ম্পূন ভাবে আল্লার কৃতিত্ব। নগর গোত্র গঠন। নগর সভ্যতা বিকশিত করা। নগর সভ্যতা এ্যাস্টিরয়েডের আঘাতে ধ্বংশ করা। অসভ্য জাতি স্বত্তা ধ্বংস করে বাজে বা অসভ্য ডিএনএ বিলুপ্ত করে নতুন ডিএনএ সম্প্রসারন ঘটানো এ সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়েই মানব সভ্যতাকে বিকশিত করা হয়েচে।। জেনিটেক্যালি মানব জাতিকে উন্নত করার পিছনে ইন্টেলেকচুয়েল একটি স্বত্ত্বার হস্তক্ষেপ ছিলো সর্বদাই। অথচ আমরা এই অস্তিত্বকে কেনো যেনো স্বীকার করতে চাই না। এই জন্য আল কোরআন বলে-“হে মানুষ তোমরা কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর প্রস্তরখন্ড নিক্ষিপ্ত করা হইবে না।” প্রিয় পাঠক একবার ভেবে দেখেন আমাদের পাশ্ববতী গ্রহ মঙ্গলের পাশের এ্যাস্টিরয়েড বেল্ট থেকে কোন গ্রহানূ যদি পৃথিবীর উপর আঘান হানে তাহলে ১০ পারমানবিক বোমার মতো আঘাত হবে পৃথিবীতে। সুতরাং আপনারাই ভেবে দেখেন আমাদের কি স্রষ্টার অস্তিত্ব ভূলে গিয়ে নিজেদের পরম মানব সৃষ্টিতে ভূমীকা রেখে লাভ আছে নাকি স্রষ্টার কৃতিত্বকে স্বীকার করে নিজেদের নিরাপদ রাখতে লাভ আছে । আপনারাই স্বীদ্ধান্ত নেন। আল কোরআন বলে “ আমি তোমাদের কথা বলিতে শিখিয়েছে যা তুমি জান না”। লক্ষ্য করুন আল কোরআন কেনো বলে মানব জাতিকে কথা বলিতে শিখিয়েছে আল্লা। কেনো বললো? এ সংক্রান্ত প্রসঙ্গে বিজ্ঞান আমাদের কি বলে? প্রিয় পাঠক, আমি ২য় পর্বে মানুষের কথা বলা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈজ্ঞঅনিক সকল তথ্য তুলে ধরবো। এই মানুষ কথা বলা শিখেছেও আল্লার কাছ থেকে। স্রস্টা তার ফেরেস্তা পাঠিয়ে মানবজাতিকে কথা বলা শিখিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×