যে দেশে বাংলাদেশ পুলিশ ছিলনা সেই দেশে, এক শীতের রাতে রাজ্যের সকল শিয়াল হু হু করে ডাকছিল। শিয়ালের ডাক শুনে ঐ রাজ্যের রাজামশায়
তার সেনাপতিকে ডেকে বলে আমার রাজ্যে শেয়াল গুলো এভাবে চিৎকার করছে কেন?
সেনাপতি বলল:- রাজামশায় এই কনকনে শীতে শিয়ালদের গায়ে কোনন কম্বল নেই।
রাজা তখন আদেশ দিল যাও আমার অর্থ কোষাগার থেকে যত টাকা লাগে নিয়ে শেয়ালদের কম্বল কিনে দাও।
সেনাপতি রাজকোষ থেকে টাকা নিয়ে শেয়ালদের জন্য কম্বল না কিনে তার নিজের কোষাগারে জমা করে।
পরদিন রাতে অনেক সময় পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু শিয়াল গুলো আর ডাকেনা।
রাজা মহা খুশি। কিন্তু সেনাপতির ঘুম নেই।
শেয়াল না ডাকলে সে কোন বায়না ধরে রাজকোষ থেকে টাকা আনবে!
তাই সে পাইক-পেয়াদা নিয়ে শেয়ালদের উপর ধর-পাকড়াও শুরু করলো।
আর এই যন্ত্রনায় শেয়ালগুলো কষ্টে কেদে উঠলো।
রাজা সেনাপতিকে ডালে সেনাপতি বলে যে রাজামশায় সারা রাতের কুয়াশায় কম্বল ভিজে যায়,
তাই কম্বলে তাদের শীত কাটেনা।
তারা আপনার কাছে আবেদন করেছে আপনি যেন তাদের জন্য পাকা বাড়ির ব্যাবস্থা করে দেন।
রাজা বলল তবে তাই হোক।
আর এই সুযোগে সেনাপতি তার কু-স্বার্থ চরিতার্থ করে।
এভাবে প্রতিনিয়ত সেনাপতি শেয়ালদের উপর অত্যাচার চালায় শেয়ালরা চিৎকার করে রাজা সেনাপতিকে ডেকে পাঠায় সেনাপতি সেয়ালদের নামে বায়না করে রাজকোষ থেকে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
তেমনি আমাদের এই বাংলাদেশের রাজা হচ্ছে সরকার, সেনাপতি পুলিশ আর হতভাগা শেয়াল হলাম আমরা আম জনতা।
বাংলাদেশ পুলিশ 'জনগনের বন্ধু' নামে মানুষের উপর যে অবর্ননীয় অত্যাচার করছে তা বলাও যায়না সয়া ও যায়না।
কি অপরাধের অভিযোগ নেই তাদের উপর।
গুম, হত্যা, ঘুস, ধর্ষন, চাদাবাজি, ডাকাতি।
আর এই সবকিছু করছে তারা ইউনিফর্ম পড়ে।
ডাকাতরা ডাকাতি করতে গেলে পুলিশের ভয় থাকে।
পুলিশও ডাকাত, তবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডাকাত।
তাই তাদের কোন ভয় নেই।
আমরা যদি অফিশীয়ালি চিন্তা না করে সাধারন মানুষের আবেগ থেকে
চিন্তা করি তবে সবাই জানি পুলিশ বাংলাদেশের একটা ঘৃনিত নাম।
এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর আমজনতার গালি হবে:-
"তুই মানুষ না পুলিশ"
[বি.দ্র: হয়তো সকল পুলিশ এক না। পুলিশের মধ্যে মানুষ (ভাল) ও আছে।]
-ইমরান মাহমুদ ইভান
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৬