রামপাল যে একটা অসমচুক্তি তা বুজার জন্য বেশি তথ্য উপাত্ত জানতে হয় না, ক্যলকুলেটর দিয়েও অর্থনৈতিক হিসাব নিকাশ করতে হয় না। প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০%*** আবার বিদ্যুতের দাম পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশী। উচ্ছেদ হচ্ছে বাংলাদেশের হাজার হাজার পরিবার। কৃষিজ সম্পদ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে বাংলাদশের,কিন্তু ৫০% শতাংশ মালিকানা ভারতীয় কোম্পানির!!!!! ভারত মধ্যপ্রদেশে যে প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ সেই এনটিপিসিকেই সুন্দরবনের উপর ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ করে দিচ্ছে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব তোয়াক্কা না করেই।
তার উপর ভারতীয় কোম্পানিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র লাভের করও দিতে হবে না। এটা কীভাবে জাতীয় স্বার্থের অনুকুলে হয়???
অর্থাৎ এ প্রকল্প অর্থনৈতিক দিক থেকে আমাদের জন্য মোটেই লাভজনক হবে না। বরং এ বিদ্যুৎকেন্দ্রর কারণে সুন্দরবন ধ্বংসের মুখে পড়বে।” কারন সুন্দরবনের পাশেই রামপাল। এতে ওই এলাকার মানুষ সর্ব দিক থেকে সমস্যার মুখে পরবে, এতো সমস্যার পর ও কোনও দিকে সরকার না তাকিয়ে জনস্বার্থহীন একটা প্রকল্প নিজেদের লাভের জন্য হাতে নিয়েছে। যা অমানবিক।
একটা কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সালফার-ডাই-অক্সাইড, এসিড বৃষ্টি, নাইট্রোজেন-অক্সাইড, কার্বন-মনোঅক্সাইড, পারদ, সীসা ইত্যাদি বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় তার পরিমাণ এতই বেশি যে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে লাল ক্যাটাগরির স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত পানি আশেপাশের নদী-জলাশয় দূষিত করে। ভারতের সুন্দরবন অঞ্চলে এবং মধ্যপ্রদেশে এ ধরনের একটি প্রকল্পের কথা থাকলেও কৃষি ও পরিবেশগত সমস্যার কারণে সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। ভারতে বাতিল করা প্রকল্প আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই চেষ্টা কোনও ভাবে সফল করতে দেয়া যাবেনা।
আমাদের দেশের শাসকদের উদাসীনতা, পরিকল্পনাহীনতা, বাক্তিস্বার্থের কারনে, এমনকি কখনো কখনো স্বেচ্ছাকৃত ভূমিকার কারণে দেশের তেল গ্যাস কয়লা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে চুক্তি করে আমাদের সাধারন মানুষের অধিকার শাসক গুষ্ঠি বার বার হরন করছে, এবং আমাদের বনাঞ্চল, নদ-নদী-জলাশয় এক কথায় গোটা পরিবেশই আজ ধ্বংসের মুখোমুখী।
এরকম একটি পরিস্থিতিতে কিছুতেই দেশের এবং আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত আমাদের সুন্দরবনকে ধ্বংস করার কোনো অপচেষ্টা দেশবাসী মেনে নেবে না।