[সূত্র: গুগল]
(আজ রাত বারোটার পর যৌথবাহিনির অভিযান শুরু)
বাংলাদেশের আকাশ, জমিন এমনকি চারপাশে এখনও শত্রুদের আনাগোনা স্পষ্ট। যেকোনো মুহূর্তে স্বাধীনতার নতুন সূর্য অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে যদি উপদেষ্টামণ্ডলী সতর্ক না থাকে। প্রথমে আগাছা পরিস্কার হবে নতুন সরকারের প্রধান কাজ।
সদ্য উৎখাত হওয়া হাসিনা সরকার চারিদিকে যে পরিমাণ দলীয়করণ আর স্বজনপ্রীতির ছাপ রেখে গেছে তা যদি সক্ষমতার সাথে নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তাহলে বাংলাদেশের মানুষের পায়ে গোলামীর শিকল পরানো কেউ ঠেকাতে পারবে না। এবং অতীতের চেয়ে তা হবে শতগুণ ভয়াবহ।
প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, অযোগ্যদের নিয়োগ, প্রশ্নফাঁস এগুলো ছিলো হাসিনা সরকারের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র। এসব দুর্নীতিই হাসিনা সরকারকে বিনাভোটে তিনবার ক্ষমতা আসার জন্য সাহায্য করেছে।
পুলিশ-প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দলীয়করণের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ বর্তমান আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বিশ্ববাসীর কাছে এ বার্তা বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে অসম্মানজনক।
এ দলীয়করণের প্রভাবে বাংলাদেশের জনগণ এখনো নতুন স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ স্বাদ পাচ্ছেন না। চারিদিকে থমথমে পরিবেশ, মানুষের মাথায় যতসব উদ্ভট চিন্তা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট এবং অনিরাপদ জীবনযাপন নিয়ে জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
নতুন সরকার কেন এখনও জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে না এটাই জনমনে হতাশার জন্ম দিচ্ছে।
গণহত্যার বিচারকার্য শুরু করা, সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করা, সংবিধান পুনরুদ্ধার করা, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ এই মুহুর্তে জনগণকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৯