গত ১৪ এপ্রিল সকালে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের হাতে লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার রেজওয়ান হোসেনের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।অভিযোগে জানা যায়, ব্যারিস্টার রেজওয়ান হোসেন তার এক আত্মীয়কে ঘটনার দিন সকালে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে আসেন। এ সময় তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এমিরেটস-এর চেক ইন কাউন্টার পর্যন্ত গমন করেন এবং দীর্ঘ সময় যাবৎ ঘোরাফেরা করতে থাকেন। এমতাবস্থায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তার সন্দেহ হলে ব্যারিস্টার রেজওয়ান তার উক্ত এলাকায় অবস্থানের পক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শনে বা ব্যাখ্যা প্রদানে ব্যর্থ হন। তখন তাকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষে নেয়া হয় এবং তাকে তার নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে উচ্চৈস্বরে ইংরেজীতে ভর্ৎসনামূলক ভাষা ব্যবহার করে হুমকি প্রদান করতে থাকেন। উপায়ান্তর না দেখে উক্ত কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাকে যৌথ বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করেন। এ পর্যায়ে তাকে যৌথ বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তিনি কোন যুক্তিতর্ক মানতে রাজি না হয়ে তার বিদেশী নাগরিকত্ব এবং পেশার মর্যাদার কথা উল্লেখ করে বাড়তি সুবিধা লাভ এবং কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তার অভিযোগ খণ্ডনের প্রয়াস চালান এবং পূর্বের ন্যায় অপ্রত্যাশিত আচরণ ও দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। এ পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যগণ কর্তৃক ব্যারিস্টার রেজওয়ানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ উক্ত টাস্কফোর্স সদস্যদেরকে মিলিটারি ল-এর বিধান অনুযায়ী বিমান বাহিনীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হেফাজতে নিয়েছে। উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার রেজওয়ান কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বাহিনী একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং অভিযোগটি যাচাইপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
- ইত্তেফাক ২২.৪.২০০৮
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫৯