পারিনা এমন কিছু জোর করে করতে চাওয়ার প্রচেষ্টা না...সে দুরাশাও রাখিনা... নিতান্তই আবেগী মনের মনখারাপের জারি-সারি-ভাটিয়ালী গান...কথার ধার নেই, চিন্তার নেই নতুনত্ব! সাহিত্য খোঁজার ব্যর্থ প্রচেষ্টা বাদ দিলেই অধরাকে ধরা যাবে...এ রইলো নাহয় ফড়িং সাহিত্যের নামে...
ঘরের বাইরে আকাশ বলে একটা বিশাল কী যেনো আছে...
সেই ছোট্টবেলা থেকেই...
সেইখানে একটা বল আছে
ছোট্ট একটুশখানি
দুধ রঙের...
আধো আধো বোলে কথা বলার সময় মা চিনিয়েছিলেন...
'ওটা চাঁদ...'
'আয় আয় চাঁদ মামা...'
আরেকটু বড় হয়ে দেখি...
ঐখানে হাঁটু মুড়ে কতকাল ধরে বসে আছে সে...
চরকায় সুতো কাটছে বসে বসে।
চাঁদের বুড়ি...
আমার শৈশব।
তারপরে কত বন্ধু
কত বই
পাতা পাকিয়ে সিগারেট...
নারকেলের পাতার চশমা
ফড়িংযের লেজে সুতো...
দিন-রাত্তির-মাস-বছর।
আকাশটা থেকে যায়...
চাঁদের বুড়িও থাকে
আমার সাথে...
আমার সুখ-দুঃখের সাথী
সেই বহু পুরোনো শৈশব থেকে।
রতন যে সিগারেট খেত তোমাকে ছাড়া কাউকে বলেছিলাম?
বলো?
মৌ এর পুতুল চুরির কথা?
সেই যে মণিদা মেরেছিলো চ্যালা কাঠ দিয়ে...
কাউকে বলিনি...
তুমি তাও চলে গেলে?
আজ বাষ্প জমা ঝাপসা কাঁচের আড়াল সরিয়ে তোমাকে খুঁজি...
তুমি এত স্বার্থপর?
নাকি, তুমি শুধুই আমার বোকা শৈশব?