somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে কয়েকটি কারনে রোবটকে আপনার ভয় পাওয়া উচিৎ

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভবিষ্যতে এক সময় কি পৃথিবীতে রোবটের রাজত্ব থাকবে? ‘টি ৮০০’ বা ‘মেগাটর্ন’ এর মত ফিকশনের রোবটগুলো যদি পৃথিবীতে রাজত্ব করে বেড়ায় আর মানুষরা যদি হয় তাদের ভৃত্য, তখন ব্যপারটা কেমন হবে? খুব শীঘ্রই তেমন কিছু হওয়ার আশংকা না থাকলেও এক সময় রোবট মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। জাপান এবং কোরিয়া বৃদ্ধ লোকদের সেবা করার জন্য রোবট তৈরির কাজে হাত দিলেও, আমেরিকা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য সশস্ত্র রোবট তৈরির কাজে হাত দিয়েছে।



এসব রোবট তৈরি হচ্ছে কোন না কোন ভাবে মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু আসলে তা কতটা সত্যি? চলুন কিছুটা বিশ্লেষন করা যাক…

রোবট আমাদের হৃদয় কেড়ে নিচ্ছে!



শক্তি দ্বারা আমাদের পরাজিত করার হয়তো দরকার নাও হতে পারে রোবটদের। তারা ইতোমধ্যে আমাদের মন জয় করে নিয়েছে। খেলনা পুতুলের বদলে বাচ্চাদের হাতে এখন দেখা যায় রোবট। নিত্য-নতুন রোবটের আবিস্কারের কাহীনি শুনে আমরা পুলকিত হই। তবে এখন যেটি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে সেটি হচ্ছে ঠিক মানুষের মত দেখতে রোবট তৈরি। এরা শুধু দেখতেই মানুষের মত নয়, বরং আচরনও করে মানুষের মত। চেহারায় আবেগ ফুটিয়ে তুলতে পারে। এই বিষয়টি এড়াতে অনেক গবেষক এখন রোবট তৈরি করছে যেগুলো দেখতে মোটেও মানুষের মত নয়।

রোবট আমাদের চাকরি কেড়ে নিচ্ছে



দোকানে সেলস এসিস্টেন্ট এর দ্বায়িত্ব পালন করছেন? রোবট এ কাজটি করতে পারবে আরও ভালভাবে। আর এর জন্য তাকে কোন টাকাও দিতে হবে না। শুধুমাত্র তৈরির এককালিন খরচ। ডাক্তার হয়েছেন? কেউ অসুস্থ হলে ছুটে আসছে আপনার কাছে? এখন থেকে কেউ অসুস্থ হলে রোবট ডাক্তার ছুটে যাবে তার কাছে। কোন কল-কারখানায় কাজ করছেন? রোবটরা আপনার চাইতে কয়েকগুন বেশি দক্ষতায় এবং দ্রুত কাজ করতে পারবে। মহাকাশ বিজ্ঞানী হয়ে স্বপ্ন দেখছেন কোন গ্রহ ভ্রমনের। কিন্তু আপনার চাইতে কোন রোবটকে পাঠাতেই বেশি আগ্রহী হবে নাসা। চাকরি বাঁচাতে চাইলে এখন থেকেই রোবটের এই অভ্যুত্থান সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।

আপনার ভালবাসার মানুষ হয়তো একটি রোবটকে ভালবাসতে পারে!



মানুষ যদি কোন রোবটের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। মানুষ যেখানে অনলাইনে অজানা ভালবাসার মানুষের সাথে চ্যাট করে যাচ্ছে দিনের পর দিন, সেখানে দেখতে সুন্দর একটি রোবটের প্রেমে পড়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয় :P আজকাল অনেক রোবট তৈরি করা হচ্ছে যেগুলো দেখতে অবিকল মানুষের মত এবং এগুলো যথেস্ট আবেগপ্রবনও। জাপান ইতোমধ্যে এমন সব রোবট তৈরি করেছে যেগুলো দেখলে আপনি মানুষ বলে ভুল করতে পারেন। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন। আপনার ভালবাসার মানুষ যাতে কোন রোবটের প্রেমে না পড়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন ;)

আপনার নাতী-নাতনী হতে পারে রোবট



রোবট আর মানুষ মারামারি করুক বা ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলুক, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিন্তু নিত্যনতুন প্রযুক্তি পন্যের ব্যবহার কমছে না। এখনকার বাচ্চারা বিভিন্ন আইওএস এবং এন্ড্রয়েড ডিভাইস নিয়ে মেতে আছে। তারা ‘উডি’ এর মত রাখাল বালকের পুতুলের বদলে ‘বাজ লাইটইয়ার’ এর মত নভোচারী রোবট নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। আজকালকার মানুষও হয়ে যাচ্ছে রোবটের মত। তারা একসাথে না থেকে সবাই আলাদা থাকতে চায়। আর তাই শেষ বয়সে আপনার নিঃসঙ্গতা দূর করতে হয়তো আপনার সঙ্গী হতে পারে একটি রোবট।

ম্যালফাংশনঃ পুরো মানব জাতীকে ধংস করো

ফিকশন রোবট মুভি গুলোতে সচরাচর যেটি দেখা যায় তা হচ্ছে রোবট নিজের প্রস্তুতকারককে ধংস করে ফেলে। বাস্তবেও এটি ঘটা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। আমরা মানুষরা মানুষকে শত্রু মনে করে তাদের ধংস করার জন্য রোবট তৈরি করছি। এক সময় এই রোবটই পুরো মানব জাতীর ধংসের কারন হতে পারে। যারা ‘টারমিনেটর স্যালভেশন’ মুভিটি দেখছেন, বিষয়টি আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। মারনাস্ত্র তৈরি এবং এ সম্পর্কিত গবেষনাকে আমি বরাবরই ঘৃনা করি। আর মারনাস্ত্র যদি হয় রোবট, তখন সেটি আরও ভয়ংকর এবং বরাবরের মতই নিরুতসাহিত করার মত।

পূর্ব প্রকাশিতঃ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডট কম
৪৫৬ বার পঠিত
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গাজী মুক্ত সামু!!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২







মনপুরা মুভিতে একটা ডায়ালগ ছিলো যে, গাজী বেটারে তুমি চিনো না, বেশি ফাল পাইরো না। এদিকে ব্লগের গাজীকে সবাই চিনে, যারা লাফালাফি করে তারা ব্যবস্থা নেয়,গাজী কিছু করতে পারে না,ব্যান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মবিদ্বেষের উদ্দেশ্য-বিধেয়

লিখেছেন জটিল ভাই, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

গত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সবাই মিষ্টিমুখ করুন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৪



কোণ খুশিতে যদি কেউ জিজ্ঞাষা করেন, তবে বলব আপনি আপনার মত করে ভেবে নিয়ে খান। তবে কোন মিষ্টিটা খাইলেন , তা জানাতে ভুইলেন না কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদ গাজীর ব্যান তুলে নিন/ ব্লগ কর্তৃপক্ষ ‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩




আমি যদি গাজী’ ভাইয়ের যায়গায় হতাম জিবনেও সামু’তে লেখার জন্য ফিরে আসতাম না।
হয় বিকল্প কোন প্লাটফর্ম করে নিতাম নিজের জন্য। অথবা বাঁশের কেল্লার মত কোথাও লিখতাম।
নিচে ব্লগার মিররডডল-এর করা পুরো... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করা এবং বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।

লিখেছেন জ্যাকেল , ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা বরাবরই সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমের কাজ হলো সত্য প্রকাশ, জনমতের প্রতিনিধিত্ব এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে যে, বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×