somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষের জন্য মহাবিশ্ব সৃষ্টি। এটা এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। মহাবিশ্বটি পরিকল্পিত সৃষ্টি। (পর্ব-২)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই মহাবিশ্বের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে একটি চূড়ান্ত ভাবে একটি পরিকল্পনার প্রভাব স্পষ্ট। কে যেনো গানিতিক নিয়ম একটি রুল একটি মহাজাগতিক পান্ডুলিপিতে পূনাঙ্গ ভাবে পরিস্ফুটিত করে রেখেছে। যার মাঝে একটি ্উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। আর সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি। তাহলে উদ্দেশ্যটা কি? আধুনিক বিজ্ঞানের চুড়ান্ত কিছু গবেষনা প্রমান করে দিচ্ছে সেই উদ্দেশ্যটি হলো এই পৃথিবীর অবস্থিত প্রানীকূল নিদীষ্ট করে বললে মানুষ।এই মানুষ সৃষ্টি করার জন্য সমগ্র মহাবিশ্বটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সুপরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সমগ্র বিশ্বজগতে বিদ্যমান রয়েছে পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ছাপ। আলকোরআন বলে- “আল্লাহ যর্থাথরুপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ইমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(২৯:৪৪)” আধুনিক বিজ্ঞান স্পষ্টভাবে আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে এই মহাবিশ্বটা সুক্ষ থেকে সুক্ষতম নিয়ম শৃংখলা ভারসাম্যতার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। যার একবিন্দু এদিক ওদিক হলে মহাবিশ্ব নামের এই সিষ্টেমটা মানুষের জন্য বাসযোগ্যতা দুরের কথা মুহুত্বের মধ্যে অচল হয়ে ধ্বংশ হয়ে যেতো। অত্এব এটি যে একটি উন্নত চেতনার উচ্চমার্গিয় পরিকল্পনার ফসল তা নিশ্চিত। মানুষের জন্য বাসযোগ্য মহাাবিশ্বটা দৈব্যক্রমে সৃষ্টি হয়েছে এই চিন্তা করাটাও রিতীমতো অসম্ভব। এবার আসি আমরা সকল গ্রহমন্ডলী এবং সৌরজগত নিয়ে একটু আলোচনায়। এই সৌরজগতটিও একটি নিয়ন্ত্রিত ও সুক্ষ সমন্ময়ের ভারসাম্যে তৈরী। এ কারনে আল কোরআন বলে “এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাাদের কাজে লাগিয়েছেন।(১৪:৩৩)


বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগত এবং গ্রহ উপগ্রহের একটি মডেল তৈরী করে দেখেছেন আমাদের সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের ভর এবং অবস্থান সুক্ষ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন। আর এই ভর এবং অবস্থানের নিত্যতা ১৪০০ কোটি বতসরের সৌরব্যবস্থার সাম্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করেছে। নক্ষত্রবিদ্যা থেকে জানা যায় সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ও ভর এতটাই পারফেক্ট যে এই পারফেক্টনেসই পৃথিবীর বুকে প্রাণ উতপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এবং এই সৌরব্যবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে আমাদের পৃথিবীর নিরাপত্তা। অন্যান্য গ্রহগুলোও পৃথিবীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এবং তাদের অবস্থানের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ভরশীল। যেমন ধরি বৃহস্পতি গ্রহটি। বৃহস্পতি গ্রহটি যেনো সৌর পরিবারে মা এর মতো দায়িত্¦ পালন করে চলছে। এই গ্রহটি এমন একটি অবস্থানে অবস্থান করছে যে এই গ্রহটির বর্তমান অবস্থান অন্যান্য গ্রহগুলোকে তাদের অবস্থানে থাকতে সাাহায্য করছে। পৃথিবীর উপর বৃহস্পতি গ্রহের প্রভার এতটাই বেশি যে তার অবস্থানের উপর পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব নির্ভর করে। এই গ্রহটি যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরুতেই তা ধ্বংশলীলাতে নিপতিত হতো। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের আরেকটি গুরুত্¦পূর্ন কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার How Special Jupiter Is” আর্টিকেলে তিনি বলেন “Without a large planet positioned precisely where Jupiter is, the earth would have been struck a thousand times more frequently in the past by comets and meteors and other interplanetary debris. If it were not for Jupiter, we wouldn't be around to study the origin of the solar system.” এই সৌরজগতের সৃষ্টিশীলতা দীর্ঘস্থায়ীত্ব এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ। আধুনিক বিজ্ঞান গবেষনা করে পাচ্ছেন যে এই সৌরজগত এর প্রতিটি বস্তু এর অবস্থান ভর এতটাই সুক্ষ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নির্মিত। এ্ই পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টিতে সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ছিলো পারফেক্ট এবং নিয়ন্ত্রিত যদি কোন কারনে সৌরজগতের কোন গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান একটু পরিবর্তিত হতো তবে প্রাণ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব হয়ে যেতো। আমাদের পৃথিবী এবং এর উপগ্রহ চন্দ্রের মধ্যে যে সৌর ব্যবস্থা বিদ্যমান তা সৌরজগতের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করছে। এই দুটির অনুপস্থিতে বৃহস্পতি গ্রহের আকর্ষন শক্তি শুক্র ও বুধ গ্রহের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করত। এই অধার্কষণ শক্তি শুক্র ও বুধ দুটি গ্রহের মধ্যে দুরত্ব ক্রমান্¦য়ে কমিয়ে আনত। ফলে একসময় বুধ সৌরজগত হতে ছিটকে যেতো শুক্রগ্রহের কক্ষপথ পরিবর্তিত হতো। The Astronomical Journal এর ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের সঙ্কলনে বলা হয় Our basic finding is nevertheless an indication of the need for some sort of rudimentary "design" in the solar system to ensure long-term stability” আল কোরআন বলে “ তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য রাত ও দিন ও সূর্য এবং চন্দ্রকে বশীভূত করে রেখেছেন।এবং সমস্ত তারকাও তারই হুকুমে বশীভূত রয়েছে। যারা বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগায় তাদের জন্য রয়েছে এর মধ্যে প্রচুর নিদর্শন। (আল নাহল-১২)

সূর্য সহ মহাজাগতিক সৌরজগত একটি গতিতে ঘুরছে। এই পরিক্রমনের গতিটিও একটি পারফেক্সনেস মেনে সুক্ষ হিসাবের আওতায় গতিশীল। যদি এই গতিটি একটু এদিক ওদিক হতো তবে এই পৃথিবীর মধ্যে কোন ভাবেই প্রাণ উতপাদন হতো না।
বিগব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রতিটি পর্যায়ে এক পরিকল্পনাকারীর সুষ্ঠ পরিকল্পনার দ্বারা এই মহাাবিশ্ব নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি পদক্ষেপই একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত। সৃষ্টির শুরু থেকে একটি উদ্দেশ্য ছিলো প্রাণীজগত এবং মানুষ। এবং এই মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কারনে সৃষ্টিকূলে এতটা সুশৃংখলা নির্ধারিত রয়েছে। যদি মানুষ সৃষ্টিই ¯্রষ্টার উদ্্েদশ্য না হতো তবে প্রতিটি ক্ষেত্র্ইে এতটা সুক্ষ সমন্ময় থাকতো না। সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ এতটা প্রকট আকারে দেখা দিতো না। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে বিগব্যাাংগ এর সৃষ্টি হয়েছে একটি বাসযোাগ্য পৃথিবীর জন্য, যা মানুষের বসবাসের উপযোগী। বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে বিগব্যাংগ বা মহাবিস্ফোরনটিও ছিলো হিসেবের নিত্যতা এবং সুক্ষসমন্ময় দ্বারা গড়া একটি মহত পরিকল্পনা। বিগব্যাংগ ঘটেছিলো একটি নির্দীষ্ট গতিতে। বিগব্যা্গং ঘটার পরে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হতে থাকে। ষ্ট্যার্ন্ডাড বিগব্যা্গং মডেল অনুসাওে এক মহাক্ষুদ্র আদি ঘনায়িত শক্তি পিন্ড মহাগর্জন করে এক মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে ১০-৪৩ সেকেন্ড সময়কালে সৃষ্টি করে এই মহাবিশ্ব। সৃষ্টির সময় মহাবিশ্ব ১০-৩২ শ কেলভিন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিলো। অকল্পনীয় শক্তির ঘনায়নে থাকা অবস্থায় এক মহাবিস্ফোরনের সাথে সাথে আশ্চার্য রকম গতিতে মহাসম্প্রসারন হতে শুরু করে। যা আজো পযর্ন্ত সেই মহাসম্প্রসারন চলছে। সেই মহাসম্্প্রসারনটি একটি নির্দীষ্ট গতিতে ঘটেছে বলেই চরম উত্তÍপ্ত মহাবিশ্বটি গ্যালাক্সি, নক্ষত্র গ্রহ পৃথিবী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। যে গতিতে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হয়েছে তা পারফেক্ট ছিলো বলেই মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টি হতে পেরেছে।


বিশিষ্ট পর্দাথবিজ্ঞানী পল ডেভিস বিগব্যাংগের পর মহাবিশ্ব যে গতিতে সম্পসারিত হচ্ছে তা নিয়ে চমকপ্রদ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে সম্প্রসারনের গতিটি ১০০% পারফেক্ট ছিলো। তার হিসাবমেেত সেই গতিবেগের কোটি ভাগের ১ ভাগ যদি কম বেশি হতো তবে এই (habitable universe) বাসযোগ্য বিশ্বজগত সৃষ্টি হতো না। এ প্রসঙ্গে পল ডেভিস বলেন “ সুক্ষভাবে হিসেব-নিকেশ করে দেখা যাচ্ছে যে বিগব্যাং এর পর বিশ্বজগতের সম্প্রসারনের গতির মাত্রা ছিলো ঠিক ততোটুক্ইু যে মাত্রায় সম্প্রসারিত হওয়া শুরু করলে বিশ্বজগত তার নিজস্ব মাধ্যাকর্ষন-শক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তকালের জন্য সুশৃংখলভাবে ম্প্রসারিত হতে পারে। সম্প্রসারণের গতিবেগ সামান্যতম কম হলে এ বিশ্¦জগত ধ্বংশ হয়ে যেতো। আবার গতিবেগ সামান্যতম বেশি হলেও বিশ্বজগতেরর সবকিছু বহু আগেই বিশৃংখলভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতো।,,,,,,,, স্পষ্টতই বিগ ব্যাং কোনো সাধারণ বিস্ফোরন ছিলো নাা, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল - W.R.Bird, The Origin of Species Revisited, Nashville: Thomas Nelson, 1991; originally published by Philosophical Library in 1987, p.405-406) পল ডেভিসের ভাষায় “সাধারন বিস্ফোরন ছিলো না, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল বিস্ফোরন” বলতে কি বুঝিয়েছিলেন? আসলে পাঠক বিস্ফোরনের গতিবেগের ্উপরই নির্ভর করেছিলো সম্প্রসারনের গতিবেগের হার। বিস্ফোরনের গতিবেগ যদি কম হতো তবে সম্প্রসারণের হার হতো কম গতিতে ফলে আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটি সুত্র অনুযায়ী মহার্কষ আকর্ষনের কারনে বস্তু সমূহ সম্প্রসারিত হতে থাকলেও সৌরজগতের নির্মানের আগেই পুরো মহাবিশ্ব পূনরায় আবার সংকুচিত হয়ে মিশে যেতো। আর যদি বিস্ফোরনের গতিবেগ বেশি হতো তবে সমস্ত কিছু এলোপাথালি ভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে যেতো। অতিরিক্ত সম্প্রসারণের কারনে বস্তুকনাগুলো একে অপরকে আকর্ষন করে সৌর জগত, তারকারাজি, ছায়াপথ এসব গড়ে উঠার সুযোাগ পেত না। এ্ই সকল বিভিন্œ প্রাপ্ত তথ্য থেকে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই সম্প্রসারনের হার ঠিক ততটুক্ইু যতটুকু হলে মহাবিশ্ব নিজের মহাকর্ষ আকর্ষন শক্তি অতিক্রম করতে পারে। আর এই কারনেই পল ডেভিস বলেছেন মহাাবিশ্ব একটি পরিকল্পনার ফসল। এটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে হঠাত ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ফল নয়।
“(বিগ ব্যাং-এর পর) বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছিলো ক্রিটিক্যাল মাত্রার (critical rate of expansion) খুবই কাছাকাছি গতিতে। ঠিক ওই মাত্রায় সম্প্রসারিত হওয়া শুরু করেছিলো বিধায়, বিশ্বজগত শুরুতেই ধ্বংস হয়ে যাবার পরিবর্তে সুশৃঙ্খলভাবে সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। আজো—বিগ ব্যাং-এর দশ হাজার মিলিয়ন বছর পরেও—বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হচ্ছে ক্রিটিক্যাল গতির কাছাকাছি গতিতেই। প্রশ্ন হচ্ছে: কেন? কেন এ-বিশ্বজগত ওই গতিতে সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছিলো? যদি, বিগ ব্যাং-এর এক সেকেন্ড পরে সম্প্রসারণের মাত্রা কোটি কোটি কোটি ভাগের একভাগও কম হতো, তবে আমাদের এ-বিশ্বজগত বর্তমান অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস হয়ে যেত!”-(দেখুন: Stephen W Hawking, A Brief History of Time, Bantam Books, April, 1988, p.121) পল ডেভিস বলছেন: “এমন ধারণা মনে স্থান দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন যে, বিশ্বজগতের বিদ্যমান কাঠামো—যা কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনের ব্যাপারেও স্পর্শকাতর—যত্নের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করেই অস্তিত্বে আনা হয়েছে …।”-(দেখুন: Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, p.189) একই ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে দেখা যায় জর্জ গ্রিনস্টেইনকেও (George Greenstein)। আমেরিকার এই জ্যোতির্বিদ প্রফেসর তার The Symbiotic Universe নামক গ্রন্থে বলছেন: “(বিশ্বজগতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা) বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করবার পর, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মনে যে-চিন্তার উদয় হয় তা হচ্ছে: (বিশ্বজগত সৃষ্টির পেছনে) নিশ্চয়ই কিছু অতিপ্রাকৃতিক এজেন্সির (some supernatural agencies)—বা মাত্র একটি এজেন্সির—হাত আছে।”-(দেখুন: Hugh Ross, The Fingerprint of God, 2nd ed., Orange, CA: Promise Publishing Co., 1991, p.114-115) আর আল কোরআন বলে “তিনিই সপ্ত আকাশকে সুসমঞ্জস ভাবে বিন্যস্ত করে সৃষ্টি করেছেন! মমতাবানের সৃজন ক্রিয়ায় তুমি লেশমাত্র ত্রুটি খুঁজে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখ! কোনো ত্রুটির সন্ধান পাচ্ছ কি? বারবার তাকিয়ে দেখ! প্রতিবার তোমার দৃষ্টি তোমার উপরই নিপতিত হবে—হতবিহ্বল হয়ে, পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত হয়ে।” 67:3-4)

পর্ব - ২
আগামীতে ৩য় পর্ব প্রকাশিত হবে....।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
১৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×