এরদোগান ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তিনি বহু ক্যারিশমা দেখিয়েছেন।
চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে এবং যোগ্যতা সবই তার ছিল। কিন্তু বাধ সেধেছিল সংবিধান। গনভোট আয়োজন করে নিজের জনপ্রিয়তার বদৌলতে তিনি সে সংবিধান পাল্টে ক্ষমতায় থেকে গেলেন। একই জনপ্রিয়তাকে পুজি করে ব্যর্থ করে দিলেন সেনা ক্যু।
বিরোধীদের ক্যারিশমা নেই। তাই হজম করতে হচ্ছে এরদোগানের এসব পদক্ষেপ।
যাই হোক, এরদোগানের একদলীয় মানসিকতা আর নীতির ভয়ংকর বিরোধী আমি। তবে তার উন্নয়ন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষের পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা না করে পারছি না। এছাড়া নাগরিক সেবা এবং দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানও তার খুব পোক্ত। শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাই তুর্কীদের কাছে এরদোগানই সেরা।
এরদোগানের এই এগিয়ে থাকা মানে তুরষ্কের গনতন্ত্রায়ন আরো পিছিয়ে যাওয়া। সেনা ক্যু এর পরে তুরষ্কে বিরোধী মত দমন আরো সরেস হয়েছে। এ থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে মুসলিমদের জন্য মডেল দেশ তুরষ্কের উদাহরন কি অন্য দেশগুলোর জন্যে প্রযোজ্য? সত্যিই কি মুসলিম দেশগুলোতে গনতন্ত্র এখনও বাক্সবন্দীত্বের পর্যায়ে?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৬