বেশ কিছুদিন ধরে ইভিটির অফিস বেশী ভাল চলছে না। যৌন হয়রানির দায়ে সেকান্দরের গ্রেপ্তার হওয়া থেকে শুরু করে এর প্রধান সম্পাদক বুলবুলের পদত্যাগ সবই অত্যন্ত ঘটনা বহুল এবং চমকপ্রদ। প্রায় প্রতিদিনই কর্মীদের মানববন্ধন হয়েছে বলে শেষতক বুলবুলকে বিদায় নিতে হয়েছে ইটিভি থেকে।
অথচ কি আশ্চর্য! সমসাময়িক প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা টিভি মিডিয়া কোন কিছুতেই এই বিষয় নিয়ে খুব বেশী কাভারেজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি যখন গুগলে সার্চ দেই তখন বলতে গেলে কিছুই পাই না। ইউটিউবে সার্চ দিলে মানববন্ধনের কয়েকটি ছোট ভিডিও আসে। এর বেশী কিছু নয়।
ইটিভি প্রাক্তন সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন ইটিভির বর্তমান কর্তাব্যক্তি বুলবুল, সেকান্দর এবং অন্যান্যদের ইটিভি অফিসে ক্রমাগত যৌন নিপীড়নের উপরে একটি ১৫ মিনিটের তথ্যচিত্র তৈরী করে। সেইখানে দেখা যায় একের পর এক নারী সাংবাদিকরা সাক্ষ্য দিচ্ছেন কি করে ইটিভিতে সেই চক্র দিনের পর দিন তাদেরকে যৌন হয়রানি করত। সেই তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু হায়! বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং টিভি মিডিয়াগুলো যেখানে বাংলাদেশের প্রান্ত থেকে সঠিক বেঠিক ছোট বড় সব যৌন হয়রানির খবরই প্রকাশ করে, সেখানে বাড়ীর কাছে ইটিভিতে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহ রকমের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মুখে কুলুপ এটেছে। দায়সারা গোছের ছোট একটি নিউজ প্রকাশ করে দায় দায়িত্ব সব যেন শেষ। সেটাও খুব কম মিডিয়াই করেছে। কোন ধরনের উপসম্পাদকীয় কিংবা মতামত প্রকাশ তো কেউই করেনি। টক শোর তো প্রশ্নই উঠে না। এটা যেন সেই সুবর্নচরের ধানের শীষে ভোট দিয়ে ধর্ষিত হওয়া নারীর খবরের মত। একেবারেই অনীহা রয়েছে এই সংবাদ প্রকাশে। মনজুরুল নামে বহু গনমাধ্যম কর্মী রয়েছেন। এক মনজুরুলের পাপ ঢাকার জন্য অন্য মনজুরুলরা যেন উঠেপড়ে লেগেছেন।
ইটিভিতে যা ঘটেছে তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সেজন্যে প্রয়োজন গন মাধ্যমের এই সংবাদগুলো প্রকাশের মানসিকতা থাকা। যে দায়বদ্ধতা আমরা আম জনতা গনমাধ্যমের কাছ থেকে আশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০২