** এই লেখাটা "লেখাজোকা শামিম [শামীম]" এর শাহজাহান শামিম ভাইকে উত্সর্গ করা হল।
** ঈ, ঊ, ূ, ী, ক্ষ, ষ, ণ, ৎ - বর্জিত লেখা।
শামিম ভাই আমার স্পর্ধাকে খ্মার চোখে দেখবেন। 'যারা নিজের খেয়ে বনের মোশ তাড়ান শামিম ভাই নিঃসন্দেহে তাদের ভিতর একজন। আমি ওনার প্রতি শ্রদ্ধাভাবনত।
আমি বাংলা বানানের খেত্রে একটা আইডিয়া দিতে চাই। আইডিয়া যে কেউ দিতে পারে সেটা ঠিক কি বেঠিক তা পরের বিষয়। আর কোন চিন্তা আইডিয়া তে উন্নিত হওয়ার পর ওটাকে সঠিক পরিকল্পনা করে বাস্তবে রুপদান করার জন্য দরকার ভিন্ন ভিন্ন বিশেশজ্ঞের মেধা এবং শ্রম। আমার আইডিয়াটা ভেবে দেখার জন্য ভাষা বিজ্ঞানিদের প্রতি রইল বিনিত অনুরোধ।
আমরা বাংলা বানানকে ঐ সমস্ত ধ্বনি মুক্ত করতে পারি যেসব ধ্বনির ব্যবহারিক খেত্রে কোন অস্তিত্ব নেই। শুধুমাত্র কিছু নিয়ম এবং যত্নে লালন করা অভ্যাসের কারনে আমরা এই চক্র থেকে বের হতে পারছিনা।
বাংলা ভাষার এই বানান রিতিতে প্রথম হাত দিয়েছিলেন রবিন্দ্রনাথ [রবীন্দ্রনাথ] ঠাকুর। অনেক আগে একটা লেখায় এরকম পড়েছিলাম যার দুটি বক্তব্য এখনো আমার মনে আছে। রবিন্দ্রনাথ প্রথম 'বৌ' না লিখে লিখেছিলেন 'বউ'। তাঁকে এ প্রশ্ন করায় উত্তর দিয়েছিলেন অনেকটা এরকম - বউ এর মাথায় গোমটা [ৌ] না থকলে কি তার সতিত্ব নশ্ট হয়ে যায়! আরেক জায়গায় বলেছিলেন, লেখার সময় যতই 'ঈ' 'ঊ' লিখ না কেন তার দির্ঘত্ব কখনো মিলবে না। উনি যেটা শুরু করেছিলেন এর পরের ভাশা বিজ্ঞানিরা ওটার ক্রমান্বয় চালিয়ে গেলে আমাদের ভাষা আরো সহজ, যৌক্তিক এবং গতিময় হোত।
১. খুব সহজেই আমরা 'ূ' , 'ী' বাদ দিয়ে চলতে পারি।
২. 'ণ' 'ষ' কে আমরা খুব সহজেই 'ন', 'শ' এই অখ্যরগুলো দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায়।
৩. 'ৎ' এর কাজ 'ত' দিয়ে করলে কোন সমস্যাই হওয়ার কথা না, একমাত্র অভ্যাসজনিত কারন ছাড়া।
৪. 'ক্ষ' এর কাজ 'খ্য' করলে তো কোন অসুবিধা থাকার কথা না।
এখন আসি ব্যবহারের বেলায়। এখনকার অনেকই জানে না যে এক সময় ইংরেজিতে Dacca এবং Calcutta লেখা হোত। প্রথম দিকে সবারই খটকা লাগত। এখন বরং এভাবে লিখলেই খটকা লাগবে। সবই চোখ সহা ব্যাপার।
১. আমাকে এক খিলি 'পান' দেন।
২. বিশুদ্ধ পানি 'পান' কর।
৩. ফায়সালের কাছে আপনি কত টাকা 'পান'?
এই তিনটি বাক্যে একই বানান 'পান' তিন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও তো কোন দন্ধ তৈরি হয়নি। বাক্যে শব্দ বিন্যাসই বলে দিবে কোন শব্দের কি অর্থ।
সেই একই ভাবে যদি আমি লিখি -
১. ধানের 'শিশ' গুলো বাতাসে আন্দোলিত হচ্ছে।
২. "আজকে যে 'শিশ' দিয়ে গান গায়....."
বাক্যের শব্দ বিন্যাসই বলে দিচ্ছে কোন 'শিশ' এর কি অর্থ।
আমার আইডিয়া যেরকমই থাকুক, ভাষা বিজ্ঞানিদের অনুরোধ রইল তাঁরা যেন এ নিয়ে একটু ভাবেন।
শেশে আমি খ্যমা প্রার্থি।