
এসব রোবট তৈরি হচ্ছে কোন না কোন ভাবে মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু আসলে তা কতটা সত্যি? চলুন কিছুটা বিশ্লেষন করা যাক…
রোবট আমাদের হৃদয় কেড়ে নিচ্ছে!

শক্তি দ্বারা আমাদের পরাজিত করার হয়তো দরকার নাও হতে পারে রোবটদের। তারা ইতোমধ্যে আমাদের মন জয় করে নিয়েছে। খেলনা পুতুলের বদলে বাচ্চাদের হাতে এখন দেখা যায় রোবট। নিত্য-নতুন রোবটের আবিস্কারের কাহীনি শুনে আমরা পুলকিত হই। তবে এখন যেটি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে সেটি হচ্ছে ঠিক মানুষের মত দেখতে রোবট তৈরি। এরা শুধু দেখতেই মানুষের মত নয়, বরং আচরনও করে মানুষের মত। চেহারায় আবেগ ফুটিয়ে তুলতে পারে। এই বিষয়টি এড়াতে অনেক গবেষক এখন রোবট তৈরি করছে যেগুলো দেখতে মোটেও মানুষের মত নয়।
রোবট আমাদের চাকরি কেড়ে নিচ্ছে

দোকানে সেলস এসিস্টেন্ট এর দ্বায়িত্ব পালন করছেন? রোবট এ কাজটি করতে পারবে আরও ভালভাবে। আর এর জন্য তাকে কোন টাকাও দিতে হবে না। শুধুমাত্র তৈরির এককালিন খরচ। ডাক্তার হয়েছেন? কেউ অসুস্থ হলে ছুটে আসছে আপনার কাছে? এখন থেকে কেউ অসুস্থ হলে রোবট ডাক্তার ছুটে যাবে তার কাছে। কোন কল-কারখানায় কাজ করছেন? রোবটরা আপনার চাইতে কয়েকগুন বেশি দক্ষতায় এবং দ্রুত কাজ করতে পারবে। মহাকাশ বিজ্ঞানী হয়ে স্বপ্ন দেখছেন কোন গ্রহ ভ্রমনের। কিন্তু আপনার চাইতে কোন রোবটকে পাঠাতেই বেশি আগ্রহী হবে নাসা। চাকরি বাঁচাতে চাইলে এখন থেকেই রোবটের এই অভ্যুত্থান সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।
আপনার ভালবাসার মানুষ হয়তো একটি রোবটকে ভালবাসতে পারে!

মানুষ যদি কোন রোবটের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। মানুষ যেখানে অনলাইনে অজানা ভালবাসার মানুষের সাথে চ্যাট করে যাচ্ছে দিনের পর দিন, সেখানে দেখতে সুন্দর একটি রোবটের প্রেমে পড়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়


আপনার নাতী-নাতনী হতে পারে রোবট

রোবট আর মানুষ মারামারি করুক বা ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলুক, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিন্তু নিত্যনতুন প্রযুক্তি পন্যের ব্যবহার কমছে না। এখনকার বাচ্চারা বিভিন্ন আইওএস এবং এন্ড্রয়েড ডিভাইস নিয়ে মেতে আছে। তারা ‘উডি’ এর মত রাখাল বালকের পুতুলের বদলে ‘বাজ লাইটইয়ার’ এর মত নভোচারী রোবট নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। আজকালকার মানুষও হয়ে যাচ্ছে রোবটের মত। তারা একসাথে না থেকে সবাই আলাদা থাকতে চায়। আর তাই শেষ বয়সে আপনার নিঃসঙ্গতা দূর করতে হয়তো আপনার সঙ্গী হতে পারে একটি রোবট।
ম্যালফাংশনঃ পুরো মানব জাতীকে ধংস করো
ফিকশন রোবট মুভি গুলোতে সচরাচর যেটি দেখা যায় তা হচ্ছে রোবট নিজের প্রস্তুতকারককে ধংস করে ফেলে। বাস্তবেও এটি ঘটা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। আমরা মানুষরা মানুষকে শত্রু মনে করে তাদের ধংস করার জন্য রোবট তৈরি করছি। এক সময় এই রোবটই পুরো মানব জাতীর ধংসের কারন হতে পারে। যারা ‘টারমিনেটর স্যালভেশন’ মুভিটি দেখছেন, বিষয়টি আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। মারনাস্ত্র তৈরি এবং এ সম্পর্কিত গবেষনাকে আমি বরাবরই ঘৃনা করি। আর মারনাস্ত্র যদি হয় রোবট, তখন সেটি আরও ভয়ংকর এবং বরাবরের মতই নিরুতসাহিত করার মত।
পূর্ব প্রকাশিতঃ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডট কম